অবতীর্ণ হয়েছে বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ-এর ওপর
যে সকল প্রশংসা জোর করিয়া আদায় করিয়া লইতে চায়, সে প্রশংসারই অযোগ্য।
১. ভাবিয়া দেখ ঐ বিশ্বাসীদের কথা
২. যাহারা তোমাদেরও গায়ের জোরে বিশ্বাসী বানাইতে চায় এক অন্ধবিশ্বাসে।
৩. কিন্তু তাহারা ভাবিয়া দেখে না যে, তাহাদের বিশ্বাসেরই কোনো ভিত্তি-প্রমাণ নাই।
৪. যাহারা কথা প্যাঁচাইয়া যায় আধার হইতে আলোক অবধি।
৫. আমি কি তোমাদের বলিনি যে, তাহারা তোমাদের সময় নষ্ট ব্যতীত কিছুই করিবে না;
৬. অথচ তোমরা তাহাদের দিনের পর দিন বুঝাইতে চাও কোন আশায়? যাহাদের জ্ঞান আছে, তাহারা অল্পতেই বুঝিয়া যায়, আর বাকিরা ত্যানা প্যাঁচাইতে প্যাঁচাইতে ত্যানা ছিঁড়িয়া ফেলে।
৭. যদিও তাহারা অন্ধবিশ্বাস করিবে আদি যুগের কিছু ভ্রান্ত রূপকথায়;
৮. যে অন্ধবিশ্বাস শিশুকাল হইতেই তাহাদের মস্তিস্কে ঢুকাইয়াছে পরিবার ও সমাজ।
৯. সেই অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত হইতে মস্তিস্কে যে নিউরন কোষের প্রয়োজন, তাহা খুলিয়া ভাজিয়া খাইয়া ফেলিয়াছে টুপি ও পৈতাওয়ালারা।
১০. এবং সেই খালি করোটিতে তাহারা ঢুকাইয়াছে অনন্তকালের লোভ ও ভয়।
১১. তাহাদের জন্য যখন ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্সের সহিত যুক্তিযুক্ত বক্তব্য পেশ করা হয়, তখন তাহারা তাচ্ছিল্যের সহিত অবিশ্বাসীদের বলে, তোমাদের মত মুর্খদের সহিত আমরা কী আলোচনা করিবো? তোমরা তো ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জানো না।
১২. পক্ষান্তরে তাহারাই প্রকৃত মুর্খ এবং ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে কোনো সঠিক জ্ঞানই তাহারা রাখে না।
১৩. তাহারা নিজেরাই ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করে তাহাদের ধর্মীয় গুরুদের বয়ান শুনিয়া ও টিভিতে দেখিয়া।
১৪. ধর্মগুরুরা তাহাদের শিশুকাল হইতে যাহাই বুঝাইয়াছে, উহারাও তাহাতেই মাথা ঝাঁকাইয়া বলিয়াছে, জ্বী হুজুর, যদিও সেই কথা যতই কাল্পনিক রূপকথা হউক না কেন।
১৫. তাহারা নিজেরাও কখনো ধর্ম নিয়া প্রশ্ন করে নাই কাল্পনিক নরকে যাইবার ভয়ে, এবং কেহ প্রশ্ন করিলেও উহারা তাহা সহ্য করিতে পারে না অন্ধবিশ্বাস হারাইবার ভয়ে।
১৬. তাহারা জ্ঞান-বিজ্ঞানবিমুখ এক অদ্ভুত প্রজাতির অন্ধ-বিশ্বাসী।
১৭. এই সেই সূরা, যাহাতে অবিশ্বাস করিবার জন্য কোনোই সন্দেহ নেই অবিশ্বাসীদের জন্য।
১৮. তবুও বিশ্বাসীরা এই সূরাতে আসিয়া প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিবে, ইহাতে ভুল আছে।
১৮. যদিও এই সূরা তাহাদের ধর্মগ্রন্থের চ্যালেঞ্জ ভাঙ্গিতে সক্ষম।
১৯. কিন্তু তাহারা যতই এই সূরা ভুল প্রমান করিতে চেষ্টা করিবে, ততই এই সূরা তাহার সত্যতা প্রকাশ করিবে এবং নিজের বিস্তার ঘটাইবে।
২০. যদিও তাহারা বলিবে, এই সূরা তাহাদের ধর্মগ্রন্থের ন্যায় হয় নাই।
২১. যাহারা উক্ত কথা বলিবে, আমি তাহাদের চ্যালেঞ্জ করিবো - এই সূরার অনুরূপ একটি সূরা রচনা করিয়া আনো সমস্ত বিশ্বের বিশ্বাসীদের সাথে করিয়া।
২২. যদিও তোমরা তাহা পারিবে না অযথা বাক্য ব্যবহার ছাড়া, কারণ অন্ধবিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে, ঈশ্বরই একমাত্র সূরা রচিতে সক্ষম।
২৩. কিন্তু তোমরা কি দেখিতেছ না এই সূরা কাহার রচনা?
২৪. ইহাতেই কি প্রমাণ হইবে আমি ঈশ্বর?
২৫. যদিও বিশ্বাসীদের কথা অনুযায়ী আমার ঈশ্বর হইবার কথা, তবুও আমি ঈশ্বর নহি, আমাদের কোনো ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান নামক প্রভু নাই।
২৬. গবাদী পশুদের প্রভুর দরকার হইলেও মানুষের কোনো প্রভুর দরকার নাই। আমরা মানুষ, মনুষ্যত্বই আমাদের প্রভু।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন