লিখেছেন নিলয় নীল
একবারও কি ভেবেছেন, যারা জিহাদি তারাও মানুষ, তাদেরও নুনুভুতি আছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য তারা তাদের পরিবার থেকে বিদায় নিয়ে কোনো না কোনো ইসলামিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অনবরত কাজ করে যায়। অতীতে সাধু-সন্ন্যাসীরা নারীসঙ্গ বর্জন করে জঙ্গলে ঈশ্বরসাধনা করলেও তাদের সুযোগ ছিলো হস্তের দ্বারস্থ হয়ে রেতঃপাত করার। কিন্তু ইসলামে হস্তের দ্বারস্থ হওয়াও মারাত্মক গুনাহ, একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই হস্তের দ্বারস্থ হতে পারে না। তাহলে আল কায়দা, আইএস এর জিহাদি যারা বছরের পর বছর সব কিছু ছেড়ে জিহাদে থাকে, তাদের নুনুভুতির কী হবে?
সম্প্রতি এর সমাধান নিয়ে এসেছেন এক ওয়াহাবি মৌলবী। ইসলামে ইহাকে বলে জিহাদ আল নিকাহ যার বাংলা অর্থ বৈবাহিক জিহাদ। নাস্তিকেরা সমালোচনা করে বলে, যৌন জিহাদ। জিহাদ আল নিকাহ অনুযায়ী যেসব জিহাদি জিহাদ করবে, জিহাদের মাঠে তাদের যৌনচাহিদা মেটাবে একদল নারী জিহাদি। তবে এক্ষেত্রেও বিবাহ করতে হবে, কারণ ইসলাম কখনোই বিবাহ-বহির্ভূত যৌনতা স্বীকার করে না।
সম্প্রতি ৩ জন সুন্নি মুসলমান নারী মালয়েশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্যে গেছে আইএস যোদ্ধাদের যৌনতৃপ্তি দিতে। গত জুন মাসে এই জিহাদ আল নিকার ডাক দেওয়া হয়েছিল আইএস-এর তরফ থেকে। খবরটা মালয়েশিয়ার ইনসাইডার নিউজ পোর্টালের। তারা আবার খবরটা পায় মালয়েশীয় গুপ্তচর বিভাগের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে। আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী মুসলমান পরিবারবর্গের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল, তাদের কুমারী কন্যাদের বৈবাহিক জিহাদের জন্য তাদের কাছে পাঠাতে।
শুধু মালয়েশিয়া থেকেই নয়, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেন থেকেও একাধিক সুন্নি পরিবারের মহিলারা এভাবে মধ্যপ্রাচ্য যাত্রা করেছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশীয় গুপ্তচর বিভাগের কর্মকর্তাটি। ব্রিটেনের যে ৬০০ নাগরিক আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, তাদের সকলে ‘ফ্রন্ট লাইনে' নেই: কিছু মুসলমান মহিলা পুরুষ যোদ্ধাদের যৌনসঙ্গ দিচ্ছে বলে কর্মকর্তাটি জানান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন