রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

শান্তি ভয়ংকর

লিখেছেন নিলয় নীল

১.
ভয়ংকরতম রাষ্ট্রসমূহ

ওয়াশিংটনভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টারসেন্টার বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর রাষ্ট্রগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন সূচকের ওপর নির্ভর করে দীর্ঘদিনের গবেষণার ভিত্তিতে পৃথিবীর সব থেকে ভয়ংকর ১০টি রাষ্ট্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকার সবার ওপরে রয়েছে ইরাক। নিম্নে ভয়ংকর ১০ রাষ্ট্রের তালিকা ক্রমানুসারে দেয়া হলো:
১) ইরাক
২) নাইজেরিয়া
৩) সোমালিয়া
৪) আফগানিস্তান
৫) ইয়েমেন
৬) সিরিয়া
৭) লিবিয়া
৮) পাকিস্তান
৯) মিসর
১০) কেনিয়া 
কেনিয়া ছাড়া বাকি সবগুলো দেশই মুছলিমপ্রধান। অর্থাৎ এই তালিকার প্রথম ন'টি দেশই মুছলিম জাহানের অন্তর্গত।

২. 
শান্তিতে ইসলামের অবদান: শুধু নভেম্বরেই হত্যা ৫০৪২

মনে আছে ইসলামী মানবতার কথা, যখন ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়েছিলো? সর্বসাকুল্যে সেই আগ্রাসনে নারী-শিশুসহ প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যায়। এই দু'হাজার মানুষের জন্য তখন মুসলমানদের মানবতা ফেসবুকের পাতায় পাতায় ডুকরে ডুকরে কান্নাকাটি করছিলো। ফটোশপে নারী ও শিশুদের বিকৃত ছবি তৈরি করে ইসলামী মৌলবাদকে আবার চাঙ্গা করা হয়েছিলো। ইসরাইলের আজরাইলগিরি কেউ সমর্থন না করলেও এই ইস্যু নিয়ে এদেশের সংখ্যালঘুরাও মুসলমানদের রক্তচক্ষু দেখেছিলো। বেগতিতে পরা প্রগতির ঝাণ্ডাধারী আবাল বামগুলারও মানবতাডণ্ড তখন উত্থিত হয়েছিলো। তারাও মানববন্ধন থেকে শুরু করে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে মানবতার মুখমৈথুন করছিলো। 

হ্যাঁ, অবশ্যই গাজায় মানবতার লঙ্ঘন ঘটেছিলো, কিন্তু শুধু নভেম্বর ২০১৪-এর ৩০ দিনে বোকো হারাম, আইএসসহ অন্যান্য ইসলামিক মিলিট্যান্টরা পৃথিবীর ১৪ টি দেশে ৬৬৪ টি হামলার মাধ্যমে একমাসে হত্যা করে ৫০৪২ জন নিরীহ মানুষকে, এটা কি মানবতার লঙ্ঘন নয়? BBC World Service in collaboration with ICSR এর সাম্প্রতিক গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। 

হামলাগুলোর মধ্যে ইরাক এবং সিরিয়ায় সব থেকে বেশি আক্রমণ হয়। ইরাক ও সিরিয়ায় ৩০৮টি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা ২২০৬ জন যা মোট নভেম্বরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের অবদানের প্রায় ৪৪ ভাগ। অন্যদিকে ইরাক, সিরিয়া, নাইজেরিয়া ও আফগানিস্তান এই ৪ টি দেশে ৮০ ভাগ মৃত্যু ঘটে মোট নভেম্বরের মৃত্যু সংখ্যার দিক থেকে বিবেচনা করলে। 

নভেম্বর মাসে ইরাকে সব থেকে বেশি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে ইসলামিস্টরা। ২৩৩টি হামলায় এক মাসে শুধুমাত্র ইরাকে মারা যায় ১৭৭০ জন। 

ইরাকের পরে ইসলামিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আছে নাইজেরিয়া। নাইজেরিয়ায় নভেম্বর মাসে মাত্র ২৭টি হামলায় মারা যায় ৭৮৬ জন, বলে রাখি, অল ক্রেডিট গৌজ টু বোকো হারাম। 

এরপর শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আছে আফগানিস্তান। নভেম্বর মাসে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আল কায়দাসহ অন্য জঙ্গি গ্রুপের অবদানে ১৫২টি হামলা হয়। ১৫২টি হামলায় আফগানিস্তানে মারা যায় ৭৮২ জন। 

বিবিসি-র গবেষণা অনুসারে, এভাবে শুধু নভেম্বর মাসে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হত্যা করা হয় ৫০৪২ জনকে। প্রশ্ন হলো, এখন মডারেট মুসলমানদের মানবতা কই যায়? আবাল বামগুলা মানববন্ধন করে না কেন? এরপরও কি প্রশ্ন আসবে, কেন ইসলামের সমালোচনা মানবতাবাদী প্রগতিশীলরা বেশি করে? শেষ করছি মানবতাবাদী ছড়া দিয়ে -

(ছাগুর) মানবতার লিঙ্গ খাড়ায়
পড়লে বোমা গাজায় 
(আবার) আইএস গলা কাটলে ছাগু 
উদাস বগল বাজায়। 
(সদাই) ইছলামীদের সব ব্যাপারে
চর্ম এদের মোটা, 
(তখন) লিঙ্গ এদের নেতিয়ে থাকে
দাঁড়ায় না এক ফোঁটা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন