লিখেছেন ইসলামের বস্ত্রহরণ
ইছলামি মহাপণ্ডিতগণের মতে, আল্যাফাক প্রথমে কলম আবিষ্কার করল, তারপর কাগজ আবিষ্কার করল, তারপর কলমরে বলল, এই কলম, লেখ....
সেই কলম তারপর আল্যাফাকের নির্দেশমত তর তর করে নুরানি কুরানের পাণ্ডুলিপি লিখে ফেলল। তারপর আল্যাফাক সেই পাণ্ডুলিপি নিজস্ব প্রিন্টিং প্রেস থেকে এক কপি ছাপিয়ে জিব্রাইলকে দিয়ে মহাউন্মাদের কাছে হেরা পর্বতের গুহায় পাঠিয়ে দিল। আর সেটিই হচ্ছে পিছলামি ভাইদের...
১.. পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ।
২. আসমানি কিতাব।
৩. পবিত্র কুরানুল করিম।
৪. মানব সম্প্রদায়ের সম্পূর্ণ জীবনবিধান
৫. জগতের সমস্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার
৬. এভাবে অসীম সংখ্যা পর্যন্ত লেখা যাবে....
পিছলামী ভাইরা কিছুতেই কোরান সংকলনের ইতিহাসকে স্বীকার করতে চায় না... তাহলে তাদের প্লাস্টিকের ইমান ভেঙে পড়বে। কিন্তু কোরান সংগ্র্রহের প্রকৃত ইতিহাস জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি, যা নিম্নে বর্ণিত হল:
প্রথমেই জেনে রাখা উচিত, সম্পূর্ণ কোরান একসঙ্গে নাজিল হয়নি। মহাউন্মাদ চল্লিশ বছর বয়সে যখন নবুয়ত প্রাপ্তির ভেক ধরে, তখন থেকে তার তেষট্টি বছর বয়স পর্যন্ত (ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত) ক্রমশ তেইশ বছর ধরে কোরান নাজিল হয়। কোরানের অনেক আয়াত মক্কায় এবং অনেক আয়াত মদিনায় নাজিল হয়। এই কারণে কোরানের ১১৪ টি সুরা মক্কা ও মদিনা এই দুই ভাগে বিভক্ত। কোরান পড়লে বোঝা যায় এই বিভক্তিকরনের পেছনে কোনো বিশেষ মনযোগ দেওয়া হয়নি।
প্রথম দিকের সুরাগুলোর চাইতে শেষের দিকের সুরাগুলো আকারে ছোট। প্রথম সুরা অর্থাৎ সুরা ফাতিহা মক্কায় এবং সুরা বাকারা মদিনায় নাজিল হয়েছে। অতএব একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় মহাউন্মাদের জীবদ্দশায় কোরান বর্তমান ধর্মগ্রন্থের মত সম্পাদিত হয়নি। কোরানে বর্ণিত কিতাব শব্দটিও কোরানের বর্তমান রূপের দিকে কোনোরূপ ইঙ্গিত করে না। মহাউন্মাদের জীবদ্দশায় কোরানের আয়াতগুলোকে সতর্কতার সাথে চামড়া, রেশমি কাপড় অথবা প্রাণীর হাড়ে লিপিবদ্ধ করে রাখা হত। মহাউন্মাদের অনেক সাহাবি আয়াতগুলো মুখস্থ করে রাখত।
কিন্তু পরবর্তীতে তেলাওয়াতের সময় আয়াতগুলোর মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা দিতে লাগল। তাই পিছলামের তৃতীয় খলিফা ওসমান কোরানকে গ্রন্থাকারে সংকলনের প্রয়োজন অনুভব করেন। সেই সময়ে খলিফা বা উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য মহাউন্মাদের অনুসারীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠে। সেই যুদ্ধে মহাউন্মাদের নাতি হাসান হোসেনের মৃত্যু হয়। বিবাদের কারণ ছিল মহাউন্মাদের উত্তরাধিকারী কারা হবে? মহাউন্মাদের রক্তধারীরা নাকি ধর্মধারীরা? মহাউন্মাদের রক্তধারীরা হয়ে গেল শিয়া আর ধর্মধারীরা হয়ে গেল সুন্নী। তারপর কী হলো, তা কারে অজানা নয়। শিয়া-সুন্নী যুদ্ধ এখনো বন্ধ হয়নি, হবেও না।
বর্তমানের আমরা বাল কোরানকে যেভাবে দেখি, তা সংকলিত হয় খলিফা ওসমানের আমলে। সে ছিল সুন্নী পুছলিমদের প্রধান। অপরদিকে শিয়াদের বক্তব্য হচ্ছে, বাল কোরানে অনেক আয়াত ও সুরা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। যেমন সুরা 'সিজদার'; তারা আরও বলে যে, সুন্নীরা বাল কোরানের দশ পারা কমিয়ে ত্রিশ করে ফেলেছে যা আসলে ছিল চল্লিশ।
এর পরও পিছলামী ভাইয়েরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চটি বাল কোরানের এসব সত্য স্বীকার করা তো দুরে থাক, কেউ এসব সত্য প্রকাশ করলেই তার জন্ম বিষয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ে, তার মা-বোনের সাথে সঙ্গমেচ্ছা প্রকাশ করে, শান্তিপূর্ণে উপায়ে সহী তরিকায় কল্লা নামিয়ে ফেলার গ্যারান্টি পর্যন্ত দিয়ে দেয়।
হুব্বল তাদের হেদায়েত দান করুক।
[বি.দ্র. হুব্বল হল কুরাইশদের সৃষ্টিকর্তা দেবতা। কুরাইশরা “আলাল হুব্বল” অর্থাৎ "হুব্বলের জয় হোক" এই শ্লোগান দিত। জারজ নবী সেটা কপি করে “আল্যাহু আকবর” বানিয়ে ফেলেছে। আল্যা আগে থেকেই কুরাইশদের একজন দেবতা হিসেবে ছিল। আর জারজ নবী তাকে প্রমোশন দিয়ে একেবারে মহান সৃষ্টিকর্তা বানিয়ে ফেলে। তাইতো হজরত বাল্যাফাকের এত পেয়ারা।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন