আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪

আদিবাসীরা কি দেশী মুছলিমদের গনিমতের মাল?

লিখেছেন জুলিয়াস সিজার

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন রাঙামাটির নানিয়াচরে আদিবাসীদের ওপরে সাম্প্রদায়িক হামলা হলো। প্রায় ৬০টি বাড়িঘর এবং দোকান একেবারে শেষ করে দেওয়া হলো।

শুধু একবার ভেবে দেখুন। এই প্রচণ্ড শীতের দিনে পাহাড়ে এই ঘরহীন মানুষগুলো কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন। পাহাড়ে সেনাবাহিনী ক্যাম্প আছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আছে। এত বিরাট একটা হামলা হলো। কোথায় ছিল সেনাবাহিনী? কোথায় প্রশাসন? এই পাহাড়িদের অপরাধ কী? কিছুদিন পর পর পাহাড়ি মেয়েরা ধর্ষিত এবং খুন হয়। ধর্ষকদের নামের আগের পিছে মোহাম্মদ থাকে। তবুও তারা মুসলিম নয়! একদল আসবে আপনাকে জ্ঞান দিতে: ধর্ষকের কোনো ধর্ম নেই, হেনতেন বহুকিছু!

অবশ্যই এসব ধর্মীয় নিপীড়ন এবং অত্যাচার। এখানে মাথার আগাকাটা মুসলমান ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না। শ্লোগান - "বাঁচতে হলে কাটতে হবে।"

বাংলাদেশে নির্বাচন হলে অমুসলিমেরা নির্যাতিত হবে। রাজাকারের রায় হলেও নির্যাতিত হবে। রায় কার্যকর হলেও নির্যাতিত হবে। ফেইসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে গুজব ছড়ালেও নির্যাতিত হবে।

কিন্তু আপনি কিছু বলতে পারবেন না। লিখতে পারবেন না। আপনাকে তাদের সাথে গলা মেলাতে হবে। বলতে হবে:

"ইহা সহী ইসলাম নহে। ইসলাম শান্তির ধর্ম!"

প্রতিবার সাম্প্রদায়িক হামলা হয় দেশের নানা প্রান্তে। কিছু লোক টাকা পয়সা সংগ্রহ করে ত্রাণ পাঠায়। তাঁদেরকে আমার শ্রদ্ধা এবং ধন্যবাদ। কিন্তু এর প্রতিকার কী? কয়জন অপরাধী শাস্তি পেয়েছে? সাঈদির রায়ের পর সারাদেশে পুরো একমাস টানা সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। কয়জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামি লীগ? নির্বাচনের পরে মালোপাড়া, ঋষিপল্লী, নীলফামারী, গাইবান্ধা, সাতকানিয়া আরো নানা জায়গায় হামলা হলো, তার জন্য কয়জন শাস্তি পেয়েছে?

রামু, পাবনার সাঁথিয়া, বরিশালের চর কাউইয়া - আর কয়টির এলাকার নাম জানতে চান?

কী ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামি লীগ সরকার? মানলাম, বিএনপি-জামাত নির্যাতন করে। আওয়ামি লীগের দায়িত্ব কী?

নিজেদের মৌলবাদী দেশ একটা। এর মাঝে আর একদল আছে, কোথাও মুসলমান মরলে মানবতাবাদী হয়ে যাবে। হ্যাশট্যাগ দেবে। সারা পৃথিবীতে মুসলমান জঙ্গিরা যখন নির্বিচারে অমুসলিমদের বর্বরভাবে হত্যা করবে, নারী নির্যাতন করবে তখন আপনি তাদের খুঁজেও পাবেন না। কবি তখন নীরব!

এই তো সম্ভবত পরশু দিন ইরাকে আইএস জঙ্গিরা ১৫০জন খ্রিষ্টান মেয়েকে শিরচ্ছেদ করেছে একসাথে। হ্যাঁ, একসাথে ১৫০ জন! ব্যাপার না, ম্যান! ইহা সহী ইসলাম নহে! তবে নাস্তিক লতিফ সিদ্দিকির ফাঁসি চাই। আইএস দীর্ঘজীবী হোক!

অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, আমি মুসলিম- বা ইসলামবিদ্বেষী কি না। সভ্য পৃথিবীতে বসবাস করার অযোগ্য সারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টিকারী বর্বর দোপেয়ে জানোয়ারদের প্রতি বিদ্বেষ দেখানোর রুচি আমার নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন