লিখেছেন জুলিয়াস সিজার
বখতিয়ার খিলজি একজন ইতিহাসবিখ্যাত ডাকাত। অল্প কয়েকজন সৈনিক নিয়ে এসে তিনি হিন্দু রাজাকে পরাজিত করেন। বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকে বেশ গর্বের সহিত বখতিয়ার খিলজির বিজয় অভিযানের বর্ণনা দেওয়া হয়। শিরোনাম থাকে - মুসলমানদের উপমহাদেশ বিজয়। খিলজির বিজয় মুসলমানেরই বিজয়।
খিলজি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র পৃথিবীরই অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যময় বিশ্ববিদ্যালয়। চীন, গ্রীস, পারস্য থেকে পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসতো।
মুসলমানেরা নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল (!) ইতিহাস বর্ণনা করতে ছলছল চোখে খিলজির কথা বলেন। জামাতিদের চোখে সর্বশ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদের "বখতিয়ারের ঘোড়া" নামক কাব্যগ্রন্থও আছে। খিলজি মুসলমানদের কাছে একজন কিংবদন্তি। শুধু নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের কথা এলেই...
ইয়ে মানে এটা সহী ইসলাম নয়। একজন মুসলমান কখনো বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করতে পারেন না। আপনি জানেন না, ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে কতো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জ্ঞান অর্জনের জন্য চীনের রাজধানী বেইজিং যেতে বলা হয়েছে।
আমরা মডারেট সুবিধাবাদী মুসলমান। একই সাথে গোঁড়া ধার্মিক এবং আধুনিক। আমরা কপিও খাই আবার কপির ডাঁটাও খাই। সময়ের প্রয়োজনে যখন যেটা পেটে রোচে আরকি!
সময়ে বখতিয়ার খিলজি বীর মুসলমান, আবার সময়ে সহী মুসলমান নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন