বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

‘শৈষ্যক্ষেত্র’ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণার ব্যাপারে একটি যুগান্তকারী সমাধান

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

আমি পেইসবুকে দেকলাম, এক ধর্মবিদ্দেশি বোলতেসিলো তার কাসে পমান আছে যে, কুরানে নাকি বলা আছে নারিদের যেবাবে ইচ্চা, যখন ইচ্চা ভুগ কর, কারন ‘নারিরা পুরুশের শৈষ্য-খেত্র’!

আমি উকে জিজ্ঞেস কোইল্লাম সে এমন কতা কুতায় দেখসে, সে আমায় বল্লো, পোবিত্র কুরানের ২:২২৩ নাম্বার আয়াতে এমন কতাই ত বোইলতেসে!

তখন উকে আমি কিসু বোলি নাই। নামাজের শময় হোয়ে যাওয়াতে আমি মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করি, সালাত শেশে মহান আল্লাহর দরবারে প্রারথনা করি, আল্লাহ যেন এসব অবুজ বান্দাদের হিদায়েত দান কোইরগা দেন। হিদায়েতের মালিক ত আল্লাহ।

এখন আমি দুটি কতা বলব পোবিত্র কুরানের ঐ আয়াতটা সম্পর্কে।

আমার দুটি কতা শেশে আফনেরা বুইজতে ফাইরবেন, ইসলামে কুন রকোম কুসংস্কারের স্তান নাই। দুটো কতা শেশে আফনেরা আরও জাইনতে ফাইরবেন, যারা নিজেদের আদর্শবাদি ধার্মিক মুনে করে, শেই ইহুদীরা আসলে কতটা কুশংস্কারাচন্ন হোয়ে সিলো তখন।

আশোলে ঘটনা হোয়েছে, মদিনায় ইহুদীরা ঐ শময় মোনে করতো, কুন হাজবেন্ড যোদি উর বিবি’র পিছন দিয়ে ঘুরে গিয়ে বিবি’র অগ্রভাগের রাস্তা দিয়ে উর বংশবিস্তারকারি-দন্ডটি প্রোবেশ করায়, তা হইলে উদের শন্তান হবে ট্যাগরা।

পিছন দিয়া ঘুরি যাই ঐ কাজ কইত্তো মানে আফনেরা আবার মোনে কোইরেন যে, আমি পায়খানার রাস্তা মিন কোইত্তেসি।

একদিন হইছে কি, মক্কা তেকে হিজরত করি আসা এক মুহাজির জোখন রাতে উর পরিবারের পেছন দিয়া ঘুরি গেলো, পিছন তেকে শামনের রাস্তা বরাবর ঐ কাজ শম্পাদন করার খায়েশে, তখন পরিবার বলি উঠল, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুমুতি ছাড়া পিছন দিয়ে কিসু কোরতে উনি দিবেন না। ঐ আনসার বৌ উর হাসবেন্ডকে আরও বলেন,  শুদু মাত্র রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিছন দিয়া কোরতে বোল্লে উনি কোরবেন, নয়ত না, কারন এখন পোরযোন্ত উনার জানা মতে এটা সহিহ তরিকা না।

আফনেরা অনেকে এখন ভাইবতে ফারেন যে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেশ দুনিয়া রাশট্র ফরিচালনার মত কত বড় বড় বিশয় নিয়া মাতা ঘামান, কাজ করেন। অতচ উনাকে এখন ফেয়সালা কোইত্তে হবে - ঐ মুহাজির উর আনসার তার বিবিকে পিছন দিয়ে ঘুরি যাই শামনের রাস্তা বরাবর করবে, নাকি পায়খানার রাস্তা দিয়ে কিসু একটা কোরবে!

বাইয়েরা, তামাম দুনিয়ার শর্বস্রেষ্ঠ দর্ম, মানব জাতির আলোর দিশারি দর্ম ‘ইসলাম’ এর মাহাত্যই ত এই জায়গায়! কারন মহান রাব্বুল আলামিন ত বোলেই দিয়েসেন, ইসলাম হোচ্চে একটি পুরনাংগ জীবন বেবোস্তা। আফনের-আমার সবার জিবনের অতি খুদ্র কিসু, বড় কিসু, শব কিসুর শমাধান ত এই দর্মেই আছে। কি নাস্তিকরা, তুমরা এখন ত পমান পাইতেসো বা বুইজতে ফাইত্তেসো যে ‘ইসলাম একটি পুরনাংগ জীবন বেবোস্তা’!

মুনে আর কুন সন্দেহ আছে নাকি নাস্তিক বাইয়েরা?

তো জাই হোক, ঐ বউ জোখন উর হাসবেন্ড’কে মহানবির কাসে পাঠাল, তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ‘পিছন দিয়ে করা-না করা কুসংস্কার’ পোবলেম এর সমাদান দিয়েসেন পোবিত্র কুরানের ২:২২৩ আয়াতে। যে আয়াতের শানে নুজুল হলো, শামনে বা পিছে যেখান দিয়েই বংশবিস্তারকারি দন্ডটি প্রোবেশ করা হোক না কেন, পোবলেম নাই। তোমাদের বউকে তুমরা যেভাবে ইচ্ছা ভুগ কোইত্তে ফারো, কারন সে ত তুমারই। শস্যক্ষেত্রে যেদিক দিয়ে বা যেভাবেই গমন করা হোক না কেন, তাতে শস্য উত্পাদনে যেমন কোনো সমস্যা হয় না, সে রকমভাবে ঐ স্টাইলে কোইল্লে ত সন্তান উতফাদনে কুন খতি হয় না, এমনকি চুখ ট্যাগরা হোয়ারও কুন শম্পর্ক নাই এর সাতে।

ছবিতে: পেছন দিয়ে কর্ম সম্পাদনের কুফল টেরাচোখ

অতপর সেদিন হতে মদিনার ঘরে ঘরে আনন্দ। এবং শবার ভিতর এতদিন ধরি চোইলতে তাকা একটা কুসংস্কার রহিত হইল।

* বিশেশ দশটোব্বো: পিছন দিয়ে ঘুরি আসি শামনের রাস্তা বরাবর যাওয়ার কতা বোলেচি আমি, পায়খানার রাস্তা দিয়ে পবেশ করানর কতা কিন্তুক বোলি নাই।

**সাবধানতা! পায়খানার রাস্তা দিয়া করা ইসলামের দিশটিতে হারাম!

ছবিতে দিখা জাইতেসে পুরুশেরা যার জেমন ইচ্ছা জমিতে শৈষ্য উতফাদন কোরি জাইতেসে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন