আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৪

আল্লাহ - 'হেফাজতে শয়তান'-এর আমির

লিখেছেন ক্যাট ম্যান

আল-কুরআনে বলা হয়েছে:
... এবং শয়তানদের মধ্যে কতক তাহার জন্য ডুবুরীর কাজ করিত, ইহা ব্যতীত অন্য কাজও করিত ; আমি উহাদের রক্ষাকারী ছিলাম। 
( সূরা আম্বিয়া, ৮২ )
উক্ত আয়াত থেকে আমরা জানতে পারি, আল্লাহ শয়তানদের রক্ষা বা হেফাজত করেছিলেন। শয়তানদের হেফাজত করার মাধ্যমে আল্লাহ হেফাজতে শয়তানের আমিরের ভূমিকা পালন করেছেন। শয়তানদের রক্ষা করার জন্য আল্লাহর উক্ত ভূমিকা, ধর্মব্যবসায়ীদের দল হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা তেতুল শফির ভূমিকার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক মুমিন মুসলমান অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে শয়তানের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে থাকেন ; কিন্তু তাঁদের এমন আচরণ ইসলামের দৃষ্টিতে কিছুতেই কাম্য নয়। কারণ শয়তান কোনো মুসলমান তো দূরের কথা, কোনো মানুষেরই কোন প্রকার ক্ষতি করেননি। বরং শ্রদ্ধেয় শয়তান মানুষের জ্ঞানচক্ষু খুলে দিয়েছেন। তাঁর পরামর্শেই মানুষের পৃথিবীতে আসার পথ সুগম হয়। এহেন শয়তানের সহায়তা লাভ করেও মানুষ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা পোষণ না করে কৃতঘ্নের ন্যায় আচরণ করছে। মূর্খ মানব শ্রদ্ধেয় শয়তানের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যুগের পর যুগ ভুল ধারণার বিস্তার ঘটাচ্ছে মানব সমাজে। মানুষ কুসংস্কার ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে লড়াই না করে মানবের পরম সুহৃদ নিরীহ শয়তানের বিরুদ্ধে কল্পিত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে খামোখা অশেষ শক্তি খরচ করছে। প্রতি বছর সারা বিশ্বের সমর্থবান মুসলমানগণ হজ্বব্রত পালন করতে গিয়ে শয়তান ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি কংক্রিটের স্তম্ভ লক্ষ্য করে কঙ্কর নিক্ষেপ করে থাকে। যদিও এর দ্বারা শয়তানের সামান্যতম লোমও উত্পাটন সম্ভব নয়, তারপরও মূর্খ মানব মানবজাতির পরম সুহৃদ শ্রদ্ধেয় শয়তানের বিরুদ্ধে পরম পিশাচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

সেই সম্মানিত শয়তানকে রক্ষার পূর্ণ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন স্বয়ং আল্লাহ। আল-কুরআনে সূরা আম্বিয়ার ৮২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ শ্রদ্ধেয় শয়তানকে যাবতীয় আক্রমণ ও বিরূপ পরিস্থিতি থেকে রক্ষার কথা ঘোষণা করেছেন। অথচ মুনাফিক ও ফাসেক মুমিন মুসলমানগণ শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মূলত আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন; যা শিরকের সামিল। মূর্খ, দাম্ভিক ও ফাসেক মুমিন মুসলমানের শয়তানবিরোধী কোনো অপপ্রয়াস যে সফল হবে না, সেই বিষয়টিই আল্লাহ বোঝাতে চেয়েছেন উক্ত আয়াতে। তাই উক্ত আয়াতের শিক্ষা অনুযায়ী আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহ নিজে শয়তানকে হেফাজতের ঘোষণা দিয়ে নিজেকে হেফাজতে শয়তানের আমির ঘোষণা করেছেন। বিধায় যে সকল মূর্খ মুসলমান শয়তানের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম গঠন করে ইসলাম রক্ষার দাবি জানায়, তাদের সেই চেষ্টা কখনও সফল হবে না।

তাই সকল মুমিন মুসলমানের আশু কর্তব্য হলো, হেফাজতে ইসলাম ত্যাগ করে হেফাজতে শয়তান-এ যোগদান করা ; কারণ হেফাজতে শয়তানই হলো আল্লাহর রহমত ও নেতৃত্বপ্রাপ্ত একমাত্র সহি দল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন