লিখেছেন কবীর উদ্দীন
৫৪১.
য়াব্রাহামিক ধর্মগুলির য়াব্বা ইব্রাহিম আঃ ছাগল চুরিতে ধরা পড়ে বলল, য়াল্যা তাকে তার ছেলেকে জবাই করে দিতে বলেছে।
- কী রে হারামজাদা ছাগল চোর! তোর য়াল্ল্যা তোকে তোর ছেলে জবাই করতে বললে তা না ক'রে অন্যের ছাগল চুরি ক'রে জবাই করলি কেন?
৫৪২.
মহাবদ ও আলি ছিল চাচাতভাই। আলি মহাবদকে ডাকতো বদভাই।
ফাতেমা ছিল বদের মেয়ে, আলির ভাতিজি। ফাতেমা আলিকে ডাকতো আলিকাকা, বদকে ডাকতো বদাব্বা।
আলি ও মহাবদ ফাতেমাকে ডাকতো মা-ফাতেমা।
আবু তালেব ছিল আলির বাবা, মহাবদের কাকা, ফাতেমার দাদু।
আবদুল্লাহ ও আমিনা ছিল মহাবদের বাবা-মা। আলি তাদের ডাকতো জ্যাঠা ও জ্যাঠি, ফাতেমা ডাকতো দাদা-দাদী।
কিন্তু ফাতেমার সাথে আলির বিয়ের পর...
মহাবদ ও আলি হয়ে গেল পরস্পরের শ্বশুর-জামাই।
ফাতেমা হয়ে গেল মহাবদের ভাবী, আলির বিবি।
আলিকে এবার সে ডাকতে শুরু করলো স্বামীজি, বদকে ডাকতে শুরু করলো বদ-ভাসুর।
আবু তালেব আলির আব্বা থেকে হয়ে গেল দাদা-শ্বশুর।
নিজের বাপকে আলি ডাকতে লাগলো দাদুভাই, ফাতেমাকে মা থেকে জানু।
আব্দুল্লাহ ও আমিনা মহাবদের বাপ-মা থেকে হয়ে গেল বেহাই-বেহান, এবং ফাতেমার আপন দাদা-দাদী থেকে হয়ে গেল জ্যাঠাশ্বশুর ও জ্যাঠিশাশুড়ি।
৫৪৩.
নবী বোরাকের পিঠে চড়ে মিরাজে গিয়েছিল। এটা নাকি অলৌকিক ব্যাপার। অলৌকিকের কী হলো এতে! আমিও তো মিরাজে গিয়েছি গরুর পিঠে চড়ে।
৫৪৪.
- য়াল্যার আকার নেই কেন?
- য়াল্যা সবকিছু বানিয়েছে। যেমন, মাটি দিয়ে মানুষ বানিয়েছে, আগুন দিয়ে জ্বিন বানিয়েছে, পানি দিয়ে পশু বানিয়েছে। তবে সবার আগে সে নিজেকে নিজে বানিয়েছে। সে নিজেকে নিজে বানানোর সময় নিজেকে বানানোর জন্য কোনো উপকরণ ছিল না। কারণ তার আগে আর কিছুই সে বানায়নি। তাই সে নিজেকে 'কিছু না' দিয়ে বানিয়েছে অগত্যা। যে 'কিছুই না' দ্বারা তৈরি, তার আকার থাকবে কীভাবে?
৫৪৫.
যারা খেতে পায় তাদের রিজিকের মালিক আল্যা। যারা অনাহারে মারা যায়, তাদের রিজিকের মালিক কিন্তু তিনি নন। নাফরমানরা সবক্ষেত্রে খালি আল্যাকে দোষারোপ করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন