রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

ঈমানদীপ্ত কাহিনী - ৭ (মেছওয়াকের মোজেজা)

লিখেছেন জল্লাদ মিয়া

মেছওয়াক করা সুন্নতের অংশ বিশেষ। মুমিনরা মেছওয়াকের উৎপত্তি সম্পর্কে না জানিয়াও মেছওয়াক করেন। যদি জানেন, তবে নিশ্চয়ই তিনবার চুদানাল্যা পড়িবেন।

তাইলে বয়ান শুরু করা যাক।

একদা মোহাম্মক তার সাথে সাহাবীদের লইয়্যা একটা বর্বর দ্যাশে ইসলাম প্রচার করিতে গেলেন। দেশটা ছিল খুবই বর্বর। তাদের শাসনব্যবস্থা ছিল খুবই মারাত্মক। এখানে উল্লেখ্য, "রিমান্ড" নামক জিনিসটা এবং রিমান্ডের আপ্যায়নসমূহ মহানবী ঐ দেশের শাসনব্যবস্থা হইতে শিখিয়াছিলেন, এবং তাহা আজকের বাংলাদেশেও হিজরত করিয়া চলিয়া আসিয়াছে। এটা এখন এ দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। সে ভিন্ন কাহিনী।

যা বলিতেছিলাম, তো মহানবী ঐ দেশে গিয়াছিলেন ব্যাপক অস্ত্র সাথে নিয়া। কারণ পিছলাম কায়েমের জন্য অস্ত্র একটা বড় নিয়ামক। ভাগ্যিস তখনো বোমা আবিষ্কৃত হয় নাই। 

তো মুহাম্মক ঐ দেশে যাওয়ার পর পিছলাম প্রচার শুরু করেন। ঐ রাষ্ট্র ছিল খ্রিষ্টান রাষ্ট্র। ঐ দেশের রাজাও ছিলেন গোঁড়া খ্রিষ্টান। তিনি পিছলাম প্রচারের কথা জানিতে পারিলেন। সাথে সাথে অ্যাকশান! তিনি মুহাম্মক এবং তার দলকে দরবারে তলব করিলেন। তিনি মোহাম্মককে জিগাইলেন, তুমি এখানে কী করিতে আসিয়াছ? 

মুহাম্মক রিপ্লাই করিলেন, পিছলাম প্রচার করিবার লাইগা আসিয়াছি।

শাসক আবার জিগাইলেন, তাইলে এত অস্ত্র সাথে আনিয়াছ ক্যানো? আমার দেশে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। যদি আসো, তবে অস্ত্র ছাড়া আইবা। এখন এ দেশ ত্যাগ কর।

মুহাম্মক আর কী বলিতে পারেন বা করিতে পারেন? তিনি এবং সাহাবীরা ঐ দেশ ত্যাগ করিলেন। তবে মুহাম্মকের মাথায় রুখ চাপিয়াছিল যে, যে করেই হোক, তিনি এই দেশে আবার আসিবেন এবং পিছলাম প্রচার করিবেন! 

মুহাম্মক মদিনায় আসিয়া ভাবিতে লাগিলেন, কী করা যায়। অস্ত্র সাথে নেওয়া যাইব না। তাইলে আবার অস্ত্রের অজুহাতে তাহাদের বাহির করিয়া দিব। অস্ত্রের বিকল্প রাস্তা খুজিতে হইবে।

এক সময় মুহাম্মকের মস্তকে মেছওয়াকের আইডিয়াটা আসিল। মেছওয়াক দিয়ে তেমন কিছু করা না গেলেও অন্তত শত্রুর চোখে খুঁচাটুঁচা মারিয়া আত্নরক্ষা করা যাইবে। কেউ সাথে গাছের ডাল রাখার কারণ জিগাইলে বলিবেন দাঁত মাজার জইন্য রাইকছি! আইডিয়াটা মন্দ না। 

মুহাম্মক এগেইন ঐ বর্বর দেশের উদ্দেশে তার সাহাবীগণরে লইয়্যা গমন করিলেন। সবার সাথে একটা করিয়া গাছের লাঠি থুক্কু মেছওয়াক। ঐ দেশে পিছলাম প্রচার শুরু করিলেন। যথা নিয়মে তাহা শাষকের কানে গেল। তিনি বুঝিয়া ফেলিলেন, মুহাম্মকের আলামত ভালো না। যে কোনো সময় দেশের সকল মানুষকে মুসলমান বানাইয়্যা দেশের ক্ষমতা দখল করিয়া ফেলিবেন! তাই রাজা তার সৈন্যদের মুহাম্মকের দলকে আটক করিতে নির্দেশ দিলেন।

মুহাম্মক এবং তাদের দলকে আটক করা হইল। তাদের বিচার হইল। বিচারে রাজা মুহাম্মকের দলকে আজীবন বন্দী রাখার এবং প্রতিদিন সকলকে ডিম থেরাপি দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। হায়রে মুহাম্মকের কপাল!

মুহাম্মক এবং তার দলকে একটা ইয়া উঁচু গাছের উপর একটা ঘর বানাইয়া সেখানে বন্দী করা হল। ঘরটা অলটাইম বাইরে থেকে তালা মারা থাকে। যদি মুহাম্মক বা কেউ ঘরটা ভাঙ্গার চেষ্টা করে বা জানালা দিয়া লাফ দিতে চায়, তবে অত উপর থেকে পড়িয়া ছাতু হইয়্যা যাইবো।

তো সৈন্যরা মুহাম্মকের দলকে আন্ডা থেরাপি দিতে আরম্ভ করিলেন। আহা! পশ্চাদ্দেশে কি ব্যথা! ইয়া আল্লা, তুমি রহম কর! 

এইরূপ কয়েকদিন থেরাপি চলিল। মুহাম্মক এবং তার সাহাবীদের পশ্চাদ্দেশে চুলকানি শুরু হইল। একজনে পশ্চাদ্দেশ আরেকজন অসূরের মত চুলকিয়ে দিতে লাগিল, তবুও কমে না। হঠাৎ মুহাম্মদের মেছওয়াকের কথা মনে পড়িল। তিনি সকলকে চুলকানির কাজে মেছওয়াক ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন। সাহাবীরা তাই করিতে লাগিলেন। তারা দেখিলেন, মহাবদের কথা শুনিলে লাভ আছে বটে!

এখন চুলকানির ব্যাপারটা সমাধান হইল। কিন্তু এইখান থেকে তো বাহির হইতে হইবে। মুহাম্মক ভাবিতে লাগিলেন, কী করা যায়। অবশেষে মুহাম্মক একটা দারুণ আইডিয়া পেলেন। আইডিয়াটা হলো মুহাম্মকের বীর্য তো ৩০ হর্স পাওয়ার সমৃদ্ধ। ঐটার তুলনায় সুপার গ্লু তো নস্যি! ওগুলো দিয়ে সকল মেছওয়াককে একটার সাথে আরেকটা জোড়া দেওয়া যাবে। তাইলে একটা লম্বা লতার সৃষ্টি হবে। ঐটা দিয়েই মুহাম্মকরা এই উঁচু গাছ হইতে চম্পট দিতে পারিবেন।

মুহাম্মকরা সেইদিনই রাত্রিবেলা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করিলেন। মুহাম্মককে তার বীর্য স্খলনে সাহায্য করিয়াছিল সাহাবীরা। আরেকবার বলি চুদানাল্যা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন