লিখেছেন জল্লাদ মিয়া
মুহাম্মদ উল্টা-ফাল্টা কথা বলিয়া নিজে বিপদে পড়িত, এবং অন্যদেরও বিপদে ফালাইত। যেমন, নামাজের কথা বলিয়া নিজেরও নামাজ পড়িতে হইতো (নিজে না পড়িলে আবার মিথ্যাবাদি রূপে গণ্য হওয়ার আশংকা আছিল), অন্যদেরও পড়িতে হইতো। এর থেকে আজও আমরা মুক্তি পাই নাই। নামাজ যে না পড়ে, সে সমাজে খারাপ লোক বলে বিবেচিত হয়। মুহাম্মাদের জামানার লোকজন বড় মূর্খ আছিল। তা না হইলে কেহ এমন আজগুবি কথা বিশ্বাস করে!
মুহাম্মদ নিজে যাহা বলিত তাহা নিজেও ফালন করিত। ফলে মিথ্যাবাদি মুহাম্মদ আল আমিন খেতাবও পাইয়্যাছিল। আমার কাহিনী এইখান থেকে শুরু।
যেহেতু মুহাম্মদ একবার বিপদে পড়িয়া বলিয়া ফেলিয়াছিল, ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করা সওয়াবের কাজ, তখন থেকে মুহাম্মদ নিজেও ঢিলা-কুলুখ ব্যবহার করিত, এবং পাশাপাশি তার সাহাবীরাও। সওয়াবের আশায়। একদিন মুহাম্মদ মাল ফালাইবার পরে ঢিলা লইয়্যাছিল। থার্টি হর্স পাওয়ার থাকার কারণে মুহাম্মদের মাল একটু বেশি আঠালো আছিল। এর ফলে ওইবার ঢিলা ব্যবহার করিবার সময় ঢিলা হইতে কিছু ধূলাবালি মুহাম্মদের মাল-মাখা নুনুতে লাগিয়া রইয়্যাছিল। মুহাম্মদ এইডারে গুরুত্ব দেয় নাই। নুনু না ধুইয়্যা নিজের কাজ করিতেছিল। কাজ করিতে করিতে হডাত্ করি নুনুতে চুলকানি অনুভব করিল।
নুনু চুলকায় আর চুলকায়। মুহাম্মদও চুলকায়। ভাগ্যিস আশেপাশে কোনো সাহাবী আছিল না। থাকলে এতক্ষণে কেলেংকারি হইয়্যা যাইত! তো যাই হোক, মুহাম্মদের চুলকানি কিন্তু কমে না। চুলকাইতে চুলকাইতেই কয়েকদিন কাটিয়া গেল। কিন্তু চুলকানি কমে নাই, বরং জ্বালা-পোড়া করতাছে।
এক সময় জ্বালা-পোড়া জঘন্য রূপ ধারণ করল। আর পারা যায় না। সহ্যের একটা সীমা আছে। মুহাম্মদ ছুটিল কবিরাজের খোজে। অবশেষে কবিরাজের দরবারে পৌছিল।
কবিরাজ মুহাম্মদের নুনু দেখিতে লজ্জা পাইতেছিলেন। তবুও নবীর যন্ত্রণা বলে কথা! কবিরাজ তাড়াতাড়ি চিকিত্সায় হাত দিলেন। ভাল করিয়া মুহাম্মদের নুনু পরীক্ষা করিয়া বিরস বলিলেন, "নুনুর অগ্রভাগ কাটিয়া ফেলিতে হইবে! এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই!"
মুহাম্মদ আর সহ্য করিতে পারতেছিলেন। যন্ত্রণা অতি মাত্রায় বাড়িয়া গিয়াছিল। তাই তিনি নুনু কাটায় রাজি হইয়্যা গেলেন। ইংরেজিতে একখানা গল্ফ আছে, নাম A fox without a tail. মুহাম্মদও ঐ শেয়ালের কাণ্ডটাই করিলেন। ঘোষণা করিয়া দিলেন, প্রত্যেক মোছলমানের নুনু কাটা ফরজ!
সেই থেকে আমাদের নুনু কাটা ফরজ হইয়্যা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন