লিখেছেন সেক্যুলার ফ্রাইডে
ইসলামমতে পুরুষরা নারীদের অভিভাবক ও তাদের উপর কর্তৃত্বশীল, সে কথা আমরা কোরআন থেকে জানি। এমনকি আদমের প্রয়োজনেই হাওয়া বিবির সৃষ্টি।
ইসলাম নারীকে এতই সম্মান (!) দিয়েছে যে,
বলা হয়েছে - রজঃস্বলা নারী অশূচি ও দূষিত;
বলা হয়েছে - পুরুষের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর ফিতনা ও বিপর্যয় হল নারী,
বলা হয়েছে - দোযখীদের মধ্যে নারীরা হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ,
বলা হয়েছে - স্বামী যদি স্ত্রীকে বিছানায় আসতে বলে ও স্ত্রী যদি তাৎক্ষণিক সাড়া না দেয়, তবে সেটা গুনাহ,
দেয়া হয়েছে পুরুষের বহুগামিতাকে বৈধতা;
দেয়া হয়েছে চার বিয়ের পাশাপাশি দাসীসম্ভোগ, আর যুদ্ধবন্দিনী-সম্ভোগকে ন্যায্যতা।
ইসলামের দৃষ্টিতে নামাজ, রোজা, পর্দাপ্রথা পালন ও শরিয়তের অন্যান্য বিধান পালনের পাশাপাশি নারীর দায়িত্ব স্বামীর আনুগত্য করা, স্বামীকে আনন্দিত করে রাখা, স্বামী-সন্তানের প্রতি যত্নশীল হওয়া, নিজ সতীত্বের হেফাজত করা, স্বামীর যৌনচাহিদার প্রতি সর্বক্ষণ সচেতন থাকা, স্বামীর বাসনা পূর্ণ করা, অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া, কোনো অবস্থাতেই বিরুদ্ধাচরণ না করা, এমনকি মাঝে মধ্যে হালকা প্রহার মেনে নেওয়াও নারীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
বাল্যবিবাহ, স্বামীর একাধিক বিবাহ এবং দাসীসম্ভোগে আপত্তি না করা নেককার নারীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলেই সমাজে প্রচলিত। এ ছাড়াও নারীরা বুদ্ধিহীন, স্বল্প স্মৃতিশক্তির অধিকারী বলে তাদের মর্যাদা স্বামীর অর্ধেক এবং সাক্ষ্যদানের ক্ষেত্রেও একজন পুরুষের সাক্ষ্য দুইজন নারীর সাক্ষ্যের সমতুল্য বলে বিবেচিত। উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রেও পুরুষ সন্তান যা পাবে, কন্যা সন্তানের অধিকার তার অর্ধেক। নারীর জন্য ভয়ঙ্কর অবমাননার জেনা, রজম ইত্যাদি প্রসঙ্গ আপাতত এই আলোচনার বাইরেই রাখছি। পুরুষের জন্য মেয়েদের চেয়ে অধিক ক্ষতিকর ফিতনা ও বিপর্যয় আর নেই, দোজখের যারা প্রবেশ করবে তাদের অধিকাংশ নারী এমনটাও আমরা হরহামেশাই শুনি; কোরআন আর হাদিসের আলোকেই শুনি।
এরপরও স্বয়ং মুহাম্মদ নারীদের কোন দৃষ্টিতে দেখতেন? তিনি নিজে কি নারীদের সম্মানিত করেছেন, নাকি কামাতুরভাবে তাদের ভোগ্যবস্তু বলে মনে করতেন?
নিচের হাদিস বলছে, তিনিও কামকাতরতা থেকে মোটেই মুক্ত ছিলেন না।
মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ (র) ইবন নুমায়র আল হামদানী (র)......আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ দুনিয়া উপভোগের উপকরণ (ভোগ্যপণ্য) এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগ্য উপকরণ পুণ্যবতী নারী।
(সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩৪৬৫)
কামুক নবীর কামকাতরতার কারণে তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে কি কোন্দল হত? তাঁরা কি একে অন্যকে গলা চড়িয়ে অশ্লীল কথা বলতেন? নিচের হাদিস বলছে তারা নিজেদের মধ্যে উচ্চস্বরে চুলোচুলি করত!
আবু বকর আবু শায়বা আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শেষ পর্যায়ে নবী (সা) -এর নয়জন সহধর্মিনী ছিলেন। নবী (সা) তাদের মাঝে পালাবণ্টন কালে নয় দিনের আগে (পালার) প্রথমা স্ত্রী'র কাছে পূনরায় পৌছতেন না।
(সহিহ মুসলিম :: খন্ড ৮ :: হাদিস ৩৪৫০)
প্রতি রাতে নবী (সা) যে ঘরে অবস্হান করতেন, সেখানে তারা (নবী (সা) পত্নীগণ) সমবেত হতেন। একরাতে তিনি যখন আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে ছিলেন, তখন যয়নাব (রাঃ) সেখানে আগমন করলে নবী (সা) তার দিকে নিজের হাত প্রসারিত করলেন।
আয়িশা (রাঃ) বললেন, ও তো যয়নাব! ফলে নবী (সা) তাঁর হাত গুটিয়ে নিলেন। তখন তারা দু-জন (আয়িশা ও যয়নাব) কথা কটিাকাটি করতে লাগলেন । এমনকি তাদের গোসসার আওয়ায চড়ে গেল, ওদিকে সালাতের ইকামত (এর সময় উপস্হিত) হল।
ঐ অবস্থায় আবু বকর (রাঃ) সেখান দিয়ে (সালাতে) যাচ্ছিলেন। তিনি ঐ দুজনের আওয়াজ শুনতে পেয়ে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা)! আপনি বের হয়ে আসুন এবং ওদের মুখে ধুলা-মাটি ছুঁড়ে ( দিয়ে মুখ বন্ধ করে) দিন। তখন নবী (সা) বের হয়ে এলেন।
আয়িশা (রাঃ) বললেন, এখন নবী (সা) তাঁর সালাত আদায় করবেন, তার পরে তো আবু বকর (রাঃ) এসে আমাকে বকাবকি ও গালমন্দ করবেন, পরে (তাই হল)।
নবী (সা) তার সালাত সমাধা করলে আবু বকর (রাঃ) আয়িশা (রাঃ)-এর নিকটে এসে তাকে কড়াকড়া কথা বললেন এবং বললেন, তুমি এমনটা করে থাক!
শিশুকামী, নারীলোভী, মুহাম্মদ নিজ জীবনেও কামকাতরতার চূড়ান্ত নিদর্শন রেখেছেন বন্ধুর শিশুকন্যাকে বিবাহ করে, বন্ধুকন্যাকে বিবাহ করে, নিজ কন্যার সাথে বন্ধুর বিবাহ দিয়ে, নিজ কন্যার সাথে তারই চাচাত ভাইয়ের বিবাহ দিয়ে, এমনকি নিজ পালিত পুত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করে। মুহাম্মদের বৈবাহিক সম্পর্কগুলো এটাই স্পষ্ট করে যে, তৎকালীন আরব সমাজ নারীকে নিছক ভোগ্যবস্তুর অধিক কিছুই ভাবত না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন