আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪

ডাকাতকে ডাকাত বলিয়ো না

লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

দুষ্টু নাস্তিকরা বলে থাকে, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাকি রাতের আঁধারে চোরের মত বিভিন্ন গোত্রের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে তাদের মালামাল লুট করতেন। নাস্তিক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তো আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীকে সরাসরি ডাকাতই বলে দিয়েছেন। নবীজি আসলেই যুদ্ধ করতেন নাকি ডাকাতি করতেন, আসুন জেনে নেয়া যাক এই সংক্রান্ত সংগ্রহে রাখার মত কিছু হাদিস থেকে:

১.
সহীহ বুখারি (ইফা) ২৩৭৩ আলী ইবনু হাসান ইবনু শাকীক (রহঃ) ইবনু আউন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাফি’ (রহঃ)-কে পত্রে লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমালে লিখলেন যে, বনী মুস্তালিক গোত্রেরে উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিলো। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিন জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন)-কে লাভ করেন। (নাফি’র র বলেন) আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন।

২.
জামে তিরমিজী ১৬২৪। হাসান ইবনু আলী খাল্লাল (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সময় ছাড়া অতর্কিত হামলা চালাতেন না। আযানের আওয়ায শুনলে বিরত হয়ে যেতেন। তা না হলে হামলা করতেন। একদিন তিনি (এমতাবস্থায় আযানের শব্দ) শোনার জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শুনলেন আল্লাহ আকবর আল্লাহ আকবর। তিনি বললেন দীনে ফিতরাতের উপর এ প্রতিষ্ঠত। লোকটি বলল, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু তিনি বললেন, জাহান্নাম থেকে তুমি নাজাত পেয়ে গেলে। হাসান (রহঃ) বলেন, ওয়ালীদ-হাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) সূত্র উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

৩.
জামে তিরমিজী ১৫৮৬। মুহাম্মদ ইবনু গায়লান (রহঃ) সুলায়ম ইবনু আমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু‘আবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহ ও রোমবাসীদের মধ্যে একটি (মেয়াদী) চুক্তি হয়েছিল। পরে তিনি (তাঁর বাহিনীসহ) তাদের এলাকার নিকটবর্তী স্থানে যেয়ে উপনীত হলেন এবং চুক্তির মেয়াদ যখন শেষ হল তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে অতর্কিত হামলা চালালেন। ... ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

৪.
জামে তিরমিজী ১৫৭৫। কুতায়বা (রহঃ) উমার রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কোন এক গাযওয়ায় (অভিযানে) এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং নারী ও শিশু হত্যা নিষিদ্ধ করে দেন। এই বিষয়ে বুরায়দা, রাবাহ বলা হয় রাবাহ ইবনু রাবী, আসওয়াদ ইবনু সারী‘, ইবনু আব্বাস, সাব ইবনু জাছছামা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। তারা নারী ও শিশু হত্যা হারাম বলে মত প্রকাশ করেছেন। এ হলো সুফইয়া ছাওরী ও শাফিঈ (রহঃ) -এর অভিমত। কতক আলিম রাত্রে অতর্কিত আক্রমণ এবং এমতাবস্থায় নারী ও শিশু হত্যার অনুমোদন দিয়েছেন। এ হলো আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) -এর অভিমত। তাঁরা উভয়েই রাত্রিতে অতর্কিত হামলা পরিচালনা করার অবকাশ রেখেছেন।

৫.
জামে তিরমিজী ১৫৫৭। কুতায়বা ও মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সম্প্রদায়ের উপর বিজয় লাভ করতেন তখন তাদের অঞ্চলে তিন দিন অবস্থান করতেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। হুমায়স-আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিও (১৫৫৬ নং) হাসান-সহীহ। কতক আলিম রাতে অতর্কিত আক্রমণের অবকাশ রেখেছেন। আর কতক আলিম এটিকে মাকরূহ বা নিন্দনীয় বলে মনে করেন। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেন, রাত্রে শত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় কোন অসুবিধা নেই।

৬.
জামে তিরমিজী ১৫৫৬। আনসারী (রহঃ) আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের অভিযানের বের হলে রাতে এসে সেখানে পৌছেন। তিনি কোথাও রাতে এলে সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অতর্কিত আক্রমণ করতেন না। যা হোক, সকালে খায়বারের ইয়াহূদীরা তাদের কোদাল ঝুড়িসহ (কাজের উদ্দেশ্যে) বের হল। যখন তারা তাঁকে দেখল তখন বলতে লাগল, মুহাম্মদ, আল্লাহর কসম মুহাম্মদ তার বিরাট পূর্ণাঙ্গ বাহিনী নিয়ে এসে গেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ আকবর, খায়বার বিনষ্ট হয়ে গেল, আমরা যখন কোন শত্রু সম্প্রদায়ের অঙ্গনে অবতরণ করি তখন যাদের সতর্ক করা হয়েছিল কতই না মন্দ হয় তাদের সেই ভোর।

৭.
সহীহ মুসলিম ৪৩৯৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, সাঈদ ইবনু মনসূর ও আমর আন নাকিদ (রহঃ) সাব ইবনু জাছছামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, মুশরিকদের শিশু সন্তান সম্পর্কে, যখন রাতের আধারে অতর্কিত আক্রমণ করা হয়, তখন তাদের নারী ও শিশুরাও আক্রান্ত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তারাও তাদের (মুশরিক যোদ্ধাদের) অন্তর্ভুক্ত।

৮.
সহীহ মুসলিম ৪৪০০। আবদ ইবনু হুমাইদ (রহঃ) সাব ইবনু জাছছামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমরা-রাতের আধারে অতর্কিত আক্রমণে মুশরিকদের শিশুদের উপরও আঘাত করে ফেলি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ, তারাও তাদের (মুশরিক যোদ্ধাদের) অন্তর্গত।

৮.
সহীহ মুসলিম ৪৪২১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) সালামা (রাঃ) বলেনঃ, আমরা ফাযারা গোত্রের সাথে যুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের আমীর ছিলেন আবূ বাকর (রাঃ)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আমাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন যখন আমাদের এবং পানির স্থানের মাঝে এক ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান ছিল, তখন আবূ বাকর (রাঃ) আমাদেরকে রাতের শেষের দিকে সেখানে অবতরণের নির্দেশ দিলেন। সূতরাং আমরা রাতের শেষাংশেই সেখানে অবতরণ করলাম। এরপর বিভিন্ন দিক দিয়ে অতর্কিত আক্রমণ চালালেন এবং পানি পর্যন্ত পৌছালেন। আর যাদের পেলেন হত্যা করলেন এবং বন্দী করলেন।...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন