লিখেছেন গোলাপ
পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯> পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪
ওহুদ যুদ্ধের কারণ ও তার প্রেক্ষাপটের আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে। বদর যুদ্ধে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীরা ৭২ জন কুরাইশকে করেছিলেন খুন ও ৬৮ জন কুরাইশকে করেছিলেন বন্দী। কুরাইশরা তাঁদের প্রিয়জনদের সেই খুনের বদলা, অপমান ও লাঞ্ছনার প্রতিশোধ নিতেই ওহুদ যুদ্ধের অবতারণা করেছিলেন।
আক্রমণের অভিপ্রায়ে কুরাইশরা মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়ে ওহুদ প্রান্তে পৌঁছেছে - এই খবরটি জানার পর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তা প্রতিরোধের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। সেদিন ছিল শুক্রবার। জুমা নামাজের পর তিনি তাঁর অনুসারীদের সাথে আলোচনায় বসেন।
প্রথমে তিনি মদিনার মধ্য থেকেই কুরাইশদের সম্ভাব্য মদিনা আক্রমণ প্রতিহত করার সিদ্ধান্তকেই শ্রেয় মনে করেন। তাঁর অনেক অনুসারীদের সাথে আবদুল্লাহ বিন উবাই ও মুহাম্মদের এই সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
কিন্তু বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি, এমন কিছু অনুসারী তাঁকে বারংবার এই বলে অনুরোধ করেন যে, তিনি যেন মদিনায় অপেক্ষমাণ না থেকে যুদ্ধে অগ্রসর হন এবং ওহুদ প্রান্তে গিয়ে কুরাইশদের মোকাবেলা করেন। তাদের অনুরোধে মুহাম্মদ তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। অস্ত্রসজ্জিত অনুসারীদের নিয়ে তিনি ওহুদ প্রান্তের উদ্দেশে রওনা হন।
আবদুল্লাহ বিন উবাই সহ অনেক অনুসারী মুহাম্মদের এই পরিবর্তিত সিদ্ধান্তে মনঃক্ষুন্ন হন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও তারা মুহাম্মদের সাথে কিছুদূর অগ্রসর হন; কিন্তু পথিমধ্যেই তাঁরা মদিনায় প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন এবং মুহাম্মদ ও তাঁর অন্যান্য অনুসারীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। মুহাম্মদ তাঁর বাকি অনুসারীদের নিয়ে যুদ্ধযাত্রা অব্যাহত রাখেন। আদি ও বিশিষ্ট মুসলিম ঐতিহাসিকদের বর্ণনায় ঘটনাটি ছিল নিম্নরূপ। [1] [2]
মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ সাল) ও আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ সাল) বর্ণনা:
'যখন আল্লাহর নবী তাদের বিষয়ে জানতে পারেন এবং মুসলিমরা শিবির স্থাপন করে, তিনি তাদেরকে বলেন,
"আল্লাহর কসম, আমি (স্বপ্নে) এমন কিছু দেখেছি যা ভবিষ্যতের পূর্বাভাস। আমি দেখেছি গাভীদের, দেখেছি আমার তলোয়ারের ফলকে এক টোল (dent) এবং দেখেছি যে আমি আমার হাত আমার পরিধেয় বর্ম-আবরণের মধ্যে ঠেলে ঢুকাচ্ছি; আমি যার ব্যাখ্যা করেছি মদিনা। [3]। তারা যেখানে শিবির গেড়েছে, সেখানে প্রতিহত না করে তাদেরকে মদিনায় প্রতিহত করাই শ্রেয়, কারণ তারা থেমেছে খারাপ অবস্থানে। যদি তারা শহরে প্রবেশের চেষ্টা করে, আমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করবো (এটা ভাল পরিকল্পনা)।"
আবদুল্লাহ বিন উবাই বিন সালুল আল্লাহর নবীর এই মতের সাথে একমত পোষণ করেন। তাঁরও বিবেচনা এই যে, শহর ছেড়ে যুদ্ধে যোগদান উচিত নয়। আল্লাহর নবী নিজেও শহর ছেড়ে যাওয়া পছন্দ করেননি।
কিছু লোক, যাদেরকে আল্লাহ ওহুদের যুদ্ধে শহীদ করে সম্মানিত করেছে ও যারা বদর যুদ্ধে অংশ নেয়নি, তারা বলে,
"হে আল্লাহর নবী, আপনার নেতৃত্বে আমাদেরকে শত্রুদের আক্রমণ করার ঘোষণা দিন, যাতে তারা মনে না করে যে, আমরা খুব দুর্বল ও তাদের সাথে যুদ্ধ করতে ভয় পাই।"
আবদুল্লাহ বিন উবাই বলে,
"হে আল্লাহর নবী, মদিনাতেই অবস্থান করুন, তাদের পেছনে মদিনা ছেড়ে যাবেন না। আমরা কখনোই মদিনার বাহিরে শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিপর্যয় এড়াতে পারিনি এবং কেউই মদিনায় এসে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরাজিত না হয়ে ফিরে যায়নি। সুতরাং তারা যেখানে অবস্থান নিয়েছে, তাদেরকে সেখানেই থাকতে দিন। যদি তারা সেখানে অপেক্ষা করে, তবে তা হবে তাদের জন্য অমঙ্গলের ও বিপর্যয়ের; যদি তারা এখানে আসে, তবে আমরা পুরুষেরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো এবং মহিলা ও শিশুরা তাদের ওপর দেয়াল থেকে পাথর নিক্ষেপ করবে; এবং যদি তারা ফিরে যায়, তবে যেমন বিষণ্ণভাবে তারা এসেছিল, তেমনই বিষণ্ণভাবে তারা ফিরবে।"
যারা কুরাইশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চেয়েছে, তারা আল্লাহর নবীকে অনুরোধ করতে থাকে যতক্ষণ না তিনি তাঁর বাড়ির ভিতরে যান এবং বর্ম-আবরণ (armour) পরিধান করেন। সেই দিনটি ছিল শুক্রবার, জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার পর।
ঐ দিন বনি আল-নাজ্জার গোত্রের মালিক বিন আমর নামের এক আনসারের মৃত্যু হয়; আল্লাহর নবী তার জানাজা পড়েন এবং তারপর যুদ্ধের জন্য যাত্রা করেন।'
এক-তৃতীয়াংশ সৈন্যসহ আবদুল্লাহ বিন উবাইয়ের মদিনা প্রত্যাবর্তন:
‘আল্লাহর নবী তাঁর এক হাজার অনুসারীকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধে অগ্রসর হন। তিনি যখন মদিনা ও ওহুদের মধ্যবর্তী আল-সাউত নামক স্থানে পৌঁছেন, আবদুল্লাহ বিন উবাই এক-তৃতীয়াংশ সৈন্য প্রত্যাহার করে এই বলে, "তিনি আমার পরামর্শ না মেনে তাদের পরামর্শ মেনেছেন। হে লোক সকল, আমরা জানি না, কেন আমরা আমাদের জীবন বিসর্জন দেব।"
তাই তাকে অনুসরণকারী দ্বিধাগ্রস্ত ও সন্দেহগ্রস্ত লোকদের নিয়ে সে ফিরে আসে। আবদুল্লাহ বিন আমর বিন হারাম নামের বানু সালমা গোত্রের এক ভাই তাদেরকে অনুসরণ করে আসে, বলে, "এই যে লোকেরা, আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাদের কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, যখন শত্রুরা আমাদের নিকটে, তখন আল্লাহর নবী ও তোমাদের লোকদের পরিত্যাগ করে ফিরে যেও না।"
তারা জবাবে বলে,"যদি তোমরা যুদ্ধ করবে বলে জানতাম, তবে আমরা তোমাদের পরিত্যাগ করতাম না। আমরা মনে করি না যে, কোনো যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে।"
যখন তারা তার কথা গ্রাহ্য করে না ও সৈন্য প্রত্যাহারে অটল থাকে, সে বলে, "দোয়া করি, আল্লাহ তোমাদেরকে অভিশাপ দিক! তোমরা আল্লাহর শত্রু, আল্লাহ তার নবীকে তোমাদের মুখাপেক্ষী করবে না।"’
পথিমধ্যে মিরবাহ বিন কেইজি নামক এক অন্ধকে খুন!
>>> মুহাম্মদ তাঁর বাকি অনুসারীদের নিয়ে যুদ্ধযাত্রা অব্যাহত রাখেন। পথিমধ্যেই মিরবাহ বিন কেইজি নামক এক অন্ধকে করা হয় খুন! কী তাঁর অপরাধ?
তাঁর অপরাধ ছিল এই যে, তিনি তাঁরই মালিকানাধীন বাগানের মধ্য দিয়ে মুহাম্মদ ও তাঁর অনুসারীদের যাত্রায় বাধা দানের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের উদ্দেশে ধূলা নিক্ষেপ করেছিলেন এবং মুহাম্মদের মুখের ওপরও ধুলা নিক্ষেপের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন।
মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের বর্ণনার পূর্বানুবৃত্তি (Continuation):
‘জিয়াদ বিন আবদুল্লাহ আল-বাক্কাইজানিয়েছেন: [4]
“মুহাম্মদ বিন ইশাক আমাকে বলেছেন যে আল্লাহর নবী হাররাহর ভিতর দিয়ে বানু হারিথা পর্যন্ত পোঁছেন। তারপর আল্লাহর নবী তাঁর অনুসারীদের জিজ্ঞাসা করে জানতে চান যে, কেউ কি কুরাইশদের পাশ দিয়ে যায়নি, এমন কোনো রাস্তা দিয়ে তাঁদেরকে কুরাইশদের নিকট পৌঁছাতে পারবে?
আবু খেইথামা নামের বানু হারিথা বিন আল-হারিথের এক ভাই সেই দায়িত্ব গ্রহণ করে। সে তাঁকে বানু হারিথার হাররার ও জমির ভিতর দিয়ে নিয়ে গিয়ে মিরবাহ বিন কেইজি (Mirba' b Qayzi) নামের এক বীতরাগ অন্ধ ব্যক্তির এলাকায় পৌঁছে।
যখন সে আল্লাহর নবী ও তাঁর লোকজনদের আগমন উপলব্ধি করে, তখন সে উঠে দাঁড়ায় এবং তাদের মুখের ওপর ধুলা নিক্ষেপ করে ও বলে,
‘হতে পারো তুমি আল্লাহর নবী, কিন্তু আমি তোমাদের আমার বাগানের মধ্য দিয়ে যেতে দেব না।’
আমাকে বলা হয়েছে যে সে হাত-ভর্তি ধূলা তুলে নেয় ও বলে,
‘আল্লাহর কসম, মুহাম্মদ, যদি আমি নিশ্চিত হতে পারতাম যে, আমি অন্য কোন ব্যক্তিকে আঘাত করবো না, তবে আমি এটা তোমার মুখে নিক্ষেপ করতাম।’
লোকজন দ্রুতগতিতে তাকে খুন করার জন্য ছুটে আসে, আল্লাহর নবী তাদেরকে বলে, ‘তাকে খুন করো না, কারণ এই অন্ধ মানুষটির অন্তর ও দৃষ্টি দুইই অন্ধ।’
আল্লাহর নবীর এই নিষেধের আগেই সা'দ বিন যায়েদ নামের বানু আবদুল-আশাল গোত্রের এক ভাই দৌড়ে তার কাছে যায় ও তার ধনুকের আঘাতে তার মাথা বিভক্ত করে দেয়।”’
[ইসলামী ইতিহাসের ঊষালগ্ন থেকে আজ অবধি প্রায় প্রতিটি ইসলাম বিশ্বাসী প্রকৃত ইতিহাস জেনে বা না জেনে ইতিহাসের এ সকল অমানবিক অধ্যায়গুলো যাবতীয় চতুরতার মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে এসেছেন। বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বাংলা অনুবাদের সাথে মূল ইংরেজি অনুবাদের অংশটিও সংযুক্ত করছি। - অনুবাদ, টাইটেল ও [**] যোগ - লেখক।
Kiling of Mirba bin Qayzi – A blind man! What was the reason?
Narrative of Muhammad Ibne Ishaq (704-768 AD): [1]
‘Ziyad bin Abdulallah al-Bakkai said: [4]
“Muhammad b. Ishaq told me that the apostle went his way until he passed through the harra of the B. Haritha. Then the apostle asked his companions whether anyone could take them near the Quraysh by a road which would not pass by them.
Abu Khaythama, brother of B. Haritha b. al-Harith, undertook to do so, and he took him through the harra of B. Haritha and their property until he came out in the territory of Mirba' b Qayzi who was a blind man, a disaffected person.
When he perceived the approach of the apostle and his men he got up and threw dust in their faces saying, 'You may be the apostle of God, but I won't let you through my garden!'
I was told that he took a handful of dust and said,
'By God, Muhammad, if I could be sure that I should not hit someone else I would throw it in your face.'
The people rushed on him to kill him, and the apostle said, 'Do not kill him, for this blind man is blind of heart, blind of sight.'
Sa'd b. Zayd, brother of B. 'Abdu'l-Ashhal, rushed at him before the apostle had forbidden this and hit him on the head with his bow so that he split it open.---”’.]
“আল্লাহর নবী ওহুদ গিরিখাত ও ওহুদ উপত্যকার উপরিভাগের পর্বতের অভিমুখে পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত যাত্রা অব্যাহত রাখেন। তিনি তাঁর উট ও সৈন্যদের ওহুদ অভিমুখে মোতায়েন করেন এবং বলেন, ‘আমাদের অনুমতি ব্যতিরেকে তোমাদের কেউই যেন যুদ্ধ না করে।’
আল্লাহর নবীর তাঁর সৈন্যদের যুদ্ধের জন্য মোতায়েন করে, প্রায় ৭০০ জন মানুষ। তিনি আবদুল্লাহ বিন যুবায়ের নামের বানু আমর বিন আউফ গোত্রের এক ভাইকে তীরন্দাজ দলের দায়িত্বে রাখেন, তার পরনে ছিল পার্থক্যকারী সাদা জামা। তীরন্দাজ দলে ছিল ৫০ জন ধনুকধারী।
তিনি বলেন, ‘তোমাদের তীরের সাহায্যে তাদের অশ্বারোহী বাহিনীকে আমাদের কাছ থেকে দূরে রাখবে এবং তাদের কে পিছন দিক থেকে আমাদের কাছে আসতে দেবে না, তা যুদ্ধের ফলাফল আমাদের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে যাইই হোক না কেন; তোমরা ঐ স্থানেই অবস্থান করবে যাতে আমরা তোমাদের দিক থেকে আক্রান্ত না হই।’
তারপর আল্লাহর নবী দুইটি বর্ম-আবরণ পরিধান করেন ও মুসাব বিন উমায়ের নামক বনি আবদু'ল-দার গোত্রের এক ভাইকে যুদ্ধের ঝণ্ডা প্রদান করেন।”’
আল-তাবারীর (৮৩৯-৯২৩ সাল) অতিরিক্ত বর্ণনা:
‘বুধবার দিন কুরাইশরা ওহুদ প্রান্তে শিবির স্থাপন করে এবং শুক্রবার দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে। আল্লাহর নবী জুম্মার নামাজ পরিচালনা করার পর যাত্রা করেন এবং পরের দিন সকালে ওহুদের গিরিসঙ্কটে (gorge of Uhud) পৌঁছেন। শাওয়াল মাসের শনিবার দিন আধা-বেলায় তিনি যুদ্ধে যোগদান করেন (মার্চ ২৩, ৬২৫ সাল)।
আবু জাফর আল-তাবারী < মুহাম্মদ বিন উমর আল-ওয়াকিদী হইতে বর্ণিত:
আল সেইখায়েন (AL-Shaykhayn) নামক স্থানে আবদুল্লাহ বিন উবাই ৩০০ জন লোক নিয়ে আল্লাহর নবীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং আল্লাহর নবীর কাছে থাকে অবশিষ্ট ৭০০ জন। মুশরিকদের (polytheist) সংখ্যা ছিল তিন হাজার এবং তাদের অশ্বারোহী বাহিনীর ঘোড়ার সংখ্যা ছিল দুই শত। তাদের সংগে ছিল ১৫ জন মহিলা। তাদের ৭০০ জন লোকের পরনে ছিল বর্ম-আবরণ, যেখানে মুসলমানদের পরনে ছিল তা মাত্র ১০০ জনের।’
(চলবে)
তথ্যসূত্র ও পাদটীকা
[1] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ: A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৩৭১–৩৭৩ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf
[2] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক: আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭, ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, ISBN 0-88706-344-6 [ISBN 0-88706-345-4 (pbk)], পৃষ্ঠা (Leiden) ১৩৮৭-১৩৯০
[3] Ibid: ইবনে ইশাক -পৃষ্ঠা ৭৫২
“এক ট্রাডিশানিস্ট আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] জানিয়েছে যে আল্লাহর নবী বলেন, "আমি দেখেছি যে আমার কিছু গাভী কে হত্যা করা হয়েছে; তারা হলো আমার সাহাবী যাদের কে হত্যা করা হবে। আমার তরোয়ালের ফলায় যে টোল দেখেছি, তা হলো আমার এক পরিবার সদস্য যাকে হত্যা করা হবে।”
[4] জিয়াদ বিন আবদুল্লাহ আল-বাক্কাই ছিলেন মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের ছাত্র।
বিস্তারিত পর্ব-৪৪।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন