১০৩.
ধর্ম বিশ্বাস করে এক বা একাধিক লোকোত্তর শক্তিতে; মনে করে ওই শক্তিগুলো যদিও স্বেচ্ছাচারী, তবু আবেদন-নিবেদন ক'রে তাদের তুষ্ট ক'রে ফল পাওয়া যেতে পারে। ফল না পাওয়া গেলেও ক্ষতি নেই, যদি পাওয়া যায় তাহলে অনেক লাভ। এটা সৎ মানুষের স্বভাব নয়, বস্তুবাদী চতুর মানুষের স্বভাব।
১০৪.
বইটির (নেয়ামুল-কোরআন) ১৫১ পৃষ্ঠাটি আমাকে শিউরে দেয়। এ পাতায় তিনি বর্ণনা করেছেন 'দুইজনের মধ্যে শত্রুতা ও মতান্তর সৃষ্টি করার তদবীর।' দু'জনের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির ব্যাপারটি নৈতিকভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় আমার কাছে, কিন্তু ধার্মিকদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য।... ন্যায়সঙ্গতভাবে কীভাবে দু'জনের সধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করা যায়, তা আমি বুঝে উঠতে পারছি না - ধার্মিকদের নৈতিকতা বড়োই বিস্ময়কর।
১০৫.
ধর্ম হয়ে উঠেছে অবাস্তব অতিমানবিক শক্তির কাছে নিজেকে সমর্পণ করা, বিসর্জন করা সমস্ত নিজস্বতা ও মর্যাদা।
১০৬.
খ্রিষ্টীয় যাজকেরা এক সময় বাধা দিতে চেষ্টা করে ডারউইনি বিবর্তনবাদকে, কেননা তা ধর্মবিরোধী; শেষে না পেরে বিবর্তনবাদকে ঘোষণা করে পরম বিধাতার মহাপরিকল্পনারূপে। বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের তাল মেলানোর এটা একটা করুণ হাস্যকর উদাহরণ।
১০৭.
কিছু কিছু কপট মানুষ, বিশেষ করে রাজনীতিবিদেরা ও সুবিধাবাদী বিখ্যাত ব্যক্তিরা, ব'লে থাকেন যে ধর্ম বিজ্ঞানের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই; তবে এটা মিথ্যে কথা - ধর্ম ও বিজ্ঞান সম্পূর্ণভাবে পরস্পরবিরোধী; বিজ্ঞান সত্যের সাধক আর ধর্ম মিথ্যার পূজারী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন