শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ১১২

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৫৫৬.
হিন্দুদের এক আম্মু কালীর জিহবা ক্ষুধার্ত কুকুর বা গুইসাপের চেয়ে লম্বা হয়ে বের হয়ে আছে কেন অনাদিকাল ধরে? হিন্দুদের তো উচিত তাদের মায়ের জিহবাখানা তার মুখের ভেতরে ঠেলে ঢুকিয়ে দেয়া। এভাবে সম্ভব না হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। এবং তার নেংটু শরীর ঢাকার জন্য অন্তত একখানা হলেও শাড়ি কিনে দেওয়া। ওরা তা না করে তাদের কালী আম্মুর নেংটুত্ব ও বিকলাঙ্গত্ব নিয়ে উল্লাস ক'রে কোটি কোটি টাকা খরচ করে।

৫৫৭.
য়াল্ল্যা বলেছে, অপচয়কারী শয়তানের ব্রাদার।
য়াল্ল্যাই শয়তানকে জন্ম দিয়েছে এবং তার হুকুমেই যাবতীয় অপচয় হয়।
তাই সে শয়তানের গ্রেট গ্রেট গ্রেট গ্রেট টু দ্য পাওয়ার ইনফিনিটি গ্রেট ফাদার।

৫৫৮.
হজ্জ করার সময় ছাফা-মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। এক সময় পাথর ফুরিয়ে গেলে বা শয়তানের প্রতি অতি ঘৃণাবশত হাজ্জিরা পায়ের জুতা খুলে অদৃশ্য শয়তানের উদ্দেশে নিক্ষেপ করতে থাকে। আমিও হজ্জ করার সময় যথারীতি ছাফা-মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে অদৃশ্য শয়তানের উদ্দেশে পাথর ও আমার পায়ের হাইহিল নিক্ষেপ করলাম গায়ের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে। সাথে সাথেই কেঁউ কেঁউ আওয়াজ শুনে দৌড়ে গেলাম। দেখলাম আল্লাপাক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তপ্ত বালুতে। আমার হাইহিল পড়েছে তাঁর মাথায়, আর প্রস্তরখণ্ড পড়েছে তার কলিজুতে। ভীষণ রক্তপাত। আমি বললাম, জুতা, পাথর মারলাম শয়তানকে, আপনার গায়ে পড়ল কীভাবে? আল্লা বললেন, আরে আমি তো সর্বব্যাপী। তাই যা মারবেম তোমরা সবই আমার গায়ে পড়বে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বললাম, চলুন আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তিনি বললেন, বিধর্মীদের আবিষ্কৃত চিকিৎসা আমি নিই না। আমাকে উটের মূত্রে কালিজিরা গুলে খাইয়ে দাও। আর খতস্থানে খেজুরপাতা পুড়ে ছাই লাগিয়ে দাও। তার কথামত ইছলামী চিকিৎসা করলাম তার। তিনি সাথে সাথেই সুস্থ হয়ে গেলেন। ইছলামী চিকিৎসার কী কেরামতি! আল্লা বললেন, আফছুছ, আমার বান্দারা কেন ইছলামি চিকিৎসা বাদ দিয়ে অনৈছলামিক চিকিৎসা নিচ্ছে!

৫৫৯.
মহাবদ নবীজির জানাজায়ও এত অমানুষ হয়নি, যত অমানুষ সমাগম হয়েছে য়াল্ল্যার মা গোলামের জানাজায়।

৫৬০.
খাওয়া-দাওয়ার অভাব না থাকলে শখের ভিখারি হতে ভালোই লাগে। গৌতম বুদ্ধ ছিল শখের ভিখারি। সে বৈশালীর বটতলায় বসে শখ করে ধ্যান করতো। তার পিতা শুদ্ধোদন ছেলেকে মাসোহারা পাঠাতেন। সুন্দরী আম্রপালি পাখার বাতাস করতো দিনরাত অবিশ্রাম। রাজরক্ষীরা পাহারা দিতো চারিধারে। স্ত্রী-পুত্রের থাকা-খাওয়া-পরার কোনো চিন্তা তার ছিল না। তারা পিতা শুদ্ধোধনের অঢেল রাজত্ব ও দায়িত্বে আরাম আয়েশেই ছিল। এমন নিশ্চিন্ত ও আরাম আয়েশের ধ্যান করতে এবং ভিখারি সাজতে অসুবিধে কোথায়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন