আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

দেহ-নগরে দ্বারশুমারি

লিখেছেন ক্যাটম্যান

আজ আমরা শ্রীমদ্ভগবদ গীতার পাঠ বিশ্লেষণ করব।

গীতার পঞ্চম অধ্যায়ের ১৩ নং শ্লোকে বলা হয়েছে: 
সর্বকর্মাণি মনসা সংন্যস্যাস্তে সুখং বশী।
নবদ্বারে পুরে দেহী নৈব কুর্বন্ন কারয়ন।।
পুরো শ্লোকটির অর্থ হলো - যিনি পরমার্থদর্শী - সমস্ত কর্ম ত্যাগপূর্বক নিজে কিছু না করিয়া এবং দেহেন্দ্রিয়াদিকে কোনো কর্মে প্রবর্তিত না করিয়া দেহেন্দ্রিয়াদিসঙ্ঘাতে আত্মাভিমানশূন্য, নিরায়াস ও প্রসন্নচিত্ত হইয়া নবদ্বার বিশিষ্ট দেহনগরে অবস্থান করেন। 

এই শ্লোকে যে-শিক্ষাটি আমরা পাই, তা হলো - একজন পরমার্থদর্শী ব্যক্তি নিষ্কর্মা হয়। নিষ্কর্মা ব্যক্তি প্রসন্ন চিত্তে নয় দরজা বিশিষ্ট দেহ-নগরে অবস্থান করেন।

নিষ্কর্মা ব্যক্তি সমাজের বিবেচনায় বোঝা হলেও গীতার বিবেচনায় প্রসন্নচিত্ত মহৎ ব্যক্তি। গীতার এই প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষা আধুনিক সমাজের মানুষের নিকট বহু পুর্বেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। 

এবার আমরা গীতার গুরুত্বপূর্ণ একটি ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করব। ওপরোক্ত শ্লোকে 'নবদ্বারে পুরে দেহী' এই অংশে ত্রুটি লক্ষণীয়। গীতার ব্যাখ্যায় দেহ-নগরে যে-নয়টি দরজার উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো, দুই চোখ, নাকের দুই ছিদ্র , দুই কান ও এক মুখ অর্থাৎ মুখমণ্ডলে মোট সাত ছিদ্র আর রেচন কর্মের জন্য পায়ুপথ ও মূত্রনালী। এই ছিদ্রসমূহ মিলিয়ে ভগবান মানবশরীরে নয়টি দরজা খুজে পেয়েছেন। 

তবে ভগবানের অনুসন্ধান জ্ঞান খুবই সীমিত। তার প্রমাণ আলোচ্য শ্লোকটি। কারণ চাক্ষুসভাবেই মানুষের শরীরে নারী-পুরুষ ভেদে ছিদ্রগত তারতম্য বিদ্যমান। যেমন গীতায় বর্ণিত উক্ত ছিদ্রসমূহ সাধারণভাবে একজন পুরুষ মানুষের দেহে থাকে। কিন্তু নারী দেহে এ ছাড়াও অতিরিক্ত একটি ছিদ্র রয়েছে; আর তা হলো নারীর যোনীপথ। উক্ত ছিদ্রটি নারী দেহে মূত্রপথের পাশাপাশি অবস্থিত একটি স্বতন্ত্র ছিদ্র। যে পথে নারীর জননেন্দ্রিয় অবস্থিত। অথচ ভগবান আত্মকেন্দ্রিক পুরুষ বিধায় নারীর শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ ছিদ্র বা দরজাটি উপেক্ষা করে মানব শরীরে নয় দরজার অবিজ্ঞানসুলভ তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। কারণ ভগবানের দৃষ্টিতে নারী মানুষ হিসেবে আদর্শ পদবাচ্য নয়। তাই ছিদ্রের সংখ্যান্বেষণে দশ ছিদ্রযুক্ত নারী দেহ নয়, পুরুষ ভগবানের নয় ছিদ্র বা নয় দরজাওয়ালা স্বীয় দেহ প্রাধান্য পেয়েছে। তাই ভগবান মানব দেহ নগরের দরজা যথাযথ ভাবে নির্ণয়ে ত্রুটি প্রদর্শন করেছেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

আবার আর এক বিবেচনায় মানুষের মুখমণ্ডলে ছয়টি ছিদ্র বিদ্যমান। কারণ নাকের বাহিরে দুটি ছিদ্র দৃশ্যমান হলেও নাকের ভিতরে শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী মূলত একটি। অর্থাৎ দুই ছিদ্র বিশিষ্ট নাক শ্বাস-প্রশ্বাসের একটি নালীর প্রতিনিধিত্ব করছে।

সেই বিবেচনায় ভগবানের মান বাচাতে আমরা নারী দেহে নয়টি দরজা খুজে পেলেও পুরুষের দেহে খুজে পাই মাত্র আটটি দরজা। সে ক্ষেত্রে পুরুষের দেহে ছিদ্রসঙ্কট দেখা দেয়, যা ভগবানের অজ্ঞতা ও ভগবানের বাণীবদ্ধ গ্রন্থ গীতার ত্রুটি নির্দেশ করে। 

আর ভগবানের অজ্ঞতা ও গীতার ত্রুটি প্রমাণ করে যে, গীতা ভগবানের বাণী নয় এবং ভগবান আধুনিক মানুষের চেয়েও জ্ঞানী নয়। তা না হলে, এই বিবেচনাকে আমলে নিয়ে অতি চতুর ভগবানের উচিত গীতার একখানা সংশোধিত সংস্করণ স্বীয় ভক্তদের নিকট অতি জরুরী ভিত্তিতে প্রেরণ করা।

তা না হলে ছিদ্রসঙ্কটে নারীদেহে যোনীপথের অভাবে ভগবানের ভক্তরা পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পথ খুঁজে পাবে না হয়ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন