লিখেছেন গ্রন্থকীট রাজন
দেবী দূর্গাকে বলা হয় শক্তির দেবী। আজকে আমরা এই শক্তির দেবীকে নিয়ে একটু শক্তি বিষয়ক আলোচনা করবো। ভাবছেন, দেবীর সাথে পদার্থের কচকচানি কেন! আগে পড়ুন তো, মশায়...
কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। শক্তির রয়েছে বিভিন্ন রূপ। তবে মোটামুটিভাবে আমরা দশটা রূপ দেখতে পাই। আর দেবী দূর্গার ঐ দশ হাত শক্তির এই বহুরূপিতাকে প্রতীকীভাবে নির্দেশ করে।
এবার আসুন, প্রত্যেক হাতে আমরা শক্তির একেকটা রূপ বসাতে থাকি।
১.যান্ত্রিক শক্তি
২.তাপশক্তি
৩.শব্দশক্তি
৪.আলোকশক্তি
৫.চৌম্বক শক্তি
৬.বিদ্যুৎশক্তি
৭.রাসায়নিক শক্তি
৮.নিউক্লীয় শক্তি
৯.সৌরশক্তি
কেবল তো নয়টা হাত পূর্ণ হল, আরেকটা কই? আছে, সেটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং আজকের দিনের সব থেকে শক্তিশালী শক্তি। তার নাম হল 'জ্ঞানশক্তি'।
কী ভাবছেন, জ্ঞান আবার শক্তি হল কবে? গভীরভাবে ভাবুন, আর যদি না পারেন তাহলে ছোটবেলায় পাঠশালায় শেখা "জ্ঞানই শক্তি" কথাটা স্মরণ করার চেষ্টা করুন।
দেবী দশভূজার প্রধান দুই হস্তের একটিতে ছিল এই জ্ঞানশক্তি। যখন মহিষাসুরকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন দেবী দূর্গা, তখন দেখলেন, এক হাত দিয়ে ত্রিশুল ধরে সেরকম ফিলিংসও আসে না, আবার শক্তিপ্রয়োগও ভালমত হয় না। তাই তিনি এক হাতের জ্ঞানশক্তি দেবী স্বরস্বতীর নিকট রাখলেন, সেই থেকে দেবী স্বরস্বতী হয়ে গেলেন বিদ্যাবুদ্ধি আর সঙ্গীতের দেবী।
শক্তির দেবী দূর্গা দুই হাত দিয়ে ধরে ত্রিশূল গেঁথে দিলেন মহিষাসুরের বুকে। অসুর নিধন শেষ, কিন্তু এ কী! দেবী দূর্গা আর নড়নচড়ন করেন না! ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন সম্মুখের দিকে। তখন বোঝা গেল, জ্ঞানহারা হওয়ার কারণে দেবীর এই দশা। এত শক্তির অধিকারী হওয়ার পরেও তিনি অক্ষমে পরিণত হলেন।
সেই মহিষাসুরকে বধের পরে এ ধরণীর বুকে লক্ষ লক্ষ অসুরের আবির্ভাব হল, কত দূর্বৃত্ত দেবীর কল্লা ফেলে দিল, তবুও দেবী নির্বিকার হয়ে রইলেন।
আচ্ছা, আধুনিক বেদ-পুরাণ আমাকে লিখতে দিলে কেমন হয়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন