শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫

ছহিহ ইছলামি প্লেবয় - ০৫

এই সিরিজের সার্বিক দায়িত্বে আছেন ক্যাটম্যান

ইসলাম অর্থ শান্তি, তাই ইসলাম ধর্মকে শান্তির ধর্ম বলা হয়ে থাকে। ইসলাম ধর্মানুসারীদের জন্য আল্লাহ ও তার রাসূল মুহম্মদ (ছাঃ) দুনিয়া ও আখেরাতে অশেষ শান্তির বন্দোবস্ত করেছেন। অথচ শান্তি খুঁজতে গিয়ে অনেক মুমিন, মুসলমান কুরআন-হাদিস তালাশ না করে ইহুদি-নাসারা কর্তৃক প্রকাশিত প্লেবয় ম্যাগাজিন তালাশ করে থাকেন। তারা ইহুদি-নাসারা কর্তৃক প্রকাশিত প্লেবয় ম্যাগাজিনের পাতায় চোখ বুলিয়ে জান্নাতি মেওয়া ভোগের স্বাদ পেতে চান; কিন্তু ইহুদি-নাসারাদের প্লেবয় ম্যাগাজিন মুসলমানদের জন্য হারাম। কারণ যে-কিতাব বা ম্যাগাজিনে ইসলামি তাহযিব-তমুদ্দুনের লেশমাত্র নেই, তেমন কিতাব বা ম্যাগাজিন মুমিন মুসলমানদের জন্য হালাল হতে পারে না। যেহেতু ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, সেহেতু ইসলামেই রয়েছে সমস্ত সমস্যার সমাধান। আর তাই মুমিন মুসলমানদের ঈমান রক্ষার্থে ধর্মকারী নিয়ে এল আল-কুরআনের আদর্শভিত্তিক ছহিহ ইসলামি প্লেবয় ম্যাগাজিন। এই ম্যাগাজিনের উদ্দেশ্য মুমিন মুসলমানদের ছহিহ ইসলামি বিনোদন উপহার দেয়া; একই সাথে সেই সব মুমিনা হুরদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া, যারা জান্নাতে গিয়েও হুরের দায়িত্ব পালন করবেন। 


ছহিহ ইসলামি প্লেবয় ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সকল বিষয় সম্পূর্ণরূপে অনৈসলামিক নগ্নতামুক্ত বিধায়, এখানে শুধুই ইসলামি নগ্নতা প্রকাশ পাবে, যা আল-কুরআন দ্বারা স্বীকৃত। 

আল-কুরআনে বলা হয়েছে - "আসমান ও যমিনে যাহা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং সবকিছুকে আল্লাহ পরিবেষ্টন করিয়া রহিয়াছেন" (সূরা নিসাঃ ১২৬ আয়াত); উক্ত আয়াত থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই যে, এই ছহিহ ইসলামি প্লেবয় ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সকল বিষয় আল্লাহর এবং প্রকাশিত সকল বিষয়কে আল্লাহ পরিবেষ্টন করে আছেন বিধায় কোন বিষয়ের বিরুদ্ধে অনৈসলামিক নগ্নতার অভিযোগ উত্থাপনের সুযোগ নেই। এই ম্যাগাজিনে যেটুকু ইসলামি নগ্নতা প্রকাশ পাবে, সে সম্পর্কে আল-কুরআনে বলা হয়েছে - "তাহারা যেন তাহাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাহাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনা-রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কাহারও নিকট তাহাদের আভরণ প্রকাশ না করে।" (সূরা নূরঃ ৩১ আয়াত )

এই আয়াতের নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলিমা নারীগণ তাদের স্বীয় আভরণ স্বামী, পিতা, ভাই, ভাতিজার ন্যায় যৌনকামনারহিত পুরুষ অর্থাৎ নারীর প্রতি ইসলামি নেক দৃষ্টিদানকারী পুরুষ ও অজ্ঞ বালকদের সামনে প্রকাশ করতে পারবেন।

তাই সন্মানিত পাঠকবৃন্দকে ছহিহ ইসলামি আদর্শ অনুসরণের স্বার্থে আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী অজ্ঞ বালক অথবা যৌনকামনারহিত পুরুষের দৃষ্টিতে এই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সকল বিষয় দেখার অনুরোধ করা যাচ্ছে।



এবং ইছলামী প্লেবয় সেন্টারফোল্ড: দু'টি ছবি (ক্লিক করুন), তবে ইমোটা খিয়াল কৈরা 
+














নারী কেন ধর্মমুগ্ধ

লিখেছেন পুতুল হক

একজন নারীর জন্য বেহেস্তের জীবনের চাইতে পৃথিবীর জীবন অনেক বেশী সম্মানের। পৃথিবীতেও সে পুরুষের অধীন দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, কিন্তু এখানে এই অবস্থার পরিবর্তন দাবী করতে পারে, সমঅধিকার চাইতে পারে, স্বাধীনতা চাইতে পারে। কল্পনার বেহেস্তে সেই সুযোগটুকুও নেই। 

বেহেস্তে পুরুষ কি স্বাধীন? কাজকর্ম না করে শুধু মদ খেয়ে আর সেক্স করে তাঁরা কতদিন থাকতে পারবে! চরম কামুক পুরুষও স্বাভাবিক অবস্থায় ভাবতে পারে না সে দিনরাত শুধু সেক্স করেই যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে! অথচ এর লোভেই নাকি তাঁরা বেহেস্তে যেতে চায়! 

মেয়েদের ধার্মিক হবার পেছনে পরকাল যতটা কাজ করে, তাঁর চাইতে বেশী কাজ করে পৃথিবীতে তাঁদের অস্তিত্ব। একটা ধার্মিক মেয়েকে চরম আস্তিক-পুরুষ, নাস্তিক-পুরুষ সকলেই পছন্দ করে। এর কারণ পুরুষের আধিপত্যের প্রতি তাঁদের নিঃশর্ত সমর্পণ। যে মেয়ে যত বেশী ধার্মিক, সে মেয়ে ততবেশী অপ্রতিবাদী, পরাধীনতাপ্রিয়, পুরুষ তথা মনিবের প্রতি বিশ্বস্ত। হিজাব যার প্রতীক। 

আধুনিকা উঠতি বয়সী মেয়েদের হিজাবি হবার প্রবণতা লক্ষ্য করবার মত। এ পর্যন্ত যতজনের সাথে কথা বলেছি, তাঁর নির্যাস হচ্ছে: এই ফ্রি মিক্সিং আর পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবেও তাঁরা "বখে" যায়নি, এখনো তাঁদের সতিচ্ছদ পর্দা অক্ষত আছে তাঁর প্রমাণের জন্য হিজাব ধারণ।

ইতিহাস বলে, রাজা যে ধর্ম অনুসরণ করে, তাঁর প্রজারাও সাধারণত সেই ধর্ম মানতে বাধ্য হয়। মনিব যদি আস্তিক হয় তাঁর অধীনে নাস্তিক হয়ে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায় না। অবমাননা, লাঞ্ছনা, অত্যাচার তাহলে নারীর নিত্যদিনের প্রাপ্য হতো। 

খুব সফল আর সক্ষম নারীরাও তো ধর্মের মাহাত্ম্য প্রচার করেন, তাঁদের কী হবে? তাহলে তাঁদের এতদিনের অর্জন ধ্বংস করে দেয়া হবে। আর নয়তো শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে। জন্মের পর থেকেই যাঁদের মগজের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয় "তুমি দুর্বল, তুমি পরাজিত", তাঁদের লড়াই করার উৎসাহ আর কতো থাকে?

কিন্তুক আমরা ত মুসলিম

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

পবিত্র কোরআন যখন দাবী করে, পিতা ইব্রাহীমের প্রথম দুইটা অর্থাৎ, ইহুদি ও খৃষ্টান ধর্ম মূলত আমাগের ইসলাম ধর্মের পূর্বসূরি, তখন আমরা কিছু ব্যাপার লিয়ে চিন্তিত হই পড়ি।

আমাগের তখন চিন্তায় আসে, যদি আব্রাহামিক রিলিজিয়ন বা পিতা ইব্রাহীম ধর্মের উত্তরসূরি আমরা মুসলিমরা হই ই, তবে তো তিন ধর্মেই সৃষ্টকর্তার স্বরুপ একই হবে, হওয়ার কথা!

দ্বিতীয়ত, কোনো একটি নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা খুঁজি বাহির করতে হবে, যেটি তিনো ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ তাকবে, এবং তিন ধর্মে সেইটা একই রকম কি না, তা যাচাই করে দেখতে হবে!

এবং এতে যদি কেবলমাত্র একটা, কেবল একটা, হাঁ কেবল একটা মাত্র গরমিল বা ভুল যুদি প্রমাণ হয়া যায়, তবে তিনো ধর্ম মিথ্যা বলে গন্য হবে। কেননা আমরা প্রত্যেক মুমিনই ধর্মগ্রন্থ দ্বারা জানি যে, আল্লাহপাক নির্ভুল, তাঁর কাজে ভুল নাই এবং উনার ওহীর হেফাজত কারি তিনিই।

সুতরাং, একটা মাত্র 'ভুল'ই আমাগের চিন্তার জগৎে তোলফাড় সৃষ্টি কোইত্তে ফারে! তাই, আমরা খুঁজতে গেলাম কয়েকটি ব্যপার। যেমন:

১.পবিত্র কোরানে বর্নিত সৃষ্টিকর্তা 'আল্লাহ' এবং ইহুদি ধর্মে উল্লেখিত সৃষ্টকর্তা 'YHWH বা Jehovah ' -এরা এক কি না বা ইনাদের মাঝে Attributes জনিত অমিল আছে কি না!

২. এমন একটা ঘটনা কি আছে, যেটি তিনো ধর্মে উল্লেখ আছে এবং সেই ঘটনাকে এক ধর্ম থিকা অন্য ধর্মে ভিন্নভাবে ব্যখ্যা আছে! উদাহরন: "কোরবানির ঘটনা"।

এখানে বলি রাখা ভাল যে, আমাগের এই ইতিহাসগত অনুসন্ধান কেবল একটা কারনেই - যেহেতু আল্লাহ বলেসেন 'সত্য' অনুসন্ধান কোইত্তে! তাই নিজ বিবেকের কাসে সৎ থাইকতেই আমাগের এই প্রচেষ্টা!

যাইহক, অনুসন্ধানে করিয়া আমরা দেকতে ফেলাম যে, ইসলাম ধর্মের 'আল্লাহ' ও ইহুদি ধর্মের 'YHWH' দের ভিতর বৈশিষ্টগত ফারাক বিদ্যমান এবং কোরবানির ঘটনায় ইহুদি, খৃস্টান ধর্মের সাথে ইসলামের বর্ননা মিলছে না!

হাঁ, তা আর বোইলচি কি!

যখন আমরা প্রমান পাই গেলাম 'আল্লাহ' এবং 'YHWH' দুইজনই বৈশিষ্টগত ভাবে ভিন্ন, এবং আর দেকলাম যে, ইহুদি ধর্মে ইসহাককেই (আ.) কোরবানির উদ্দেশ্যে পিতা ইব্রাহিম খুন করতে নিয়ে গিয়েসিলেন।

অথচ, ইসলাম ধর্ম বোইলচে, ইসমাইলকে (আ.) কোরবান দিতে নেয়া হয়েসিলো!

আফনি যদি সত্যিই সত্য অনুসন্ধানি হন এবং নিজের বিবেকের কাছে সৎ থাকেন এবং ছোটো বেলা থিকা পারিবারিক ভাবে বা সামাজিক ভাবে পাওয়া ধর্মীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মিয় শিক্ষার ভয়ঙ্কর বন্ধন থিকা নিজেকে এক মিনিটের জন্য মুক্ত করেন এবং ভাবেন যে, এই একটু ভুল এর জন্যই নির্ভুল বলে দাবীদার ধর্মগ্রন্থ সমূহের অস্তিত্ত্ব মিথ্যা হই যাবে। এবং এখানে তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত!

হাহাহা, কিন্তুক... কিন্তুক আমরা ত মুসলিম!

আমরা ত এমন বিতর্কিত অবস্থায় অন্য পথ অবলম্বন কোইরব! এই অবস্থায় আমরা বোইলব যে,আগের ধর্ম গ্রন্থ গুলা বিকৃত হই গেসে!

তারফর হয়ত দিখা যাবে, নাস্তেকেরা খোঁটা দিতে ফারে এই বলি যে, "তাহলে সে হিসাবে কোরান যে অবিকৃত নয়, তার প্রমান কি, কারন, নবীজি নিজের হাতে কোরান সংকলন করেন নাই। উসমানই ত নিজের বিবেচনায় অন্য সব কোরান পুড়ে ফেলেন এবং নিজের ইচ্ছামত একটাকে সংকলন করি রাখেন!"

হাহাহা... এমুন কঠিন অবস্থায় ফড়লে অন্য ধর্মের লুকেরা হাবুডুবু খাইত, কিন্তুক আমরা ত মুসলিম! তাই আমরা বোইলব, হুম, তাহলে মনে হয় আল্লাহপাকের বিবর্তন হয়েসে!

শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৫

মহাবিশ্বে মহাকাশে মহা নূরের পথে

ধর্মদুর্গত রাশিয়ায় এখন ধর্মবিশ্বাসের প্রবল প্রকোপ। এমনকি তা ছড়িয়ে পড়েছে মহাকাশেও।

২০১৩ ও ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রুশ অংশের একটি কেবিনে তোলা তিনটি ছবি:

২০১৩ সালে: পেছনে সোভিয়েত মহাশূন্য প্রোগ্রামের জনক সের্গেই কোরোলেভ ও য়্যুরি গ্যাগারিনের ছবি

২০১৪ সালের প্রথম ভাগে: কোরোলেভ ও গ্যাগারিনের ছবির পাশে ঠাঁই করে নিয়েছে যিশুর আইকোন

২০১৪ সালের শেষ ভাগে: কোরোলেভ ও গ্যাগারিনের ছবির স্থান সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে যিশুর গোটা কয়েক আইকোন, এক জোড়া ক্রুশ 

সূত্র

ইসলামি (নারীদের) নগ্নতা

লিখেছেন অর্ণব খান

নারীদের পর্দা নিয়ে ইসলাম বেশ কড়াকড়ি করে। কিন্তু তাই বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, ইসলামে নারীদের নগ্নতা বৈধ নয়। বরং ইসলামি আইনে নারীরা নিকটাত্মীয় পুরুষদের সামনে খুব বিচ্ছিরি রকম ভাবে অর্ধনগ্ন হয়ে, এমনকি স্তন উন্মুক্ত রেখে, থাকতে পারে। ইসলামে পরপুরুষদের সামনে নারীদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হয়, কিন্তু মাহরাম পুরুষদের সামনে নারীদের শুধু নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত আর সাথে পেট ও পিঠ ঢেকে রাখলেই পর্দা হয়ে যায়।

প্রমাণস্বরুপ আমরা ইসলামি শরিয়ার হানাফি আইনের দিকে লক্ষ করতে পারি। বাংলাদেশের তো বটেই, এমনকি সারা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম হানাফি মাযহাবের অনুসারী। কিন্তু মডারেট মুসলিমগুলো ইসলামের অসভ্যতার ব্যাপারগুলো জানে না, শুধু চোখে ঠুলি পড়ে কয়েকটা ভাল কথা শুনেই 'ইসলাম মহান' এটা মেনে নেয়, কিন্তু প্রকৃত ইসলাম আর পালন করতে পারে না। 

ইসলামি শরিয়ার হানাফি আইনের শ্রেষ্ঠ বই 'আল হিদায়া' থেকে কী পাওয়া যায়, দেখা যাক।

১. পুরুষরা তাদের মা, বোন, কন্যা, খালা, ফুফু, ভাগ্নি, ভাতিজি ইত্যাদি নারী আত্মীয়ের নগ্ন বুক দেখতে পারবে। উদ্ধৃতি দিচ্ছি আল হিদায়া থেকে:
পুরুষ তার মাহরাম মহিলাদের মুখমন্ডল, মাথা, বক্ষ, উভয় পায়ের নলা, এবং উভয় বাহুর প্রতি নযর করতে পারবে; কিন্তু তার পিঠ, পেট ও রানের প্রতি নযর করবে না।
(আল হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
২. শুধু দেখতে নয়, পুরুষরা তাদের আত্মীয়া নারীদের স্তন ছুঁতেও পারবে। উদ্ধৃতি দিচ্ছি আল হিদায়া থেকে:
মাহরাম মহিলার যে অঙ্গের প্রতি নযর করা জাইয, তা স্পর্শ করাতে কোন দোষ নেই।
(আল হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)

এ তো গেল সাধারণ নারীদের কথা। দাসী নারীদের ক্ষেত্রে পরপুরুষের সামনেও পর্দার কোনো বালাই নেই ইসলামে। শুধু নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত আর পেট ও পিঠ ঢাকলেই চলে। দাসী বেচা-কেনার সময় মুমিন মুসলমানরা এক কালে দাসীদের স্পর্শকাতর অঙ্গও স্পর্শ করত।

এখনকার মুমিনরা যখন পশ্চিমা নগ্নতার কথা বলে, তখন কি তাদের নিজেদের শরিয়ার কথা ভেবে দেখা উচিত নয়?

দ্বীনবানের দীন বাণী - ১১

বাংলাদেশের মুছলিমদের ভেতরে অত্যন্ত জনপ্রিয় ওয়াজজীবী আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, যে বলেছিল, "ঢাকা শহর যদি নড়ে উঠে, তাহলে উপরটা চলে যাবে এক হাজার কোটি কিলোমিটার নিচে", তার এবারের ওয়াজটি অনেকটা নজরুলের 'বিদ্রোহী' কবিতা আবৃত্তির ধাঁচে।

ওয়াজের ভিডিও থেকে ট্র্যান্সক্রিপ্ট বানিয়েছেন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

বিদ্রোহী ওয়াজ

আমি মুছলিম চির রণবীর, মরণকে করি না ভয়। 

আমি ছবিকে কবর দিতে এসেছি। 

আমি মূর্তিকে লাত্থি দিয়ে ভাঙতে এসেছি! 

তুমি জানো না, আমি মুসলিম?… 

তুমি যখন বিজাতিতে চলে গেছ, সেটা তোমার ব্যাপার। 

তুমি তো পহেলা বৈশাখ মানো, আমি কি হিন্দুর বাচ্চা? 

আমি কি হিন্দুর ঘরে জন্ম নিয়েছি নাকি আমি পহেলা বৈশাখ মানবো?…

তুমি বলো কী! তুমি জানো না আমি মুসলিম? 

আমার রক্তের সাথে মিশে আছে মূর্তি-ভাঙা নীতি,

আমার গোস্তের সাথে মিশে আছে মূর্তি-ভাঙা নীতি, 

আমি পহেলা বৈশাখকে কবর দিতে এসেছি…

আমি হিন্দুর ঘরে জন্ম নিইনি, 

আমি মুসলিম চির রণবীর, মরণকে করি না ভয়। 

মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী - আমার উভয়ই সমান…


বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৫

নিত্য নবীরে স্মরি – ১৭৮


'নবীপোন্দন সপ্তাহ' উদযাপনের সময় এঁকেছেন হিমেল দিবাকর

'নবীপোন্দন সপ্তাহ' উদযাপনের সময় এঁকেছেন পথহারা কৌশীক

ওহুদ যুদ্ধ - ১৩: মুহাম্মদ ও সাফিয়ার হাহাকার!: কুরানে বিগ্যান (পর্ব- ৬৬): ত্রাস, হত্যা ও হামলার আদেশ – চল্লিশ

লিখেছেন গোলাপ

পর্ব ১ > পর্ব ২ > পর্ব ৩ > পর্ব ৪ > পর্ব ৫ > পর্ব ৬ > পর্ব ৭ > পর্ব ৮ > পর্ব ৯ > পর্ব ১০ > পর্ব ১১ > পর্ব ১২ > পর্ব ১৩ > পর্ব ১৪ > পর্ব ১৫ > পর্ব ১৬ > পর্ব ১৭ > পর্ব ১৮ > পর্ব ১৯ > পর্ব ২০ > পর্ব ২১ > পর্ব ২২ > পর্ব ২৩ > পর্ব ২৪ > পর্ব ২৫ > পর্ব ২৬ > পর্ব ২৭ > পর্ব ২৮ > পর্ব ২৯ > পর্ব ৩০ > পর্ব ৩১ > পর্ব ৩২ > পর্ব ৩৩ > পর্ব ৩৪ > পর্ব ৩৫ > পর্ব ৩৬ > পর্ব ৩৭ > পর্ব ৩৮ > পর্ব ৩৯পর্ব ৪০ > পর্ব ৪১ > পর্ব ৪২ > পর্ব ৪৩ > পর্ব ৪৪ > পর্ব ৪৫ > পর্ব ৪৬ > পর্ব ৪৭ > পর্ব ৪৮ > পর্ব ৪৯ > পর্ব ৫০ > পর্ব ৫১ > পর্ব ৫২ > পর্ব ৫৩ > পর্ব ৫৪ > পর্ব ৫৫ > পর্ব ৫৬ > পর্ব ৫৭ > পর্ব ৫৮ > পর্ব ৫৯ > পর্ব ৬০ > পর্ব ৬১ > পর্ব ৬২ > পর্ব ৬৩ > পর্ব ৬৪ > পর্ব ৬৫

ওহুদ যুদ্ধে কুরাইশ দলপতি আবু সুফিয়ান ইবনে হারব মানবিক দুর্বলতায় কী কাজটি ভুল করেছিলেন এবং তাঁর সেই ভুলটি তিনি কীভাবে তৎক্ষণাৎ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, তার আলোচনা আগের পর্বে করা হয়েছে।

তিনি স্বঘোষিত নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর অনুসারীদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাদের সহকারীদের কিছু মৃতদেহের অঙ্গচ্ছেদের (mutilation) ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তিনি কোনো কুরাইশকেই এই কর্মটি করার জন্য কোনো আদেশ বা নিষেধ কোনোটিই করেন নাই।

আবু সুফিয়ান ও তাঁর সৈন্যরা মক্কায় প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর মুহাম্মদ ও তাঁর সহচররা তাদের নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের মৃতদেহের খোঁজ করতে থাকেন। মুহাম্মদ নিজেও তাঁর চাচা হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিবের মৃতদেহের খোঁজে বের হোন।

তিনি ওহুদ উপত্যকার নিম্নভাগে হামজার লাশটির সন্ধান পান। প্রিয় সমবয়সী চাচার বিকৃত লাশ প্রত্যক্ষ করে তিনি অতিশয় আবেগে আপ্লুত ও ক্রোধান্বিত হন।

মুহাম্মদ ইবনে ইশাকের (৭০৪-৭৬৮ সাল) বর্ণনা:

‘আমাকে [মুহাম্মদ ইবনে ইশাক] বলা হয়েছে যে, আল্লাহর নবী হামজার লাশের খোঁজে বাহিরে বের হন এবং তিনি তাকে পেট চেরা, কলিজা উধাত্ত এবং নাক ও কান কাটা অবস্থায় উপত্যকার নিম্নভাগে খুঁজে পান।

মুহাম্মদ বিন জাফর বিন আল-জুবায়ের আমাকে বলেছেন যে, যখন আল্লাহর নবী তা দেখেন, তখন তিনি বলেন,

"যদি বিষয়টি সাফিয়ার [1] জন্য অত্যন্ত দু:খদায়ক (miserable) না হতো ও আমার মৃত্যুর পর এটি প্রথায় (custom) পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকতো (যদি এই হাদিসটি সহি হয়, তাহলে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আল্লাহর নবী জানতেন যে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর প্রত্যেকটি কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু, এটাও সম্ভব যে, মূল আরবি রচনায় (text) চারটি অতিরিক্ত শব্দ যোগ করা হয়েছে) তবে আমি তাকে এই অবস্থাতেই রেখে দিতাম, যাতে তার এই মৃতদেহ পশু ও পাখিদের উদরপূর্তির কারণ হয়।

যদি ভবিষ্যতে আল্লাহ আমাকে কুরাইশদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করে, তবে আমি তাদের ৩০ জনের অঙ্গচ্ছেদ করবো।"

আল্লাহর নবীর চাচার সঙ্গে যারা এমন ব্যবহার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর নবীর এই মর্মযন্ত্রণা ও ক্রোধ (grief and anger) যখন মুসলমানেরা প্রত্যক্ষ করেন, তাঁরা বলেন,

"আল্লাহর কসম, যদি ভবিষ্যতে আল্লাহ আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করে, তবে তাদেরকে আমরা এমনভাবে অঙ্গচ্ছেদ করবো যা অন্য আরব কখনো কাউকে করেনি।"  

বুরায়েদা ইবনে সুফিয়ান বিন ফারওয়া আল-আসলামী < মুহাম্মদ বিন কাব আল-কুরাজি ও আরেকজন যাকে আমার অবিশ্বাস করার কোন কারণ নেই < ইবনে আব্বাস (হইতে বর্ণিত) আমাকে বলেছেন যে, আল্লাহর নবী ও তাঁর অনুসারীদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ নাজিল করেন,

১৬:১২৬-১২৭ - "আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম। আপনি সবর করবেন। আপনার সবর আল্লাহর জন্য ব্যতীত নয়, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তের কারণে মন ছোট করবেন না।"

তাই আল্লাহর নবী তাদেরকে ক্ষমা করেন ও ধৈর্যধারণ করেন এবং অঙ্গচ্ছেদ করা নিষেধ করেন।

এমন একজন যাকে আমার অবিশ্বাস করার কোন কারণ নেই < মিকসাম, যিনি ছিলেন আবদুল্লাহ বিন আল-হারিথের একজন মক্কেল (client) < ইবনে আব্বাস (হইতে বর্ণিত) আমাকে বলেছেন:

‘আল্লাহর নবী হামজার মৃতদেহটি ঢিলা বড় জামায় (mantle) আবৃত করার আদেশ দেন। তারপর তিনি সাত বার 'আল্লাহ আকবর' উচ্চারণ করে তার জানাজা আদায় করেন।

তারপর সমস্ত মৃতদেহ একে একে জড়ো করে হামজার মৃতদেহের পাশে রাখা হয় এবং তিনি সবার জানাজা আদায় করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ৭২ জনের জানাজা শেষ হয়।

আমাকে বলা হয়েছে যে, সাফিয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিব তার ভাইয়ের লাশদেখার জন্য সামনে এগিয়ে আসেন। আল্লাহর নবী তার [সাফিয়া] ছেলে আল-জুবায়ের বিন আল-আওয়ামকে বলেন,

"তার কাছে যাও এবং তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো যাতে সে তার ভাইয়ের কী হাল হয়েছে তা না দেখে।"

সে তাকে বলে, "মা, আল্লাহর নবী তোমাকে ফিরে যাওয়ার আদেশ করেছেন।"

তিনি জবাবে বলেন "কেন? আমি শুনেছি যে, আমার ভাইয়ের অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছে। আল্লাহ সহায়, যা যা ঘটেছে তা আমাদের মেনে নেয়ার সামর্থ্য সে আমাদের দিয়েছে। আল্লাহ চাহে তো আমি ধীর ও শান্ত থাকবো।"  

যখন জুবায়ের আল্লাহর নবীর কাছে ফিরে আসে ও তাঁকে এই খবরটি জানায়, তিনি তাকে বলেন, সে যেন তাকে বাধা না দেয়।

সাফিয়া সেখানে যান, হামজার মৃতদেহ দেখেন এবং তার জন্য দোয়া করেন ও বলেন, "আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি ও তার কাছেই আমরা ফিরে যাব"। তিনি তার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করেন।

তারপর আল্লাহর নবী তাকে সমাহিত করার আদেশ করেন।

আবদুল্লাহ বিন জাহাশের এক পরিবার সদস্য, যিনি ছিলেন উমাইয়ামা বিনতে আবদুল মুত্তালিবের পুত্র ও হামজার ভাগ্নে; হামজার মতই তার মৃতদেহের ও অঙ্গচ্ছেদ করা হয়েছিল। পার্থক্য ছিল এই যে, তার কলিজা বের করে নেয়া হয়নি। তার কিছু পরিবার সদস্যের দাবী এই যে, আল্লাহর নবী তার মৃতদেহ ও হামজার মৃতদেহ একই কবরে সমাহিত করেছিলেন; কিন্তু আমি এই কাহিনী শুধু তার পরিবারের কাছ থেকেই শুনেছি।

কিছু মুসলমান তাদের পরিবার সদস্যের মৃতদেহ মদিনায় নিয়ে আসে ও সমাহিত করে। আল্লাহর নবী এই কাজটি করতে নিষেধ করেন ও তারা যেখানে পড়ে আছে, সেখানেই তাদের কবর দিতে বলেন। তাদের দুইটি বা তিনটি মৃতদেহ একই কবরে সমাহিত করা হয়।

আমার পিতা ইশাক ইবনে ইয়াসার আমাকে বানু সালামা গোত্রের পণ্ডিত শায়খের (shaykh) বরাত দিয়ে বলেছেন, যখন আল্লাহর নবী লাশগুলো দাফন করার আদেশ দেন, তিনি বলেন, "আমর বিন আল-যামুহ ও আবদুল্লাহ বিন আমর বিন হারামের লাশের দিকে নজর রেখো; এই দুনিয়ায় তারা ছিল নিকট বন্ধু, তাই তাদেরকে একই কবরে সমাহিত করো।"

তারপর আল্লাহর নবী মদিনায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হন।’ [2][3]

ইবনে হিশামের (মৃত্যু ৮৩৩ সাল) নোট:

‘যখন আল্লাহর নবী হামজার মৃতদেহের সামনে দাঁড়ান, তিনি বলেন, "ইতিপূর্বে আমি কখনোই এমন আঘাত পাইনি। কখনোই আমি এত ক্রোধান্বিত হইনি।"

তারপর তিনি বলেন, "জিবরাইল আমার কাছে এসেছে এবং বলেছে যে সাতটি বেহেশতের বেহেশত-বাসীদের মধ্যে হামজার নাম লিখিত আছে: ‘হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব, আল্লাহ ও তার রসুলের সিংহ’।"  

আল্লাহর নবী, হামজা ও আবু সালামা ইবনে আবদুল আসাদ ছিলেন পালিত ভাই (foster-brothers); আবু লাহাবের কাছ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত এক ক্রীতদাসী (freedwoman) এদের প্রতিপালন করেন।’ [4]

>>> ইবনে হিশামের ওপরোক্ত বর্ণনায় আমরা জানতে পারি যে, মুহম্মদের চাচা আবু লাহাব ইবনে আবদুল মুত্তালিব তাঁর এই পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ মুহাম্মদের লালন পালন করেছেন। চাচা আবু লাহাব তাঁর এক ক্রীতদাসীকে দাসত্ব মুক্ত করে এই অনাথ ভাতিজার লালন-পালন ও সেবা-যত্নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

চাচা আবু লাহাবের এই স্নেহ-ভালবাসার প্রতিদানে (!) কৃতঘ্ন ভাতিজা মুহাম্মদ তাঁর এই চাচাকে শুধু নিজে অভিশাপ দিয়েই ক্ষান্ত হননি, তাঁর অনুসারীরাও যেন তাঁর এই চাচাকে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার (কিয়ামত) পূর্ব পর্যন্ত প্রতিদিন "অভিশাপ বর্ষণ" করে তার ব্যবস্থা করে গিয়েছেন। 

তাঁর এই চাচার অপরাধ এই যে, তিনি তাঁর ভাতিজা মুহাম্মদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছিলেন এবং তাঁর আক্রমণাত্মক প্রচারণায় বাধা প্রদান করেছিলেন। এ বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা পর্ব ১২ ও পর্ব ৪১ এ করা হয়েছে।

মুহাম্মদ তাঁর স্বরচিত ব্যক্তিমানস জীবনীগ্রন্থ (Psycho-Biography) কুরানে তাঁর সমসাময়িক যে দু'জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন, তার একজন হলেন এই আবু লাহাব (পর্ব: ৩৯)।   

"আল্লাহ নামক" হাতিয়ারের মাধ্যমে গত ১৫ টি বছর (৬১০-৬২৫ সাল) যাবত মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর মতবাদ প্রচার ও প্রসারে যারাই তাঁকে নবী হিসাবে অস্বীকার করেছেন, সমালোচনা করেছেন কিংবা তাঁর বাণী কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ বাধাদান করেছেন; তাঁদেরকেই তিনি যথেচ্ছ অসম্মান, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, হুমকি, শাসানী, ভীতি প্রদর্শন, শাপ-অভিশাপ বর্ষণ করেছেন।

সামান্য কবিতা লেখার অপরাধে তিনি বিরুদ্ধবাদীদের অবলীলায় খুন করার আদেশ জারি করেছেন। ১২০ বছরের অতিবৃদ্ধকে (পর্ব-৪৬), ছোট্ট সন্তানকে স্তন্যপান-রতা জননীকে (পর্ব-৪৭), অল্প কিছুদিন আগে বিবাহিত কুলবধুর স্বামীকে (পর্ব-৪৮), নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে (পর্ব-৪৯), স্ত্রীর চোখের সামনে তাঁর স্বামীকে (পর্ব-৫০)!

বিভিন্ন অজুহাতে তিনি একটি গোত্রের সমস্ত মানুষকে তাঁদের শত শত বছরের ভিটেমাটি থেকে প্রায় এক বস্ত্রে বিতাড়িত করে তাঁদের সর্বস্ব লুণ্ঠন করেছেন (পর্ব: ৫১-৫২)। 

তাঁর দীক্ষায় দীক্ষিত অনুসারীরা বদর যুদ্ধে প্রচণ্ড নৃশংসতায় খুন করেছেন তাঁদেরই একান্ত নিকটাত্মীয়দের। তাঁদেরকে বন্দী করে ধরে নিয়ে এসে তাঁদেরই নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে আদায় করেছেন মুক্তিপণ!

হত্যার বদলে হত্যা! হিংসার বিনিময়ে হিংসা! ঘৃণার বিনিময়ে ঘৃণা!

সেই ধারাবাহিকতায় আজ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ও হারিয়েছেন তাঁরই এক একান্ত নিকট আত্মীয়কে। প্রকৃতপক্ষেই মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ তাঁর জীবনে এত বড় আঘাত ইতিপূর্বে কখনোই পাননি!

(চলবে)

[কুরানের উদ্ধৃতিগুলো সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ (হেরেম শরীফের খাদেম) কর্তৃক বিতরণকৃত বাংলা তরজমা থেকে নেয়া; অনুবাদে ত্রুটি-বিচ্যুতির দায় অনুবাদকারীর। কুরানের ছয়জন বিশিষ্ট অনুবাদকারীর পাশাপাশি অনুবাদ এখানে।]

তথ্যসূত্র ও পাদটীকা:

[1] সাফিয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিব ছিলেন হামজার নিজের বোন এবং মুহাম্মদের নিজের ফুপু। তাঁদের মায়ের নাম ছিল 'হালা' (পর্ব-১২) । 

[2] “সিরাত রসুল আল্লাহ”- লেখক: মুহাম্মদ ইবনে ইশাক (৭০৪-৭৬৮ খৃষ্টাব্দ), সম্পাদনা: ইবনে হিশাম (মৃত্যু ৮৩৩ খৃষ্টাব্দ), ইংরেজি অনুবাদ:  A. GUILLAUME, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, করাচী, ১৯৫৫, ISBN 0-19-636033-1, পৃষ্ঠা ৩৮৭-৩৮৯ http://www.justislam.co.uk/images/Ibn%20Ishaq%20-%20Sirat%20Rasul%20Allah.pdf

[3] “তারিক আল রসুল ওয়াল মুলুক”- লেখক:  আল-তাবারী (৮৩৮-৯২৩ খৃষ্টাব্দ), ভলুউম ৭,ইংরেজী অনুবাদ: W. Montogomery Watt and M.V. McDonald, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি প্রেস, ১৯৮৭, পৃষ্ঠা (Leiden) ১৪২০-১৪২২ http://books.google.com/books?id=efOFhaeNhAwC&printsec=frontcover&source=gbs_ge_summary_r&cad=0#v=onepage&q&f=false

[4] Ibid মুহাম্মদ ইবনে ইশাক, ইবনে হিশামের নোট নম্বর -৬১৩, পৃষ্ঠা ৭৫৬

নাস্তিকরা যে-কারণে নামাজ-কালাম পড়তে পারেন

লিখেছেন নাস্তিক দস্যু

একদা এক অঞ্চলে একটা ওয়াজ মাহফিলে এক হুজুর সারারাত বয়ান করিল। ওয়াজ মাহফিলে অনেক ইমানদার মানুষ উপস্থিত হইয়াছিল। কিন্ত এক কাফের নাস্তেক ব্যক্তি ওইখানে যায় নাই। বরং সে সারারাত ধরে ঘুমাতে না পারার কারণে হুজুররে গালি দিল। মনে মনে ঠিক করিল, এ ব্যাপারে হুজুরের সাথে কথা বলিবে।

পরের দিন সকালে হুজুরের সাথে নাস্তিক ব্যক্তিটার দেখা হইল। 

নাস্তিক: হুজুর, আপনি গত রাতে খুব চিল্লাফাল্লা করেছেন, যার কারণে আমি ঘুমাতে পারি নাই। আপনাদের কেমন আক্কেল? মানুষকে কষ্ট দিয়ে ধর্ম প্রচার করেন!

হুজুর: আস্তাগ ফিরুল্লাহ! আপনার এভাবে বলা ঠিক হয়নি, এটা আল্লাহর আদেশ। নিশ্চই আল্লাহ সুবিজ্ঞ। আমার ওয়াজ শুনে যদি কারো হেদায়াত হয়, তবে আমার জান্নাত নিশ্চিত!

কাফের: আচ্ছা, আল্লা কি আছে?

হুজুর: খোদার কসম আছে!

কাফের: আল্লাকে দেখাতে পারবেন?

হুজুর: আল্লাকে এই দুনিয়ায় দেখা সম্ভব নয়। আল্লাকে দেখতে হলে আগে বেহেস্তে যেতে হপে।

কাফের: বেহেস্তে যেতে হলে কী করতে হবে?

হুজুর: হুজুরদের সম্মান করতে হবে, নামাজ-দুয়া বেশি করে পড়তে হবে। না হলে জাহান্নামে যেতে হবে। জাহান্নামের শাস্তি খুব কঠিন।

কাফের: আমাকে একটু নামাজ-কালাম শুদ্ধ করে শেখাবেন?

হুজুর: (খুশি হয়ে) বালহামদুলিল্লাহ! অবশ্যই শেখাব।

কাফের: ধন্যবাদ।

হুজুর: আপনি নিশ্চই জাহান্নামের ভয়ে নামাজ-কালাম পড়বেন? 

কাফের: না।

হুজুর: তাহলে কেন পড়বেন?

কাফের: আপনার যে-আল্লাহ মানুষকে কষ্ট দিতে নির্দেশ দেয়, সেই সুবিজ্ঞ আল্লাহরে পোন্দানোর খুব ইচ্ছা। আল্লাহকে জান্নাতে ছাড়া তো আর কোথাও পাব না। তাই আগে জান্নাতে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি।

বুধবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৫

বুরকা অ্যান্ড দ্য বিচ – ২১

বিকিনিবহুল সমুদ্রতীর বা অন্যান্য রৌদ্রস্নানস্থলে বোরখাপরিহিতাদের অবস্থান বড়োই বেমানান, অশোভন, দৃষ্টিকটু এবং অশালীনও বটে। সেখানে তোলা কিছু ছবি ও প্রাসঙ্গিক কার্টুন সংকলন "বুরকা অ্যান্ড দ্য বিচ" ("বিচ" বানান কিন্তু beach. খিয়াল কৈরা!)।



ইসলামে বিবিধ বিবাহ

লিখেছেন শান্তনু আদিব

অন্য যে কোনো ধর্মের মতোই ইসলামে আছে নানা রং-বেরং-এর বিয়ে। যদিও সাধারণভাবে আমরা মনে করি, শুধু পারিবারিক অ্যারেঞ্জড ম্যারেজই ইসলামে জায়েজ। উহা ভুল কথা। আসুন, আমরা জেনে নেই, ইসলামে কয় ধরনের বিবাহ আছে...

‪‎মুতা বিবাহ

অনেক নাস্তেকে মুতা বিবাহকে গোল্ডেন শাওয়ার-এর সাথে তুলনা করলেও ইহা আসলে গোল্ডেন শাওয়ার নহে। পিশাব করার সাথে এই বিবাহের কোনো সম্পর্ক নাই। যৌনকামনা নিবৃত্তের উদ্দেশ্যে স্বল্প সময়ের জন্য এই বিবাহ করা হয়। নবী করিম (সঃ)-এর সময়ে প্রথমদিকে এই বিবাহের প্রচলন ছিল, যখন গনিমতের মালের সাপ্লাই কম ছিল। হাদিসে পাওয়া যায়, খাইবারের যুদ্ধের পরে এই বিবাহ হারাম করা হয়। যদিও অন্য হাদিসে পাওয়া যায়, নবী করিম (সঃ)-এর মৃত্যুর পরে আবু বকর এর সময়েও নাকি মুতা বিবাহ চালু ছিল, পরে উমর এসে তা নাকি আইন করে বন্ধ করেন। যাই হউক, সহীহ মুসলিমের হাদিসকে জাল বলিয়া শিয়া মুসলিমেরা এখনো "ইয়া আলী" বলিয়া চান্স পাইলেই মুতা বিবাহ করেন।

ইজমা কিয়াসের আলোকে আমি বলতে পারি, এই বিবাহ সকল মুসলিমের জন্য জায়েজ, তবে অবশ্যই যখন গনিমতের মালের টানাটানি পরিবে। গনিমতের মালের সাপ্লাই ঠিক থাকিলে এই বিবাহ হারাম।

এই বিবাহের নিয়ম খুবই সহজ। সময় এবং দরাদরি করিয়া আল্লারফাকের নামে মোহর মিটাইয়া দিলেই এই বিবাহ সম্পন্ন হইবে। সময় শেষ হইলে অথবা মাল আউট হইলে আপনাআপনি তালাক হইয়া যাইবে।

‪‎মিস্আর বিবাহ‬ বা মুসাফিরের বিবাহ

সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে মুসাফিরদের জন্য ভিন্ন নিয়ম থাকিলে বিবাহের ক্ষেত্রে কেন থাকিবে না! যেখানে হুজুর পাক (সঃ) নিজে এরশাদ করিয়াছেন, "যে ব্যক্তি আমার সুন্নত হিসাবে বিবাহ করে, সে দ্বীনের পথে অর্ধেক আগাইয়া গেল।"

ভ্রমণের বা কর্মের উদ্দেশ্যে আমাদের অনেককেই দেশের বাইরে লম্বা সময় থাকিতে হয়। সে সময় আল্লাফাক চান না আমরা আমাদের যৌবনজ্বালা নিয়ে কষ্টে থাকি। সে জন্যই উনি এই বিবাহের প্রচলন করিয়াছিলেন।

এই বিবাহের নিয়ম মুতা বিবাহের থেকে কিছুটা জটিল। এই বিবাহে আপনার যা লাগবে, তা হল - দুই পক্ষের চুক্তি, দুইজন সাক্ষী, মোহরের পরিমাণ এবং বিবাহের সময় বা কতদিন পরে এই বিবাহ বাতিল হইবে সেটা। মডারেট সুন্নি স্কলারেরা এই বিবাহের ব্যাপারে আপত্তি জানাইলেও যেহেতু এই বিবাহ সাধারণ বিবাহের সকল নিয়ম পূর্ণ করে, তাই এই বিবাহ জায়েজ। তবে আপনি যদি একজন মুসাফির হন এবং এই বিবাহ করেন, তাহলে দেশে এই বিবাহের ব্যাপারে না জানানোই ভালো। পরবর্তী দাম্পত্য কলহ থেকে বেঁচে যাবেন।

‪‎হালালা বিবাহ‬

ইসলামি শরিয়ত মতে, আপনি যদি আপনার বউকে তালাক দেন, তাহলে তাকে আবার বিবাহ করতে পারবেন না, যদি না তার আরেকটা বিবাহ হইয়া তালাক না হইয়া থাকে। রাগের মাথায় বা অন্য কোনো কারণে যদি আপনি আপনার স্ত্রীকে তালাক দিয়েই ফেলেন এবং আবার বিবাহ করতে চান তাহলে আপনার স্ত্রীর জন্য এই বিবাহ ফরয। 

‪উরফি‬ বা গোপন বিবাহ

আমাদের দেশে হয় না মেয়েসেলেরা ভেগে গিয়ে প্রেমিকের সাথে বা প্রাইভেট টিউটরের সাথে বিবাহ করে ফেলে, এই উরফি বিবাহ হইল সেই একই জিনিস। ইহা হইল গোপন বিবাহ। এই বিবাহে নিজস্ব সাক্ষী থাকে না, অভিভাবক থাকে না, কিচ্ছু থাকে না। একজন মোল্লা এই বিবাহ পড়ান এবং মোল্লার নিজস্ব দুইজন লোক সাক্ষী হিসাবে থাকেন এই বিবাহে। এই বিবাহের কোন রেজিস্ট্রি হয় না।

উঠতি বয়েসের ছেলে মেয়েদের জন্য এই বিবাহ উত্তম।

বি.দ্র. বেটাছেলে-বেটাছেলে, মেয়েসেলে-মেসেয়েলে এবং কুকুর বা কলাগাছ ইত্যাদির সাথে বিবাহ ইসলামে হারাম।

যার যেটা অস্ত্র - ০৩

কলম নামের অস্ত্রের জবাবে কলম ব্যবহার করতে অক্ষম ধর্মবিশ্বাসীরা হাতে তুলে নেয় মারণাস্ত্র। কিন্তু এরা জানে না, ইতিহাসে কখনওই কলমকে স্তব্ধ করা যায়নি। 



ফাতেমা দেবীর ফতোয়া - ০৫

লিখেছেন ফাতেমা দেবী (সঃ)

২১.
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত হজ্জ করি। তবুও লোকে আমায় কাফের বলে। পৃথিবীর অনেক অনেক বোকা লোক লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মক্কায় গিয়ে কাবাঘরের চারপাশে ঘুরে ঘুরে য়াল্ল্যাকে বলে, ওই য়াল্ল্যা, আমি আইসি। য়াল্ল্যা তাদের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে ঝিম মেরে পড়ে থাকে কাবার মেঝেতে। কোনো আওয়াজ করে না। 

আরে, য়াল্ল্যাকে 'আইসি গো আমি আইসি' বলার জন্য কি এত টাকা অপচয় করে এত দূরে যাওয়া লাগে? য়াল্ল্যা সর্বব্যাপী। তিনি ত ঘরের ভেতরে টয়লেটেও রয়েছেন। এবং তিনি কোরানে বলেই দিয়েছেন, অপচয়কারী শয়তানের ভাই। হাগিদের চিল্লাচিল্লি শুনে ও তাদের অপচয় করে শয়তানের ভাই বনে যাওয়ার কাণ্ড-কারখানা দেখে য়াল্ল্যা মূক হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকেন। 

অথচ আমি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত টয়লেটে হগে গিয়ে যখন বলি, য়াল্ল্যা, আমি আইসি; য়াল্ল্যা বলেন, তাইলে আর দেরী কিয়ের? আমার উপ্রে বর্ষণ করো।

২২.
য়াল্ল্যা তালা অইলে চাবি কিডা?

২৩.
চুল দেখানো শান্তির ধর্ম ইছলামে জায়েজ নাই। কারণ চুলেই অশান্তি। তাই মুমিনারা তাদের মাথার চুল ত্যানায় পেঁচিয়ে ঢেকে রাখে, মুমিনরা টুপি দিয়ে তাদের মাথার চুল ঢেকে রাখে। কিন্তু মমিনরা তাদের মুখের চুল, মানে দাড়ি কেন ঢেকে রাখে না? তারা কি তাদের মুখের চুল, মানে দাড়িতে অশান্তি অথবা শয়তান পোষে? এজন্যই কি দাড়ি ঢাকে না?

২৪.
মহাবদের শস্যক্ষেত্রগুলি কি বেহেস্তে যাবে? সেখানে তাদের কামটা কী? মহাবদ ত বেহেস্তে হুরী চাষ করবে।

২৫.
দূর্গার বাহন ছিল সিংহ, কার্তিকের বাহন ছিল ময়ূর, বিষ্ণুর বাহন ছিল গরুড়, শিবের বাহন ছিল নন্দী, লক্ষ্মীর বাহন ছিল প্যাঁচা, সরস্বতীর বাহন ছিল হাঁস, গঙ্গার বাহন ছিল মকর, যমুনার বাহন ছিল কূর্ম, মহাবদ নবীজির বাহন ছিল বোরাক। এরা সবাই কেবল দেব-দেবতা ও প্রেরিত পুরুষই ছিল না, অত্যন্ত পরিবেশ সচেতনও ছিল। পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য এরা পরিবেশ-বান্ধব বাহন ব্যবহার করতো। আজকালকার দিনে মানুষ গাড়ি-প্লেন-ট্রেন-রকেট ইত্যাদি ক্ষতিকারক বাহন ব্যবহার করছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি-স্বরূপ। অন্তত এ সকল দেব-দেবতা, অবতার ও প্রেরিত পুরুষদের অনুসারীদের উচিত গাড়ি-ট্রেন-প্লেন-রকেট ইত্যাদি মারাত্মক বাহনে না চড়ে পশু-পাখি জাতীয় বাহনে চড়ে যাতায়ত করা, যাতে করে পৃথিবী ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।

ইছলাম ধর্মে খাদিজার ঊরুর ভূমিকা

না, ইছলামের জন্ম খাদিজার উরুসন্ধিস্থল থেকে হয়নি, তবে খাদিজার ঊরুর নির্ধারক ভূমিকা ছাড়া ইছলামের জন্ম হতো কি না, কে জানে!

সম্পূর্ণভাবে ইছলামী তথ্যসূত্রনির্ভর গবেষণালব্ধ স্লাইড শো দেখুন। চাইলে স্লাইড শো থেকে বানানো পিডিএফ ডাউনলোড করে নিন।

সাইজ: ২.২৫ মেগাবাইট

ডাউনলোড লিংক ১
https://drive.google.com/file/d/0BwbIXqxRzoBONGlXcWtkSmYtcXc/view?usp=sharing

ডাউনলোড লিংক ২
http://s000.tinyupload.com/?file_id=21881790415284291156

সরস্বতী পুজোর গল্প

লিখেছেন বকধার্মিক

ছোটবেলায় সরস্বতী পুজোর সময় বাতাসে বেশ একটা খুশি খুশি ভাব থাকত। শীতের নরম রোদে এন্তার ক্রিকেট আর সন্ধ্যেবেলা আলো জ্বালিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা। ২৩ আর ২৬ জানুয়ারির ছুটিতে কখনো সখনো পিকনিক। পাড়ায় এবং স্কুলে সরস্বতী পুজোর তোড়জোড়। সব মিলিয়ে বেশ একটা আনন্দের আবহ থাকত চারিদিকে। আমার নাস্তিকতাবাদে দীক্ষিত হওয়ার পর থেকে আর কখনো পুজো করিনি বটে, তবে প্রসাদের লাইনে আমি সবার আগে থাকতাম। মুগের ডাল আর নারকেল ভেজানো নৈবেদ্য, হরেক রকম কাটা ফল, আর তার ওপরে তো ভোগের খিচুড়ি আর লাবড়া রয়েইছে। বকরাক্ষসের মত গপগপ করে চেটেপুটে সব খেতাম। পুজো না করে প্রসাদ খাওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই দু'-একটা বাঁকা কথা, বা কখনো কখনো গালিগালাজও শুনেছি। তবে সে সব গায়ে মাখতাম না। কষ্ট না করলে কি সুখাদ্য নামক কেষ্টটি লাভ হয়?

বাঙালি হিন্দু ছোটবেলা থেকেই সরস্বতী দেবীকে মা দুর্গার কন্যা বলেই জানে। পুরাণে অবশ্য সরস্বতীর জন্মের সম্পূর্ণ আলাদা গল্প আছে। কিন্তু বাঙালি সংস্কৃতির ওই গুণ — দেব দেবীদের নিতান্ত কাছের মানুষ, প্রায় ঘরের লোক বানিয়ে তোলে। আর যে মুহুর্তে দেবতা ঘরের লোক হয়ে ওঠে, তখনই সেই সব আদিরসাত্মক কুরুচিপূর্ণ পুরাণের গল্প ছেঁটে ফেলে দেওয়া হয়। তার জায়গা নেয় পাঁচালি। পাঁচালির গল্প নিতান্ত গোলগাল ভালমানুষ হরিপদ কেরাণির মার্কা। আদিরসের খুব একটা ছোঁয়া নেই তাতে। এমনকী বাংলায় যেসব পুরাণের গল্ল সংকলন বেশ জনপ্রিয় ছিল এক সময়, যেমন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরির লেখা পুরাণের গল্ল, তাতেও কিন্তু শুধুমাত্র পুরাণের অপেক্ষাকৃত নির্দোষ গল্লগুলোই স্থান পেয়েছে। এসব পড়েই বোধহয় বাঙালি হিন্দু ভাবতে শেখে যে, হিন্দুধর্ম আর পাঁচটা ধর্মের তুলনায় কতটা নিরীহ। ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ তা নয়। জঘন্য কুরুচিপূর্ণ, প্রায় বর্বরোচিত দেবদেবীর গল্পের দৌড়ে সনাতন হিন্দুধর্ম অন্য কোন ধর্মের চেয়ে পিছিয়ে নেই। হয়ত বা কয়েক কদম এগিয়েই রয়েছে। এই সরস্বতী দেবীর গল্পই একটা উদাহরণ। তাঁর প্রতি ব্রহ্মার ব্যবহারটা মোটেই ভদ্ররুচিসম্পন্ন নয়। সৌভাগ্যের বিষয় এই যে, অধিকাংশ হিন্দুই এখন আর সে সব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। কালের নিয়মে ওগুলো মোটামুটি আবর্জনার স্তুপে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

ফিরে আসি সরস্বতী পুজোর কথায়। আমার নাস্তিক জীবন শুরু হওয়ার আগেও সরস্বতী পুজোর কয়েকটা রীতিনীতি নিয়ে মনে বেশ খটকা লাগত। কয়েকটার কথা বলি। প্রথম নিয়মটা ছিল যে, সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া চলবে না। অথচ তখন কুলগাছ ভর্তি নারকুলে কুল ফলে রয়েছে। অপূর্ব তার স্বাদ। পুজো হয়নি বলে খামোখা আমি কুল খেতে পারবনা কেন? কাজেই মনের আনন্দে কুল পেড়ে খেতাম। পাড়ারও দরকার পড়ত না। গাছের তলাতেই এন্তার পাওয়া যেত। কুল খেতে দেখে বন্ধুবান্ধব আর সহপাঠীদের অনেকেরই চোখ কপালে উঠত। জ্যাঠামশাইমার্কা গলায় তারা আমার ভবিষ্যতের জন্য দুশ্চিন্তা জ্ঞাপন করত। তবে সে সব এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বার করতাম।

আরেকটি নিয়ম ছিল যে, পুজোর দিন পড়াশুনো করা চলবে না। স্বীকার করতে অসুবিধে নেই যে, এই নিয়মটা মানতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি ছিল না। কিন্তু তবুও একটা খটকা লাগত। সরস্বতী যদি বিদ্যার দেবী হয়ে থাকেন, তবে তাঁকে আরাধনা করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় তো বিদ্যাচর্চা। সেটাই তো তাঁর পুজো! তবে পুজোর দিন পড়াশুনো বন্ধ কেন? ‘দেবী কুপিত হবেন’ ছাড়া কোনো বিশ্বাসযোগ্য সদুত্তর নেই কারুর কাছেই।

আরেকটা ব্যাপার আমার প্রচুর হাসির খোরাক ছিল। পুজোর শেষে খাগের কলমে মাথা ঠেকিয়ে রাখতে হয়। তারপর তুলতে হয় মাথা। যার কপালে কলমটা আটকে যাবে, তার বিদ্যালাভ অনিবার্য। যার আটকাবে না, তার বিদ্যালাভের ভবিষ্যৎ কিঞ্চিৎ অনিশ্চিত। এখন মুশকিল হল আমার কপালের আকৃতিটি এমন যে কিছুতেই তাতে কলম আটকাতো না। খালি খসে খসে পড়ে যেত। তাই দেখে মাসিমা পিসিমারা একটু গুনগুন করতেন। সহানুভুতি জ্ঞাপন করতেন। ভাবতেন হয়ত বংশের সর্বপ্রথম মূর্খটি হব আমিই। এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে দেখছি যে, আমার বিদ্যালাভ হয়নি, এ কথাটা অতি বড় শত্রুও বলতে পারবে না।

একটা জিনিস সব থেকে বেশি দৃষ্টিকটু লাগত। পাড়ার দাদা-দিদিদের, বিশেষত যাঁরা সে বছর মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন, অনেককেই দেখতাম সরস্বতী মূর্তির সামনে প্রায় হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে। আর এঁদের মধ্যে অনেকেরই, বিশেষত দাদাদের, সারা বছর পড়াশুনো বইপত্তরের সঙ্গে সম্পর্কটা খুবই ক্ষীণ থাকত। সারাবছর ফাঁকি মেরে একটা দিন দেবীর চরণে হত্যে দিলেই তিনি পরীক্ষার বৈতরণী পার করে দেবেন, এই বিশ্বাসটা সবার মনেই বেশ গভীর ছিল। দিদিদের অনেকে কিন্তু সারা বছর নিয়ম করে পড়াশুনো করতেন। তবু নিজেদের বুদ্ধির ওপর ভরসা না রেখে, তাঁরা ভরসা রাখতেন দেবীর আশীর্বাদের ওপর। ধর্ম যে মানুষের আফিং, এটা কি খুব ভুল কথা? আফিং মানুষের বিচারবুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে। ধর্মও তাই।

জ্ঞানচক্ষু কিছুটা উন্মিলীত হলে দেখলাম যে, এক শতাব্দী আগেও আমাদের সুশীল ভারতীয় সমাজে নারীশিক্ষা বস্তুটির প্রায় অস্তিত্ব ছিল না। গল্প-উপন্যাসে তার ভূরি ভূরি উদাহরণ। ভূগোল বইয়ে পড়লাম যে, এখনো ভারতের অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলে স্ত্রীশিক্ষার হার তলানিতে। মনে প্রশ্ন জাগল যে, বিদ্যার দেবী সরস্বতী নিজেই নারী, তবুও মেয়েদের কাছে খাতা-পেনসিল এত দুর্লভ কেন? অথচ সমাজে তো ভক্তি আর ঈশ্বরবিশ্বাসের ছড়াছড়ি। তাহলে? তাহলে কি এই সব পুজো-আচ্চা সবই ভুয়ো? বাবাকে প্রশ্নটা করায় তিনি খুব সুন্দর একটা উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে, তোর ক্লাসের অনেকেই তো মানে না বুঝে জিওমেট্রির থিওরেম মুখস্থ করে। তেমনি অধিকাংশ মানুষও ধর্মের বিন্দুবিসর্গ না বুঝে অন্ধের মত ধর্মাচরণ করে। তার ফল এই। সরস্বতী নারী হলেও ভারতের নারী শিক্ষাবঞ্চিত। আমার নাস্তিক্যবাদে দীক্ষাটা পাকাপাকি হয়েছিল সেদিনই।

একটা ভাল গল্প দিয়ে লেখাটা শেষ করি। আমাদের কলেজে সরস্বতী পুজো না হলেও, প্রতিটি হোস্টেলে হত। ফাইনাল ইয়ারের যে-ছাত্রটি সব থেকে ভাল আঁকতে পারত, পুজোর সাজসজ্জার দায়িত্বে থাকত সে। তার সঙ্গে যোগাড়যন্ত্রের দায়িত্বে থাকত হোস্টেলের সোশ্যাল এন্ড কালচারাল জেনারেল সেক্রেটারি। বাংলাদেশে শুনেছি স্কুল কলেজের পুজোয় মুসলমান ছাত্ররাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগদান করে। ভারতে সেটা খুব একটা হতে দেখিনি কোথাও। আমি যে বছর ফাইনাল ইয়ারে ছিলাম, সে বছর সব থেকে ভাল আঁকিয়ে ছেলেটির নাম ছিল হুজেফা শাকির। আর জেনারেল সেক্রেটারির নাম ছিল অমনদীপ সিং বেদী। একজন মুসলমান, আরেকজন শিখ। সরস্বতী পুজোয় কারুরই উৎসাহ থাকার কথা নয়। কিন্তু আমাদের অনেককেই বেশ অবাক করে দিয়ে তারা নিজেদের দায়িত্ব খুবই সুষ্ঠুভাবে পালন করেছিল। দেবীর সাজসজ্জা হয়েছিল চোখে পড়ার মত সুন্দর।

পুজোর বা পরবের দৌলতে যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিটা এইভাবে ফুটে ওঠে, মানুষের একে অপরের প্রতি ভালবাসা বাড়ে, তাহলে আমি পুজোর হাজার অযৌক্তিক নিয়মকানুনকেও সহ্য করতে রাজি আছি।

ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙগানিক উত্তর - ১৩

[ফেইসবুকে একটা মজাদার পেইজ খোলা হয়েছে "ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙগানিক উত্তর" নামে। কেউ একজন একটা মজাদার, বিটকেলে বা আপাত নিরীহ প্রশ্ন করছে, আর অমনি অন্যেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সরবরাহ করছে সেটার বৈচিত্র্যময় ব্যাঙগানিক (ব্যঙ্গ + বৈজ্ঞানিক) উত্তর। 

সেই পেইজ থেকে নির্বাচিত প্রশ্নোত্তরের ধারাবাহিক সংকলন প্রশ্নকারী ও উত্তরদাতাদের নামসহ ধর্মকারীতে প্রকাশ করা হবে নিয়মিত। বলে রাখা প্রয়োজন, এই নির্বাচনটি একান্তভাবেই ধর্মপচারকের পছন্দভিত্তিক। ফলে ভালো কোনও প্রশ্নোত্তর আমার চোখ এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা তো আছেই, তবে সবচেয়ে বেশি আছে অন্যদের সঙ্গে মতভেদের সম্ভাবনা। নিজ গুণে (ভাগে, যোগে, বিয়োগে) মাফ কইরা দিয়েন।]

১২১.
- ইভ -আদম নাকি ৯০ হাত লম্বা ছিল! তাহলে তাদের যোনী-লিঙ্গের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-গভীরতা কত ছিল? (কালি ও কলম)
- শিবলিঙ্গ আর হাজরে আসওয়াদ-এর সাইজ দেখে অনুমান করতে পারেন না বুঝি! (মাহমুদ রেজা)

১২২.
- আচ্ছা, চাঁদে মুসলিমরা গেলে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়বে? (মহাজাগতিক মন)
- তারা কখনই চাদে যেতে পারবে না। আল্লাহর অনুমতি নাই। (আবু হেনা)
#
- আল্লামা ছাইদি জানে। (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)
#
- মুসলমানরা কীভাবে চাঁদে যাবে? চাঁদে যেতে তো রকেট এবং উন্নত মহাকাশ ও যোগযোগ প্রযুক্তি প্রয়োজন। "আল্লাহর রহমত" দিয়ে তো আর চাঁদে যাওয়া যায় না! (বিজ্ঞানমনষ্ক অবিশ্বাসী)

১২৩.
- সূরা লাহাবে আল্লাহ পাক বলেছেন, "ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজে।" যে আল্লাহ "কুন" বললেই সবকিছু হয়ে যায়, সে আল্লাহ মিয়ার এত বড় অভিশাপেও লাহাব মিয়ার কিছু হইলো না কিল্লাই? (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)
- আল্যার হাত থিকা আবু লাহাবের হাত বড়, তাই... (বোকা কাক)

১২৪.
- কেয়ামতে বা শেষ বিচারের দিনে বিশ্বাস ইসলামের মূল বিশ্বাসগুলির একটি। ইসলাম ধর্মে কেয়ামত বা কিয়ামত হলো সেই দিন, যে দিন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আল্লাহ সৃষ্ট সকল জীবকে পুনরুত্থান করা হবে বিচারের জন্য। সকল জীবকে তার কৃতকর্মের হিসাব দেয়ার জন্যে এবং তার কৃতকর্মের ফলাফল শেষে পুরস্কার বা শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ শেষে জান্নাত/বেহেশত/স্বর্গ কিংবা জাহান্নাম/দোযখ/নরক-এ পাঠানো হবে। [উইকি]
অর্থাৎ কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সবাই কব্বরে আজাব খেতে থাকবে। কেয়ামতের দিন সবাইরে কব্বর থেকে উঠিয়ে বিচার করে তারপর জান্নাত/জাহান্নাম পাঠাবে। অর্থাৎ কেয়ামতের আগে কারো পক্ষে জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে মহাম্মদ যে সাত আসমানে ৭ জনরে আর দোজখে গিয়া দুর্নীতিবাজ সুদখোর পরকিয়াকারী প্রভৃতি পাপীষ্ঠাদের দেখল, তারা কেয়ামতের আগেই ওখানে গেল কীভাবে? (দাঁড়িপাল্লা ধমাধম)
- এইটা আইনস্টাইনের টাইমস অফ রেলেটিভিটির বেফার সেফার মুনে হয়। (মোহাম্মদ ইসলাম)

১২৫.
- ঈশ্বরেরা সবাই লেখালেখি বন্ধ করে দিল কেন? (তামান্না ঝুমু)
- এখন কপিরাইট আইন আছে। ওসব কপি-পেষ্ট করা লেখা এখন ধরা পড়ে যাবে, তাই। (প্রবীর আচার্য)

১২৬.
- মুহাম্মদের যুগে ফেসবুক আবিষ্কৃত হৈলে কেমন হতো? (জল্লাদ মিয়া)
- ঘন্টায় ঘন্টায় ওহি নাজেল হইত; বেকার জিব্রাইল ডানা কেটে চাকরির সন্ধানে ঘুরে বেড়াত। (সেক্যুলার ফ্রাইডে)
#
- ভালোই হইতো ... আমরা একজন ফেসবুক ভেরিফায়েড নবী মুহাম্মদ পাইতাম। (আল্লামা শয়তান)

১২৭.
- নবী মুহাম্মদের সাথে জিব্রাইল ছাড়া সরাসরি কতবার আল্লাহর সাথে কথা হয়েছে এবং কোথায় কখন? (বাঙাল মূর্খ চাষা)
- ২ বার দেহা অইছিল! ১ম বার উম্মে হানির ঘরে হানি সিং এর "হানি অল নাইটস" গানটা গাওয়ার সময়, আর ২য় বার উমার এর মাইয়্যা হাফসার ঘরে মারিয়ার লগে পাং পাং করার সময়! (ইমরান হাসান নীহার)

১২৮.
- শূকদেরকে য়াল্ল্যাপাক অত্যন্ত ভালোবাসেন। তিনি বারেবারে কোরান পাকে শূকর হত্যা করতে মানা করেছেন। আর কোনো প্রাণীর প্রতি য়াল্ল্যাপাকের কোনো পিরীতি নেই। শূকদের প্রতি এত পিরীতি কেন? য়াল্ল্যাপাকের প্রাণপ্রিয় শূকরদের সহিত তাঁর বিবাহ দিয়ে দিলে কী হবে? (বিবি খাদিজা)
- শুকুরাল্লা তৈরি হবে। (শিজি সেঁজুতি) 

১২৯.
- খাদিজাতুল কোবরা ফোঁসফোঁস (রাঃ) বাঁইচ্চা থাকতে নবীজি কুনো বিবাহ করেন নাই কেনো? জাতি জানতে চায়! (ইমরান হাসান নীহার)
- ঘরজামাইরা বউয়ের উপ্রে সাধারণত কথা কয় না... (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)

১৩০.
- যারা মন্দির ভাঙে তারা ধার্মিক, মসজিদ ভাঙে যারা তারাও ধার্মিক। যারা ভাঙাভাঙিতে নেই, তারা কী? (রাজিব বিশ্বাস রাজ)
- মানুষ। (মাহমুদ খন্দকার মাহমুদ)

আগের পর্বগুলো:

হা-হা-হাদিস – ১২৩

অনুবাদ ও ফটোমাস্তানি: নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক


মন্দিল-খুশি-করা ইলাস্ট্রেশনসহ বাংলায় অনূদিত আরও অসংখ্য মজাদার হাদিসের সংকলনটি যাঁরা এখনও দেখেননি, তাঁরা কতোটা মিস করেছেন, তা ডাউনলোড করে নিয়ে নির্ধারণ করুন।

https://docs.google.com/file/d/0B1lqaonhgir4N3ZCcWk1WTdQdkk/edit?usp=sharing

http://www.nowdownload.ch/dl/da441c35c51a0

ফরম্যাট: পিডিএফ
সাইজ: ১০.৭৪ মেগাবাইট

নাস্তিকদের কটূক্তির দাঁতভাঙা জবাব - ৪৮

লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু

আসুন, নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দেই...


কটূক্তি ৯৫:
মুহাম্মদকে নিয়ে কার্টুন আঁকলে কেন জঙ্গি হামলা চালিয়ে খুন করতে হবে? কার্টুন আঁকার প্রতিবাদ তো কার্টুন এঁকেই করা যায়।

দাঁতভাঙা জবাব:
দেখুন, ইহুদি-নাসারাদের মোড়ল আমেরিকা কিছু মস্তিষ্কবিকৃত লোককে দিয়ে এইসব হামলা সৃষ্টি করায় নিজেদের স্বার্থে। দুনিয়ার বেশিরভাগ মুসলিমই এসব সমর্থন করে না।


কটূক্তি ৯৬:
তার মানে মুহাম্মদের কার্টুন আঁকলে বা ইসলামের সমালোচনা-ব্যঙ্গ করলে মুসলিমরা স্বাভাবিক ভাবে নেবে?

দাঁতভাঙা জবাব:
মুহাম্মদ (সঃ) হচ্ছেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানুষ। মুসলিমরা তাকে নিজের জীবনের চেয়েও ভালবাসে। তার সম্মানহানি করা মানে মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত যা মুসলিমরা কখনোই মেনে নেবে না। ঈমানি শক্তি দিয়ে জবাব দেবে।

* Asif Mohiuddin এর স্ট্যাটাস থেকে প্রাপ্ত আইডিয়া

[বি.দ্র. কটূক্তির বদলে দাঁত ভাঙা জবাব গুলো আমার নয়। বিভিন্ন সময়ে ভার্চুয়াল মুমিনগণ যে জবাব দিয়েছেন তা কপি করে ছড়িয়ে দিচ্ছি শুধু। আপনারাও সবাই শেয়ার করে নাস্তিকদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দিন, ঈমান পোক্ত করুন...]