লিখেছেন শ্রোডিঞ্জারের বিড়াল
মুহাম্মদের বিড়াল খুব পছন্দ ছিল, একবার ছোটকালে হুজুরের কাছে শুনছিলাম, নবী নাকি বিড়াল কোলে নিয়াও নামাজ পড়েছেন।
বিড়াল বাস্তবে বেশ বিশ্বাসঘাতক, স্বার্থপর এবং মানুষের কোন কাজে আসেনা।
কিন্তু ওই যে মুহাম্মদের বিড়াল পছন্দ ছিল, তাই বিড়ালই ইসলামে পাক-পবিত্র, ভাল প্রাণী, বিড়াল পালাকে মোটেও খারাপ চোখে দেখা হয় না...
মুহাম্মদের ছোটবেলায়, সম্ভবত, কালো কুকুর বা কুকুর রিলেটেড কোনো ট্রমাটিক অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মুহাম্মদ কুকুর দু'চোখে দেখতে পারতো না, ঘৃনা করতো। কুকুর হত্যা-নিধন করতে উৎসাহিত করতো।
কুকুর খুবই প্রভুভক্ত, উপকারী, কৃতজ্ঞ গোছের প্রাণী। ঘর পাহারা, সাপখোপ তাড়ানো, চোর দূরে রাখাসহ কুকুর পালার উপকারিতা বহু।
কিন্তু ওই যে মুহাম্মদ কুকুর ঘৃনা করতো, তাই কুকুর ইসলামে অপবিত্র ঘৃণীত এবং অসভ্য প্রাণী। কুকুর পালা তো দূরের কথা, কাছে যাওয়া বা ছোঁয়াও খারাপ কাজ। কুকুর সম্পর্কে ইসলাম বড়ই অসহিষ্ণু।
মোহাম্মদের পছন্দ-অপছন্দ আর ইসলাম তথা আল্লাহর পছন্দ-অপছন্দের কী অদ্ভুত মিল, তাই না? মুহাম্মদ যা চান, আল্লাহ, দেখি, তা-ই করেন।
চার বিয়ের নিয়ম, আল্লাহ মুহাম্মদের কাম-বাসনা পূরণে সে নিয়ম ভাংলেন...
আয়েশা পরকীয়া কইরা ধরা পড়লো, কিন্তু মুহাম্মদ তার প্রিয় বিবিরে কীভাবে নিজেরই বানানো নিয়মে পাথর মেরে মারবে! এসে গেল চার সাক্ষী নিয়ম...
আরো কত কী!
আয়েশা নিজেই একবার মোহাম্মদকে টিটকারি মেরে বলেছিল: "তোমার আল্লাহতো দেখি তোমাকে খুশি করতে বড়ই মশগুল..." (সহীহ বুখারি হাদিস, ভলিউম ৬, বই ৬০, নম্বর ৩১১ এবং সহীহ মুসলিম, নম্বর ৩৪৫৩)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন