শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪

১৪ই ডিসেম্বরের প্রাক্কালে

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

১৪ই ডিসেম্বর আইলে আমার শুদু হাসি ফায়……

ডিসেম্বর মাস… আমাগের জামাত/শিবিরের পরাজয়ের মাস।

এই মাসটা এলে হৃদয়ের পুরাতন দগদগে ক্ষতগুলা আবার জ্বালা করি উঠে।…

…তবে এই মাসের একটা দিনের কতা মুনে আসলে শান্তি ফাই… ১৪ই ডিসেম্বর !!

১৯৭১ সনের পুরা ৯ মাস ব্যাপি আমরা যত না তান্ডব সালিয়েসি – সোটোলোক লুঙ্গি পরা ভুখা নাঙা ফকিন্নিগুলারে মাইরা, তার সেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেসি ১৪ ডিসেম্বর এদেশীয় বড় বড় ডাকতর মাস্তান, উকিল মাস্তান, বেরিশটার মাস্তান, শিক্ষাবিদ মাস্তান, নরকের কীট ‘কবি’ মাস্তান সম্প্রদায়কে কতল করিয়া…

আসলে, ৭১-এ গন্ডগল শুরু হওনের প্রথম দিকে আমরা ত সিউর সিলাম পাকিস্তানই জয়ী হবে, তাই সেয়েসিলাম, পূর্ব পাকিস্তানে যেসব জঞ্জাল, যেমন - হাজারে হাজারে গরিব-গুরমা, দেখতে সোটোখাটো,ফকিন্নি মার্কা চেহারার লুঙ্গি পরা লুক বা ধুতি ফরা ইন্দু মালাউন ডান্ডি পটাশ আছে, এরা এই সুযগে দেশ থিকা বিদায় হক।

কিন্তুক পরাজয় যখন নিশ্চিত বুইঝা ফেলচি, তখন আমাগো মূল টার্গেট অতি অল্প সময়ে কত বেশি এবং জায়গামতন ক্ষতি সাধন করা যায়!

সেদিন ১৪ই ডিসেম্বর দেশবেপি, বিশেষত মিরপুরের বধ্যভুমিতে যুদি শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তিকে না হোতায়া দিতাম, জামাতি ইসলাম যেমন আজকা পুনরায় আবির্ভাব হইতে ফারতো না, তেমনি এই বাঙালি সোটোলোকগুলা এতদিন সোটোলোক থাকত না! এরা যেহেতু এখন মনমননশীলতায় পশ্চাৎপদ হয়া আছে, সেহেতু এদের পুলামাইয়াগোরে এটা সেটার ফান্দে ফেলিয়া লাইনে নিয়াশতে সুবিধা হয়।

আফসুস! পুরা বাংগালি জাতিটা আমাগোরে শুদু ঘৃণাই করে, এই জন্য মুনে দুক্ষ ফাই… দুঃখু ফাইলে আমি সুপারি খাই…

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন