আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৫

নতুন বিয়া করোইন্যা ফুরুশদের জইন্য

লিখেছেন বাংলার উসমান মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ ইসলাম

সদ্য বিবাহিত কিসু বিপদগ্রস্ত হাজবেন্ডদের খুশির খবর!!! বাজারে এলো সেই রকম এক বিছানা!!!

অনেক নতুন বিবাহিত লুকের অভিযুগ, রাতের বেলায় যখন উনার পরিবারকে পাশাপাশি শুয়া অবস্তায় বুকে জড়িয়ে গুমাতে যান, একটা সময় হাত বেথা করি উঠে, হাতের ডোঁয়া বেথা করি উঠে, কিন্তুক এত বেথার পরও পরিবারকে দুই হাত থেকে ছাড়ি দিতে ইচ্ছা করে না। গরমে খাক, মশায় খাক, দুই হাত দিয়া জড়ায়ে ধরি রাখন সাই ই সাই। অবশ্য যুদিও নয়া নয়া সবকিছুই এই রকম, কেউই ছাড়তে চায় না, আর দুই দিন পর খবরও থায়ে না।

এ বেফারে নরকের কীট নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ বা বদমাশ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বা উদেরই মত অন্য কুন নারিসংগলুভি, স্বারথোফর, দান্দাবাজ লুক কুতায় জানি বোলেছিল, প্রিয়ার হাত ধরে, আঙ্গুল ধরে, আরও কিছু সময় গড়িয়ে গেলে এমন এক মুহুর্ত আসে, যখন মনে হয় শুধু আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়ানোই যথেষ্ঠ নয়, আহ! পারতাম যদি আঙ্গুল কেটে, আঙুলে আঙুল মিশিয়ে দিতে, দু'জনা এক হয়ে যেতে!!

এইসব নাস্তিকদের পথমে আঙুল জড়াজড়ি, তারপর হাত ধরাধরি, দুই দিন পরে ইচ্ছা করে আরও কিসু ধরি, তারপর সব বেশরিয়তি কাম।

নাস্তিকদের এমনসব আঙ্গুল ধরাধরির গোফনিয় অনুভুতির কতা ত নবিজি ১৪০০ বছর আগেই জানতেন। সমাজ বিধংশীকারি এমন অশ্লিল অনুভুতি যাতে করি মনে উদ্রেক না হয়, সেজন্য ইসলাম বলি দিছে পর্দা করি চলতে।

পোবিত্র কুরানে আল্লাহপাক (সুবঃ) ইরশাদ করেন:

قل للمؤمنت يغضنن من ابصارهن ويحفظن فروجهن ولا يبدين زينتهن الا ما ظهر منها

তরজমা: (হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে। (সূরা নূর : ৩১)

এই আয়াতটা শুনানির পর সেদিন এক নাস্তিক হুট করি বলে উঠল, আঙুল কি লজ্জাস্তান যে ঢেকে রাখবে!

ঐ নাস্তিকের কতা শুনি সেদিন আমার হাসি ফেল। নাস্তিকদের বুদ্দি এমন যে, উরা শুদু স্থুল বেফারটা বুঝে সবসময়।

যাই হোক, নাস্তিকদের কতা বলি ত আর লাব নাই, নাস্তিকরা ত আর বিয়ে কোইত্তে সায় না বা বিয়ে কোইত্তে রাজি না। বরং নতুন বিবাহিত কিসু বিপদগ্রস্ত লুকের কতা বলি, যারা তাদের বাম-হাত নিয়ে প্রতিরাতেই এক অস্বস্তিকর রকম বিপদে পড়ে, যারা প্রতি রাতেই অবচেতনভাবেই হয়তবা ‘কাডল মেট্রেস’ এর কতা ভাবে এবং পরের দিন ভুলি যায়।

এই মুসলিম তার হাতের ডোঁয়া বা বাহু বিছানার নিচে ডুকিয়ে রাখাতে অহেতুক হাত/বাহু/ডোঁয়া বেথা হওয়া থেকে বেচে যাবে। তবে ছবিতে বেশরিয়তি কাজ হইছে, বিবি তার হাজবেন্ড এর ডান পাশে শুইছে, যা উচিত হই নাই। 

আফনি হয়ত এতদিন এমন একটা বেড-এর কতা কল্পনা কোইত্তেসিলেন (আমি নতুন বিয়া করোইন্যা লুকদের বলতেসি)।

হয়ত আফনের পরিবারকে রাতের বেলায় যখন জড়ায়ে ধরলেন, জড়ায়ে ধরতে গিয়া যখন টের পাইলেন, আরে!! জড়ায়ে ধরি রাখা ত এত সহজ না, পাশাপাশি শুইয়া জড়ায়ে বুকের ভিতর এবং অতপর আরেকটু ভিতরে নিয়া ধরে রাখতে গেলে পরিবারের কান্দের নিচে দিয়া হাত নিতে হয়, আর হাত নিতে গিয়া দেখা যায় যে, সারাদিনে শরিরের শিরা-উপশিরায় ৮০ হাজার মাইল দৌরাদুরি করা রক্তের গতি-প্রকৃতি বিষয়ক চিকিৎসা বিজ্ঞানের হিসাব নিয়া গরমিল দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা জাগি উঠে।

নিজের পুরুশুত্তের প্রমান এবং নতুন বউয়ের প্রতি অগাধ ভালবাসার প্রমান রাইখতে গিয়া হয়ত বউকে বারবার নিজের সেক্রিফাইসের কতা আকারে ইংগিতে বুজাইতে চান, বউ বুজতে বের্থ হইলে, অধৈর্য্য হইয়া তখন বলেই ফেলেন যে, উকে বুকে জড়িয়ে রাখতে গিয়ে আফনের হাতের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েসে, আফনে আরও বলেন যে, এতে আফনের কুন পোবলেম হইতেসে না!

আফনের পরিবার আফনের আত্মতেগ উপলব্দি কৈরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কইত্তে আফনের দিকে কিসুক্ষনের জোন্য ছলছল চুখে চাইয়া থাকে এবং সাতে সাতেই আফনের বুকের আরও কাসাকাসি গিয়া আফনের বুকে মুখ লুকায়। আফনে হয়ত তখন দুই একবার বলিও থাইকবেন, যদি এমুন একটা খাট থাইকতো যে, উকে জড়ায়ে ধরতে গিয়া বাধাদানকারী বাম-হাতটা উর ঘাড়ের নিচে একটা ফাক দিয়া যুদি নিচে নামায়ে দেয়া যাইত, এ কথা শুনি বউ আফনের বুকের ভিতর থিকা বলে, ‘পাগলা’!

আজকে অয়ত এই ‘কাডল মেট্রেস’ বউকে দেখাবেন, আফনের বউ হয়ত প্রথমে বুজতে ফারবে না আফনি কী বোইলতে চাইতেসেন, আফনে তখন উকে শরন করাইতে বোলবেন যে, ঘুমের ভিতর জড়ায়ে ধরি রাখা ঐসব রজনী গুলার পরের দিনের কতা, যখন দিনের বেলায় আফনের আর আফনের পরিবারের ঘাড় এবং পিঠ বেথা হই থাকত, আগের রাইতের বেঁয়াকোঁয়া হই শুই থাকার কারনে!

কাডল মেট্রেসের কতা শুনি আফনের পরিবার হয়ত উর স্বামীর একদা কল্পনা-পোতিভার ঐ রকম খাটের সন্ধান পায়া কিসুটা খুশি হইতে ফারে, আবার এত গেরাজ্য না-ও কোইত্তে ফারে।

* আমি একটি গুনাহের কাজ কোরেছে এমন একটা ছবি লিখার সাতে দিয়ে, যে ছবিতে দুইজন ইহুদি বা নাসারা বা হইতে ফারে কুন নাস্তিকের অশ্লিল দৃশ্য দিখা যাইতেসে। আল্লাহ্‌ আমার গুনাহ মাফ করুন, এবং সাতে সাতে আফনেরা যারা এই ছবি দেখিয়া গুনাহর ভাগিদার হইছেন আফনেদের জোন্যো আমি আল্লাহর দরবারে মাপ চাইতেসি।

** বেডটা খুব শোন্দর না? দেখেন, হাতের ডোঁয়া কি আরামে বেডের ভিতর ডুকিয়ে রাখা যায়। আজকেই ওয়াডার দিয়ে একটা বানিয়ে নিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন