শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

কোরান কালোত্তীর্ণ ও সহজবোধ্য, কিন্তু...

লিখেছেন সেক্যুলার ফ্রাইডে

দাবী করা হয়, কোরআন হচ্ছে আল্লাহ'র বাণী; নাজেলের পূর্বে তা ছিল লওহে মেহফুজে সংরক্ষিত এবং অবধারিত ভাবে সেটার চরিত্র কালোত্তীর্ণ। 
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
[সূরা-আল হিজর, ১৫/০৯]
কোরআনের এই বাণী সত্য হলে কোনোভাবেই তার চরিত্র পূর্বাপর সম্বন্ধ এবং পরিণাম বিচারের ওপর নির্ভরশীল হতে পারে না।

সুরা কামারে আল্লাহ চার চারবার বলেছেন:
আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
তিনি তো কোনো তাফসীর, হাদিস শাস্ত্র, ফেকাহশাস্ত্র, নাহু-সুরুফ, আরবী সাহিত্য জানার ওপর জোর দেননি।

কিন্তু কোরআনের ভ্রান্তিসমৃদ্ধ আয়াতগুলো উল্লেখ করলেই মুমিনেরা এই বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে, এই আয়াতে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, এটা সেকালের জন্য সত্য, একালে নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। 

তাফসীর, আরবি ব্যাকরণ ইত্যাদির ওপরও অনেকে জোর দেন, এবং স্বীকৃত অনুবাদকেও অস্বীকার করবার দুর্বল এক চেষ্টা করেন।

যে গ্রন্থের বাণীর ইন্টারপ্রিটেশন ভিন্ন ভিন্ন রকম হতে পারে, সে গ্রন্থের পুনর্লিখন কি আজ অত্যাবশ্যক নয়?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন