আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

আল্লাহপাক বিষনু হতি ফারে না

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

জাকের নায়েক বলেন, আল্লাহপাকের ৯৯ নামের একটি "খালিক" এর অর্থ 'সৃষ্টিকর্তা' এবং হিন্দুদের দেবতা "বিষনু"র নামের অর্থও যেহেতু একই অর্থ বহন করে, তবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে নাকি "বিষনু" নামে ডাকতে আফত্তি থাকে না! নাউজুবিল্লাহ!

এমনিতে মুয়াজ্জিনগিরি করি কুল ফাই না, তাই এই 'টাই বাবা'র ফিসনে সময় ব্যয় কোইত্তে আমার ভিতর থিকা আগ্রহ জাগে না। কারণ একদিন আমি তার এক ছাগ-যুক্তি'র চিন্তা প্রক্রিয়া দেখিয়া ধারনা করি, সে ইহুদি-নাসারাদের ধোঁকেবাজ গুপ্তচর হইলেও হইতে ফারে। এই কথা বলসি, কারণ সে তার এ সমস্ত বোকা বোকা যুক্তি উপস্থাফনের মাইধ্যমে বিশ্ববাসীর কাসে নিজেকে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে ফ্রমান কোইত্তে সায় যে, মুসলিমরা আসলে কত অশিক্ষিত রয়া গেসে! কেননা, এসব বুকা বুকা যুক্তি দেখি নাসারারা আমাদিগের নাকের উফর শাহাদাৎ আংগুল প্রদর্শন করি বোইলবে, দেক দেক মুসলিমরা কত অজ্ঞ... মুর্খের মতন বাতসিত করে!

জাকের নায়েক সেদিন ইসলামকে পসাইতে যে বোকা যুক্তিটা দেয়, সেটা হইসে, "আরে আল্লাহ যদি না থাকত, তবে কুরান লিখল কে!" - এমন বালখিল্য যুক্তিটা সেদিন সে বলেসে দুটি কারণে: এক - সে এই বালখিল্য জুক্তি দ্বারা মুসলিমদের হাঁসির ফাত্র কোইত্তে সায় বহির্বিশ্বের কাসে এবং দুই লম্বর কারণ হইসে, সে অমুসলিমদের মুখ দিয়া বলায়ে নিতে সায় যে, আল্লাহ না থাকলে কুরান মোহাম্মদ লিখসে। সহজ!ফবলেম কি?

এখন জাকের নায়কের যুক্তিকে মিথ্য প্রতিফন্ন করিয়া তাকে ধরাশায়ি কোইরব। সাথে তাকুন:

আরবীতে 'হাসান' শব্দের অর্থ "ঘোড়া"; মনে করি, আফনার নাম হাসান, এখন আফনার মাদ্রাসায় হুজুর ছায়েব 'এই ঘোড়া এই ঘড়া' বলি ডাইকতেসে, তখন কি আফনি 'লাব্বায়েক' বলি জওয়াব দিবেন? দিবেন না।

অথবা আফনার নাম ধরেন 'আবু বক্কর'; বক্কর আরব বাকরি থেকে এসচে, যার অর্থ, ছাগল। আর, আবু অর্থ আব্বাজান। তাহলে আফনাকে যুদি 'ছাগলের আব্বাজান' বলি ডাকা হয়, আফনি কি বুইজতে ফাইরবেন যে আফনাকেই ডাকা হইতেসে?

আর আফনার নাম যুদি হয়, 'শাহীন হাসান', তখন ত আফনার নামের অর্থ, 'অতিথি-বাজপাখি ঘোড়া'।

তাহলে আরবি ও ফারাসি শব্দ সংযুক্ত নাম 'অতিথি-বাজপাখি ঘোড়া' নাম বলি ডাইকলে, কয়জন বাঙ্গালী মুসলিম শাহিন হাসান নামের ছেলে জানবে যে, তাকেই ডাকা হইতেসে!

অতএব,তুমরা এইবার বলো, সংষ্কৃত শব্দ 'বিষনু' এর অর্থ 'সৃষ্টিকর্তা' এবং আল্লাহপাকের ৯৯ নামের এক নাম 'খালিক',যার অর্থও সৃষ্টিকর্তা। তাহলে তুমি কি মনে করো, আল্লাহপাককে ইন্দুদের চার শিং বা চার মাথা বিশিষ্ট হিন্দু দেবতা বিষনুর নামে ডাকা যাবে? কেননা হাসানদেরকে ত আমরা বাংলাদেশে ঘোড়া বলি ডাকাডাকি করি না। তাসাড়া, হিন্দুরা ত তাদের দেবতা বিষনুকে 'আল্লাহ' বলি ডাকে না! নাকি?

যুদি মুনে করো, জাকর নায়কের জুক্তি সহিহ, তবে তোমাগের হিসাবে ত আল্লাহপাককে 'মা স্বরস্বতী' বলি ডাইকতে অ তুমরা হয়ত আফত্তি কোইরবে না একদিন, কেননা, স্বরস্বতী' শব্দের অর্থ যে জ্ঞান দেয়, আলো দেয়। আর আল্লাহপাকের অ ত ৯৯ নামের এক নাম 'আন নুর', যার অর্থ, যিনি আলোক দাতা বা জ্ঞান দাতা।

তাহলে, এবার তুমিই সিদ্ধান্ত নেও, জাকের নায়েক ভ্রান্ত কথা বলেন কি না!

* জাকির নায়েকের আল্লাহকে বিষনু ডাকার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক চিপুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন