আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

কাটামুণ্ডু বিষয়ে মা কালীর সংবাদ সম্মেলন

লিখেছেন নিলয় নীল

গত বেশ কয়েকদিন ধরে কাটামুণ্ডু নিয়ে সেলফি তুলে বিখ্যাত হয়ে গেছেন বেশ কিছু ইসলামী জঙ্গি। এই বিষয়ে স্বর্গে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করলেন মা কালী। মুসলিম নির্বোধগুলো তাকে অনুসরণ করছে দেখে মা কালী ক্রুদ্ধ, ক্ষুব্ধ ও রাগান্বিত হয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে মা কালী বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে আমার অনুসরণকারী না হয়েও আমাকে অনুসরণ করে বেশ কিছু স্লেচ্ছ, যবন মুসলিম কাটামুণ্ডু হাতে নিয়ে সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগে আমিই প্রথম এই ধরনের সেলফি তুলেছিলাম, আর আজ আমাকে অনুসরণ করে মুমিনরা এই কাজ করছে, কিন্তু আমাকে কোনো কারটেসি না দিয়েই। কতো বড় সাহস তাদের! 


মা কালী বলেন, তাদের সেলফি আমার মতো আকর্ষণীয় ছিলো না, কারণ আমার গলায় কাটামুণ্ডু দিয়ে গাঁথা মালা ছিলো। তাছাড়া পোশাকের দিক দিয়ে আমি ছিলাম একেবারেই উন্মুক্ত আর খোলামেলা, অন্যদিকে তারা জামাকাপড় পরে সেলফি তুলছে। শুধু পোশাক পরেই নয়, এমনকি মুখ ঢেকেও অনেকে সেলফি তুলছেন। মুখ ঢেকে সেলফি তোলার সার্থকতা কোথায়, তিনি উপস্থিত সবার কাছে প্রশ্ন করেন।

পোশাক পরা আপনাকে ভক্তদের পুজা করতে দেখা যায়, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মা কালী বলেন, “ওরা ভক্ত নয়, ওরা ভণ্ড। আমি কখনোই পোশাক পরতে অভ্যস্ত ছিলাম না। প্রকৃতপক্ষে আমি ছিলাম আধুনিক ন্যুডিজমের আলোকবর্তিকা। কিন্তু যেহেতু আমি সর্বজ্ঞ, তাই বুঝতে পারি, ওরা আমাকে পোশাক না পরিয়ে আরাধনা করতে স্বস্তিবোধ করে না, আরাধনার চেয়ে বরং গোপন অভিসন্ধিই তাদের মধ্যে কাজ করে বেশি। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই পোশাক পরায়, তা মেনেও নেই। আবার অনেকে পোশাক না পরিয়েই করে, তাও মেনে নেই। কী করে? সাংবাদিকদের এমন অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তরে মা কালী বলেন, আমি আরাধনা করে সেটিই বুঝিয়েছি। 

মা কালী নিজেকে নারীবাদের পথপ্রদর্শক দাবী করে বলেন, আজকাল অনেকেই দেখি নব্য নারীবাদী হয়েছেন, কিন্তু হাজার হাজার বছর আগে “স্ত্রীর পায়ের নিচে স্বামীর অবস্থান” তা আমিই প্রথম প্রমাণ করেছিলাম। এটা তৎকালীন সময়ে সহজ কোনো কাজ ছিলো না, তাই জিভ বের করে বিশাল একটা ভুল করেছি এমন একটা ভাব করেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে জিভ বের করে আমি তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে ভেঙচি কেটেছিলাম। 

মা কালী উপস্থিত সভাসদদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, যারা কাটামুণ্ড দিয়ে সেলফি তুলে টুইট করেছে, তারা কি আমার থেকেও জনপ্রিয়? আমাকে কোটি কোটি মানুষ এখনো এই সেলফিতে মা মা বলে আরাধনা করে আর তাদেরকে নিন্দা করে। মানুষের কাছে তারা হলো জঙ্গি আর আমি হলাম মমতাময়ী মা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন