আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৪

টঙ্গি হতে পারে দ্বিতীয় মক্কা

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

বিশ্ব ইজতেমার মত আন্তর্জাতিক সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। সৌদি সরকার হজ্জ ব্যবসা দিয়ে প্রতি বছর বহু টাকা কামাচ্ছে। নবিজীর তলোয়ার মোবারক, পাদুকা মোবারক, ঢাল মোবারক, বদনা মোবারক, 'আল্লাহ' নাম ছাপ্পড় মারা জাঙ্গিয়া মোবারক - ইত্যাদি ইত্যাদি "মোবারক" দেখানোর লোভ দেখিয়ে সৌদি আরব প্রতি বছর মুসলিমদেরকে নিজের দেশে নিয়ে গিয়ে ডলার খরচ করাচ্ছে আর নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙা করছে। 

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশের উচিত বহুমুখী আয়ের উৎস খুঁজে বের করা। "ধর্ম" এক্ষেত্রে উৎপাদনের দারুণ রসদ। কারণ বাংলাদেশের বেশির ভাগ জনগণ সরল, বিশ্বাসপ্রবণ এবং সর্বোপরি অন্ধ হওয়াতে তারা ধর্ম দ্বারা দারুণভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকে। ইজতেমা এক্ষেত্রে হজ্জ ব্যবসার মত খুবই কার্যকরি একটা ব্যবসা। লোকসানের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ইজতেমার আকর্ষণ বাড়াতে হলে অলৌকিক কিছু দেখানো প্রয়োজন, যাতে করে মুসলিম উম্মাহ আবেগতাড়িত হয়। উদাহরণ হিসেবে একটা অলৌকিক বাঁশের কথা বলা যেতে পারে:
এই হচ্ছে সেই ৭০ কানাওয়ালা বিশিষ্ট বাঁশ যেটির কথা পবিত্র কুরানে বর্ণিত আছে... একবার রাসূল (সাঃ) বাংলাদেশ ভ্রমণকালে এই বাঁশটি টংগীতে পুঁতে যান। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) টঙ্গিবাসিকে দেয়া এই বাঁশের অলৌকিকত্ব হচ্ছে, এটা সেই সুমহান বাঁশ যার কানা জগতের কোনো গণিতবিদ গুনে শেষ করতে পারবে না, টঙ্গিবাসী তো দূরের কথা! যাই হোক, কথা হচ্ছে - ইতিহাস বিকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত ভুলে এই তথ্যটি ইসলামের ইতিহাসে এতদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি বা পবিত্র কুরান থেকে অজানা কারণে বাদ পড়েছিল (উল্লেখ্য অরিজিনাল কুরানটি সম্প্রতি সৌদি আরবের বিশেষ জায়গায় ৭০ হাত নিচে পাওয়া গেছে, যেখানে উল্লেখ আছে: "আমি সেই ৭০ কানাওয়ালা বাঁশের শপথ খেয়ে বলছি, যেটি ধুতি পরা লোকদের দেশে পোঁতা আছে, তোমরা আর কোন কোন নিয়ামত অস্বীকার করবে ...” )। 
বলা বাহুল্য, এই বাঁশে স্বাক্ষরজ্ঞানহীন রাসুলের অক্কা বা স্বাক্ষর থাকবে এবং 'আল্লাহ' নামটি খচিত থাকবে। আর এই মোহাম্মদ (সাঃ) এর বাঁশ দর্শনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ বানের জলে ভেসে আসবে বাংলাদেশে। টাকার জোয়ার বয়ে যাবে বাংলাদেশে। 

তবে সৌদি সরকারকে খবরটি সত্যায়নের জন্য প্রতি বছর একটা পার্সেন্টেজ দেয়ার চুক্তিতে ইসলামের ইতিহাসে বা পবিত্র কোরানে এই তথ্যটি সংযোজন করা যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন