লিখেছেন আতিক বণিক
ধর্ম একজন বৃদ্ধ লোককেও ৬ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করে ভোগ করার সুযোগ দেয়, সুতরাং ধর্ম ছাড়া সম্ভব নয়। ধার্মিক মূর্খদের কিছুটা সময় ধর্মের কাল্পনিক বাণী শোনালে পকেটে হাজার হাজার টাকা চলে আসে, সুতরাং ধর্ম ছাড়া সম্ভব নয়। ধর্মের ঐ বিষাক্ত ফার্মের কালো অন্ধকারে কিছু আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা-নওজোয়ান-পুরুষ-নারীকে কাল্পনিক স্বর্গের গল্প শোনালেই সবার চোখে হিরো হওয়া সম্ভব, তাই ধর্ম ছাড়া অসম্ভব।
এমন মনভাবনা নিয়ে অনেক ধার্মিক বেঁচে থাকে, মূলত তাদের উদ্দেশ্য - ধর্মে বিশ্বাসী অজ্ঞানী মূর্খদের ধর্মের বাণী শুনিয়ে সবার চোখে নিজে ভালো হওয়া এবং সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলা। এখানে উদাহরণস্বরূপ বাংলার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার সাঈদীর ব্যপারটা ধরা যাক। একজন যুদ্ধাপরাধী থেকে দেশের হাজারো অশিক্ষিত মূর্খ ধার্মিকদের ধর্মের বাণী শুনিয়ে আজ এমন এক স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে যে, তার জন্য অজ্ঞানী মূর্খ ধার্মিক সম্প্রদায় জান পর্যন্ত দেওয়ার সাহস করে বসে।
ঠিক তেমনি ভাবে শুধু এই বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশে এমন কুচক্র বসবাস করে থাকে। ধর্ম নামে মতলব নিয়ে খাঁটি ধার্মিক সেজে অজ্ঞানী মূর্খ ধার্মিকদের মগজে এরা বসত করে। ধর্মীয় আগাছা মার্কা কুটকুটে অন্ধকার একটি ঘরের মধ্য বন্দী করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে এই সমস্ত ভণ্ডের দল। এখানে অবশ্য আমাদের তেতুল হুজুরের উদাহরণটা মিলে যায়।
শুধু যে কুচক্ররা ধর্ম পালন করে ধর্মের কুটকুটে অন্ধকারে বসত করে তা ছড়িয়ে দিয়ে ধর্মীয় বড় স্কলার হয়, এমন নয় কিন্তু। বরং এই পৃথিবীতে ১০০% ধার্মিকদের মধ্যে, অনুমান করা যায়, ৮৫% ধার্মিকই অন্ধ বিশ্বাসী।
অনেক বড় বড় ধর্মীয় স্কলার আছেন, যাঁরা এক কথায় ধর্মের প্রতি, কাল্পনিক ঈশ্বরের প্রতি, নবী বা দূতের প্রতি অন্ধবিশ্বাস নিয়ে ধর্ম পালন করেন এবং তাঁরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন বা দেবার চেষ্টা করেন। শুধু ধর্মীয় স্কলাররাই নয়, আমাদের সমাজের সাধারণ মানুষ ধর্মীয় রীতিনীতি কাল্পনিক চরিত্রের ঈশ্বরের প্রতি এমন ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করেছে যে, কেউ এই সম্পর্কে কথা বললেই তার ফাঁসি দাবি করে বসে।
অবাস্তবতার দিকে ধর্মীয় রীতিনীতি চালচলন দেখে যদি কোনো সভ্য মানুষ বাস্তব ও সত্য কথা বলতে যায় তাহলে তার অবস্থা কী হবে, সেটা হুমায়ুন আজাদ স্যারের কথা চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।
অবাস্তবতার অসৎ কুটকুটে কালো অন্ধকার ধর্মীয় বন্ধ ঘর থেকে কখন মুক্তি পাবে কোটি কোটি জনতা? কখন বাস্তবতা বুঝতে পারবে? কখন নতুন দিগন্তে অগ্রযাত্রা হবে সত্যের পথে সুন্দরের পথে? এইসব মাঝে মাঝে চিন্তা করি, কিন্তু এটা চিরন্তন সত্য যে, এই সমস্ত অন্ধ বিশ্বাসীরা কখনো বাস্তবতা আর অবাস্তবতার পার্থক্য বুঝতে চায় না। এরা সব সময় অন্ধকার ঘরে দরজা বন্ধ করেই বসে থাকে, তবে কিছু মানুষ বাস্তবতা এবং সত্যতা বুঝতে পেরে এখন অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথে। এটাই হয়তো আমাদের সার্থকতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন