সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৪

নিঃসীম নূরানী অন্ধকারে - ১১৫

লিখেছেন কবীর উদ্দীন

৫৭১.
মহানবীজির চুলকে সম্মান করে ডাকা হয় চুল মোবারক, দাঁতকে দাঁত মোবারক, জোব্বাকে জোব্বা মোবারক, এমন কি বদনাকে পর্যন্ত অতি সম্মানের সহিত ডাকা হয় বদনা মোবারক। তার স্ত্রীদের তথা শস্যক্ষেত্রদের কি কোনোই সম্মান নেই মমিনদের কাছে? কেন তাদেরকে শস্যক্ষেত্র মোবারক ডাকা হয় না? তারা কি বদনারও অধম?

৫৭২.
মসজিদের মধ্যে একটি খেজুর গাছের থাম ছিল যার পাশে দাঁড়িয়ে নবীজি খোতবা পাঠ করতেন। যখন তার জন্য মিম্বর প্রস্তুত হলো এবং তিনি খেজুর গাছের থাম ছেড়ে মিম্বরের উপর খেতাব দিতে শুরু করলেন তখন ওই থাম প্রসবিতা উটের মতো কাঁদতে শুরু করলো। নবীজি যখন মিম্বর হতে নেমে থামের উপর হাত বুলালেন তখন সে কান্না বন্ধ করলো। - ছহিহ বুখারি, ২.১৩.৪১

- এই হাদিছটি পড়েই বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু জানতে পারেন, গাছের নিশ্চয় প্রাণ আছে। নইলে গাছ নবীজির জন্য কান্দে ক্যামনে?

৫৭৩.
ইছলামে মূর্তি বানানো হারাম। য়াল্ল্যা মাটির মূর্তি বানিয়ে তাতে ফুঁ দিয়েছিল। আর তাতেই মূর্তিটি নড়তে চড়তে শুরু করে। য়াল্যার বানানো সে মূর্তির নাম আদম। য়াল্ল্যা নিজেই হারাম কাজ করলো। হারাম দিয়েই শুরু হলো ইছলামের।

৫৭৪.
য়াল্যার সাথে মোলাকাত করতে, য়াল্যাকে হাজিরা দিতে ও অপরিসীম ছওয়াব কামাতে মমিন হজে যায়। হজে যাবার আগে সকল হাজিই শিরক করে। তারা পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলে। ছবি তোলা শিরক। শিরক অতি শক্ত গুনাহ। য়াল্যাপাক অনেক কবীরা গুনাহও মাফ করে দেবেন। কিন্তু শিরক কখনো মাফ করবেন না। কোটি কোটি হাজি শিরকে শিরকে এক য়াল্যাকে জর্জরিত করে। য়াল্যার সাথে হাজি মমিনরা কেন এত মশকরা করে? হাজিরা অতি পাজি।

৫৭৫.
স্রষ্টাদের মত এমন অসহায়, এমন বন্দী, এমন পঙ্গু, এমন দাসানুদাস, এই জগৎসংসারে আর কেউ নেই। তাদেরকে তাদের সৃষ্টিরা যেখানে যেভাবে বন্দী ক'রে রাখে, তারা সেখানে সেভাবে বন্দী হয়ে থাকে চুপচাপ, কোনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা, নড়াচড়াও নেই বেচারি স্রষ্টাদের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন