লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ
হুরভোগ পাইতে হইলে কী কী করিতে হইবে?
হুরভোগ পাইতে হইলে সারাক্ষণ আল্লাহ এবং তাহার প্রেরিত মহাপুরুষ (!) এর চামচামিতে মশগুল হইতে হইবে।
আল্লার নামে পশু হত্যা করিয়া মানবতা কোরবানী দিতে হইবে।
তাহার নামে জিহাদ করিয়া অন্যকে মারিতে হইবে অথবা মারা খাইতে হইবে।
আল্লাহর অস্তিত্ব এবং তাহার প্রেরিত পুরুষের চরিত্র নিয়ে কোনো প্রকার প্রশ্ন করা যাইবে না, আর যাহারা করিবে তাহাদের কল্লার সাথে নিজের বিবেক-বুদ্ধি কাটিয়া ফেলিতে হইবে।
এক কথায় - আল্লা-নবীর প্রেমে সর্বদা অসভ্য-বর্বর এবং ধর্মান্ধ হইয়া থাকিতে হইবে।
কিন্তু মুমিনদের কাছে উক্ত বর্বরতা কোনোই পাপ নহে। কারণ যে সকল ইতর প্রাণী নর্দমাতে জন্মিয়া নর্দমাতেই থাকিতে অভ্যস্ত, তাহাদের নিকটে দুর্গন্ধ বলিয়া কিছুই নাই।
আসলে হইয়াছে কী... মুমিনেরা ধর্মের গণ্ডিতে জন্মিয়া ধর্মের গণ্ডিতেই বড় হইয়াছে। ইহার কারণেই ধর্মের সকল বর্বরতা অসভ্যতা মুমিনদের কাছে স্বাভাবিক জীবন-যাপনই মনে হইতেছে।
ইহারা অন্যায় আর পাপ বলিতে বোঝে:
কোন মাইয়া ভার্সিটিত পড়ে?
কোন মাইয়া মুরুব্বি দেইখা মাথায় কাপড় দিলো না?
কোন মাইয়া বোরখা ছাড়া ঘরের বাইরে গেল?
কোন মাইয়া গাড়ি চালায়?
কোন মাইয়া চাকরি করে?
কোন কোন পোলা-মাইয়া হাত ধইরা হাটতেছে?
কেডা নামাজ পড়তে গেল না?
কেডা মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের ট্যাকা দিলো না?
কেডা মাথায় টুপি পরলো না?
কেডা টাকনুর নিচে প্যান্ট পরছে?
মুখে দাড়ি নিয়ে ঘোরে না কেডা?
কেডা ধর্ম নিয়া প্রশ্ন তুললো?
...ইত্যাদি।
কিন্তু দাসীভোগ, গনিমতের মাল ভোগ, যুদ্ধবন্দী ধর্ষণ, শিশুকামিতা, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা, পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা, বেত্রাঘাত-হস্তকর্তন-কল্লাকর্তনের ন্যায় বর্বর আইন মানিয়া চলা, বিধর্মীদের বাড়ি-ঘর,উপাসনাল ভাংচুর, একাধিক বিবাহ করা - এইসব কোনো অন্যায় অসভ্যতা তো নয়ই, বরং উপরোক্ত কর্মকাণ্ড ধর্মসম্মত হালাল এবং নবীজির সুন্নত।
উক্ত কারণেই মুমিনেরা উপরোক্ত অসভ্যতাকে সভ্যতা মনে করিয়াই বড় হইয়াছে, তাই উক্ত কাজ তাহাদের জন্য পুণ্যের, এবং এই পুণ্য অর্জনের লাগিয়াই মুমিনেরা পুরো পৃথিবী জুড়িয়া সর্বদা হুরভোগের লক্ষ্যে নবীজিরে কপি কইরা বিধর্মি কোপাইয়া ফরজ কামাইয়া যাইতেছে।
বি.দ্র. আমার কল্লা কাটা ফরজ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন