মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

মৃত বিধাতাদের সমাধিস্থল

যে কোনও ধর্মবিশ্বাসীই অন্য ধর্মগুলোর বিধাতাদের বিশ্বাস করে না অর্থাৎ সেই বিধাতাগুলোর ক্ষেত্রে সে নাস্তিক; আর আমরা, নাস্তিকেরা, ওইসব বিধাতার পাশাপাশি অবিশ্বাস করি আরও একটি বিধাতায়। এমন একটি কথা বলেছিলেন রিচার্ড ডকিন্স।

পৃথিবীর ইতিহাসে স্থান, কাল ও গোত্রভেদে কতো বিচিত্র ধরনের ভগবানেশ্বরাল্লাহ ও দেব-দেবীর উদ্ভব হয়েছে মানুষের উর্বর মস্তিষ্ক থেকে, তার ইয়ত্তা নেই। Names of Gods and Godesses নামের সাইটে শত-সহস্র ভগবানেশ্বরাল্লাহ ও দেব-দেবীর ফিরিস্তি পাওয়া যাবে - বর্ণনাসহ। God checker নামের সাইটটিও চমৎকার। চাইকি উইকির তালিকাতেও চোখ বুলিয়ে আসা যায়।

আস্তিক ভাইদের কাছে একটি সহজ কোচ্চেন: এই শত-সহস্র বিধাতার ভিড়ে ঠিক আপনার বিধাতাটিই কেন সত্য এবং বাকিগুলো ভ্রান্ত, তার একটি সরল, বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে পারবেন?

সুস্থমস্তিষ্ক ও চিন্তাক্ষম কোনও ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনও এক বিধাতার ওপরে বিশ্বাস স্থাপন করে কোন যুক্তির ভিত্তিতে, জানতে বড়ো সাধ হয়।

বিধাতা-তালিকা দেখে আরও একটি ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সিংহভাগ বিধাতা এখন মৃত। এক সময় যাদের মনে করা হতো সর্বশক্তিমান, সর্বক্ষমতাবান, তারা এখন মরে ভূত!

তাদের পরিণতির করুণ ইতিহাস থেকে যে-ব্যাপারটি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়ে ওঠে, তা হচ্ছে: বর্তমানেরগুলোও নিশ্চিতভাবেই পটল তুলবে একটা সময়ে। অর্থাৎ অতীতের বিধাতা যেহেতু বর্তমানের মিথ, তাই বর্তমানের বিধাতা - ভবিষ্যতের মিথ। এবং সকলেই জানে, মিথ ও মিথ্যার ভেতরে তফাত কি খুব বেশি?

যে-কারণে এই প্রসঙ্গের উত্থাপন: শোচনীয়ভাবে মৃত এই বিধাতাগুলোর প্রতীকী সমাধিস্থল বানানো হয়েছিল গত বছর আমেরিকার জর্জিয়ায়। পরে সেটি হয়ে ওঠে ভ্রাম্যমাণ। সেই বিধাতা-সমাধিস্থলের কিছু ছবি:





আরও ১১টি ছবি এখানে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন