আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৪

ইসলামে নারীর সম্মান: মমিনীয় বেহায়াপনা

লিখেছেন সেক্যুলার ফ্রাইডে

কোরআনে অসংখ্য নারীবিদ্বেষী আয়াত থাকা সত্ত্বেও, হাদিসে ভুরিভুরি নারীবিদ্বেষী উদাহরণ থাকার পরও বেলাজ মরুসংস্কৃতি প্রবল ঔদ্ধত্ত্বের সাথে, গোয়েবলসিয় কায়দায় নারীর প্রতিমুহূর্তের চূড়ান্ত অবমাননাকেই নারীর অধিকার বলে দুর্বিনীত ও নির্লজ্জ এক প্রচারণা চালায়।

অথচ মরুসংস্কৃতিতে বলা হয়েছে রজঃস্বলা নারী অশূচি ও দূষিত; বলা হয়েছে পুরুষের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর ফিতনা ও বিপর্যয় হল নারী, বলা হয়েছে দোযখীদের মধ্যে নারীরা হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ, বলা হয়েছে স্বামী যদি স্ত্রীকে বিছানায় আসতে বলে ও স্ত্রী যদি তাৎক্ষণিক সাড়া না দেয়, তবে সেটা গুনাহ'র কাজ, চার বিয়ের পাশাপাশি দাসী সম্ভোগ তথা পুরুষের বহুগামিতাকে দেয়া হয়েছে বৈধতা, আর যুদ্ধবন্দিনী সম্ভোগকে দেয়া হয়েছে ন্যায্যতা।

চূড়ান্ত বেলেল্লাপনার সাথে পুরুষ মুমিনেরা উচ্চারণ করে, ইসলামই দিয়েছে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান, আর বিভ্রান্ত কিছু নারীও সেই সুরে সুর মেলায় তোতাপাখীরই মতোন। প্রকৃতপক্ষে নারীকে সম্মানিত করা তো দূরে থাক, মানুষ হিসেবেই গণ্য করা হয়নি।

গোটা সূরা আন্-নিসা জুড়ে নারীকে ক্রমাগত হেয় করবার পরও প্রগলভ মুমিনদের এই বেহায়াপনা সত্যি হাস্যকর।
পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল। এ জন্য যে, আল্লাহ্ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেক্‌কার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ্ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোকচক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।
[সূরা আন্-নিসা 8/ ৩৪]
আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু’ জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু-এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।
[সূরা আন্-নিসা 8/১১] 

সত্যিকার সচেতন নারীর জন্যে শুধু দুটো আয়াত পড়াই যথেষ্ট, বর্বর এই ভ্রান্তিকে পায়ে ডলে এগিয়ে চলবার জন্যে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন