আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

হুর-লালসাগ্রস্ত ইছলামী জঙ্গিবাদ

লিখেছেন অপ্রিয় ভাষ্য

রক্তের স্রোত দেখতে পারি না, একদম সহ্য হয় না। তাই পাঁঠা বলী, গরু জবাই এগুলো দেখি না বিগত বারো বছর ধরে। একদিন এক বন্ধুর মোবাইলে আইসিসের, বোকা হারামের, ইসলামি জঙ্গি গৌষ্ঠীর হত্যাকাণ্ডের কিছু ছবি দেখে পাথর হয়ে গেলাম! একটি একটি কল্লা কেটে মুণ্ডুহীন লাশগুলো এক জায়গায় স্তূপ করা হচ্ছে। জায়গাটা রক্তে লাল হয়ে আছে। যে মানুষটির (এরা মানুষ?) হাতে তলোয়ার, সে হেসে হেসে একেকটি মানুষ জবাই করছে। আবার কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে একসাথে অনেক মানুষকে গুলি করা হচ্ছে। 

কয়েক দিন আগে বোকা হারাম ২০০০ হাজার মানুষকে স্বাভাবিকভাবে হত্যা করেছে। স্বাভাবিক এজন্য বলছি, এখন প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা তাদের কাছে অস্বাভাবিক কিছু নয়, একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। চিন্তা করি, ইসলামি জঙ্গিরা কীভাবে নিরীহ মানুষদের হত্যা করে? কীভাবে জবাই করে অবলীলায়? তাও আবার হাসতে হাসতে! ইসলামি জঙ্গি - সেও তো একজন মানুষ! তো তার মনমানসিকতা এতো উগ্র কেন? আসলে সমস্যাটা কোন জায়গায়? কিসের জন্য, কিসের লোভে তারা এই ঘৃণ্য বর্বর অসভ্য কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে? 

সমস্যাটা হল লোভ। লোভে পড়ে মানুষ হিংস্র হয়, বর্বর হয়, অমানুষ হয়, বোধবুদ্ধিহীন অবিবেচক হয়। একজন মানুষকে যখন পরকালের জান্নাতের ৭২টি অপুর্ব সুন্দরীর সাথে যৌনবিলাস করার লোভ দেখানো হয়, অফুরন্ত মদের সরাফের লোভ দেখানো হয়, অত্যন্ত বিলাসী জীবন-যাপনের লোভ দেখানো হয়, তখন সেই মানুষ কি সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারবে? 

এখন জান্নাতে যাওয়ার জন্য ইসলাম মুসলমানদের যে-শিক্ষা দিয়েছে, যা যা করলে মুসলমানদের জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়, সেগুলোর কয়েকটি হলো: 

১. নবীর অবমাননা করেছে যে, তাকে হত্যা কর। 

২. যে আল্লা ও ইসলামের ওপর বিশ্বাস আনেনি, তাকে হত্যা কর। 

৩. যে শান্তির ধর্ম ইসলামকে ছেড়ে চলে যায়, তাকে হত্যা কর। 

৪. যে ইসলামের সমালোচনা করেছে, তাকে হত্যা কর।

৫. বিধর্মীদের ইসলামের ছায়াতলে আসার দাওয়াত দাও, গ্রহণ না করলে তাদের হত্যা কর। 

ওপরে উল্লেখিত ইসলামের এ নিয়মগুলো পালন করলে, একজন মুসলিম মনে করে, জান্নাতের টিকেট নিশ্চিত করা গেল। তো গলদটা কোথায়? ইসলামে।

বোকা হারামরা, আইসিসরা, তালেবানরা জান্নাতের আশায় খুন-হত্যা-ধর্ষণ-লুট করে মুহম্মদী (ইসলামি) মতাদর্শের দাসত্ব করছে মাত্র। এদের বর্বরতা থেকে মুক্তির একটা উপায় হল, ইসলামকে এই একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে তোলা, নয়তো অকেজো করে দেয়া। এবং ইসলামকে সন্ত্রাসী আর বর্বরদের ধর্মবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা। ইসলামকে অকেজো করার চাবিকাটি রাষ্ট্রনায়কদের হাতে। তারা যদি ইসলামকে শান্তির ধর্ম না বলতো, ইসলামকে না বানাতো রাষ্ট্রধর্ম, রাষ্ট্রে শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা না করতো, আল্লার আইনে রাষ্ট্র পরিচালনা করার কথা না ভাবতো, তাহলে ইসলামের নিয়মগুলো ধীরে ধীরে মৃত (অকেজো) হয়ে যেতো। আর বোকা হারাম, তালেবান, আইসিসরা ইসলামের শান্তি প্রতিষ্টার জন্য মানুষ হত্যা করার দুঃসাহস দেখাতো না!

বোকা হারাম, তালেবান, আইসিসদের বর্বর বানিয়েছে তাদের দেশের রাজনীতিবিদরাই। তারা যদি ইসলামের মতো অসভ্য ভয়ংকর রীতিকে রাষ্ট্রে স্থান না দিত, প্রশ্রয় না দিত, তাহলে আজ আইসিস, বোকা হারাম, তালেবানদের জম্মই হতো না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন