বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৪

ঈমানদীপ্ত কাহিনী-৬ (মেরাজ কাহিনী)

লিখেছেন জল্লাদ মিয়া

আমরা সকলে লাইলাতুল মেরাজের ঘটনা জানি। মুমিনরা মেরাজের ঘটনা ঈমানের সহিত বিশ্বাস করে। হযরত আবু বকরী সবার আগে মেরাজের ঘটনা বিশ্বাস করার জইন্য তাহাকে আল্লাফাক ছিদ্দীক বা ছনু থুক্কু সত্যবাদী উপাধি দিয়াছিলেন। তো আমরা জানি মহাম্মক (খাঃ পুঃ) মেরাজের রাইতেই অতি কেয়ামতের থুক্কু নিয়ামতের জিনিস নামাজ মোবারক আনিয়াছিলেন। আমরা এখন মেরাজের আসল কাহিনী জানিব।

একদা আল্লাফাকের বউ অর্থাত্‍ মেরির লগে আল্লার ঝগড়া হইয়্যাছিল। সে কী ঝগড়া! এক্কেরে দুইজনে বিছানা পর্যন্ত আলাদা করিয়া ফেলিলেন! এর পর হইতে আল্লাফাকের কষ্টও বাড়িয়া চলিল। কিন্তু মেরির রাগ কমে না। এদিকে আল্লাফাকের ইমানদণ্ড মোবারকও ছটপট করিতেছিল, বিকজ আল্লাফাকের ইমানদণ্ড মোহাম্মদেরটার চেয়েও বেশি ইয়ে আছিল। সো আল্লাফাক বিকল্প ব্যবস্থা খুজিতেছিলেন...

আল্লাফাক আবার ইতিপূর্বে কোনোদিন গে সেক্স ট্রাই করিয়া দেখেন নাই। তাই তাঁহার একটু গে সেক্স করার সখ জাগিল। কিন্তু এখন কার 'পশ্চাদ্দেশ প্রহার' করা যায়? মহান সুবিজ্ঞ আল্লাফাক ভাবিতে লাগিলেন...

শেষে তিনি তার পিয়ারা হাবীব মুহাম্মককে পার্টনার হিসাবে নির্বাচন করিলেন। তাই তিনি একদিন মেরাজের আয়োজন করিলেন।

মেরাজের রাতে গিব্রাইল আসিয়া মুহাম্মককে আল্লাফাকের কাছে উঠাইয়্যা লইয়্যা গেলেন। যথা সময়ে আল্লাফাক মেরাজ আরম্ভ করিলেন। তিনি মুহাম্মককে ডগি স্টাইলে (সিজদার মত করিয়া) দাঁড় করাইলেন। তারপর আল্লাফাক বিসমিল্লা বলিয়া মেরাজে ধনোনিবেশ করিলেন। এতে মুহাম্মক চিৎকার করিয়া বলিতে লাগিলেন, "ছুদানির পোলা হালার পো হালা" (ছুবহানা রাব্বিয়াল আলা)।

ছাড়া পাইবার পর মুহাম্মক জমিনে নামিয়া আসিলেন। এরপর তিনি সকলকে ডগি স্টাইলের পজিসনটা দেখাইয়্যা বলিলেন, এর নাম সিজদাহ!

এর পর হইতে মুমিনরা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময় সিজদাহ আসনে আল্লাফাকের সহিত মিলিত হন।

এখন আমার কথা শুনিয়া মুমিনেরা বলিবেন, আমরা তাহলে ব্যথা পাই না ক্যান?

খাড়ান! বলতেছি।

আল্লাফাকের ঈমানদণ্ড মোবারকের বৈশিষ্ট্য হইলো, উহা যত লম্বা হইতে থাকে, তত চিকনও হয়। আরশে মুয়াল্লা হইতে হাজার কোটি মাইল পার হইয়া আসিতে আসিতে আল্লাফাকের ঈমানদণ্ড এতই চিকন হয়ে যায় যে, মুমিনরা তাতে ব্যথা পায় না, কিন্তু আল্লাফাক তৃপ্তি পান ঠিকই।

ইয়া আমানু!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন