আমাদের আলোচনার এই পর্বে কথা বলব স্বাস্থ্যবিদ্যা নিয়ে। কি করিলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে না বরং ভালো হইবে তা শিখিব ইসলামের আলোকে। সাথে এও শিখিব কি করে ঘরে বসে কবিরাজি করা যায় তাও নিজে নিজে। এগুলো মেনে চলিলে আমাদের আর যেতে হবে না ইউনানি হেকিমি দাওয়াখানায়। তাহলে আমাদের আলোচনা শুরু করি বন্ধুরা...
তথ্য ১:
নামাযের সময় আকাশের দিকে চাইলে চোখ অন্ধ হয়ে যায়।
(Sahih Bukhari 1:12:717)
তাফসীর: কারণ আমাদের সালাত গ্রহণের জন্য আল্লাফাক নিজে আকাশে বসে থাকেন। আপনারা সবাই জানেন, আল্লার নুরের কী পাওয়ার। এই পাওয়ারে পাহাড় পুড়ে সুরমা হয়ে গিয়েছিল। সেই পাওয়ারের নুরের দিকে তাকাইলে আপনার চোখ কেমন করিয়া ভালো থাকিবে বলেন দেখি?
তথ্য ২:
জাগতিক জিনিসপত্রের প্রতি ভালবাসা থাকিলে আপনার চোখ অন্ধ হইতে পারে।
(Abu Dawud 41:5111)
তাফসীর: রাসুলকে ভুলে কেউ যদি জাগতিক জিনিসপত্রের দিকে ভালুবাসা দেখায়, আল্লা তখন কী করবে আপনাকে? আপনার ভালুবাসার জিনিস-এর দিকে আর তাকাতে না পারেন, তখন আল্লা রাগ করে চোখ কানা করে দেয়।
তথ্য ৩:
দোজখের ওমের কারণে জ্বর আসে।
(Sahih Bukhari 7:71:619)
তাফসীর: যখন কোনো মানুষের মনে পাপ বাসা বাধে, তখন আল্লাফাক রিমাইন্ডার হিসাবে দোজখের ওম জ্বররূপে শরীরে দিয়া দেন, আর বলিতে চান, হে বান্দা, তুমরা পাপ চিন্তা করিয়ো না। রাসুল (সঃ) অবশ্য সাথে এর নিদানও দিয়া দিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন, জ্বর আসিলে পানি দিতে। এ ব্যাপারে নাস্তিকদের মেডিকেল সাইন্স ও জ্বরের সময় পানি দেবার কথা বলে।
তথ্য ৪:
মাসিকের কাপড়ে পানি দুষিত হয় না।
(Sahih Muslim 1:66)
তাফসীর:
নিশ্চয়ই নবী মহিলাদের দিয়েছেন সর্বোচ্চ সম্মান।
তথ্য ৫:
পানির বদলে মাটি অথবা ধুলো দিয়ে পবিত্র হওয়া যায়, মুসলমানেরা যাকে বলে তায়াম্মুম।
(Sahih Bukhari 1:7:334)
তাফসীর:
ধুলার অপর নাম জীবন। পানি দিয়ে শুচু করলে যেই ফলাফল পাইবেন, হাগুর পরে ধুলো দিয়ে শুচু করিলেও সেই একই ফলাফল পাইবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন