সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙগানিক উত্তর - ১৩

[ফেইসবুকে একটা মজাদার পেইজ খোলা হয়েছে "ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙগানিক উত্তর" নামে। কেউ একজন একটা মজাদার, বিটকেলে বা আপাত নিরীহ প্রশ্ন করছে, আর অমনি অন্যেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সরবরাহ করছে সেটার বৈচিত্র্যময় ব্যাঙগানিক (ব্যঙ্গ + বৈজ্ঞানিক) উত্তর। 

সেই পেইজ থেকে নির্বাচিত প্রশ্নোত্তরের ধারাবাহিক সংকলন প্রশ্নকারী ও উত্তরদাতাদের নামসহ ধর্মকারীতে প্রকাশ করা হবে নিয়মিত। বলে রাখা প্রয়োজন, এই নির্বাচনটি একান্তভাবেই ধর্মপচারকের পছন্দভিত্তিক। ফলে ভালো কোনও প্রশ্নোত্তর আমার চোখ এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা তো আছেই, তবে সবচেয়ে বেশি আছে অন্যদের সঙ্গে মতভেদের সম্ভাবনা। নিজ গুণে (ভাগে, যোগে, বিয়োগে) মাফ কইরা দিয়েন।]

১২১.
- ইভ -আদম নাকি ৯০ হাত লম্বা ছিল! তাহলে তাদের যোনী-লিঙ্গের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-গভীরতা কত ছিল? (কালি ও কলম)
- শিবলিঙ্গ আর হাজরে আসওয়াদ-এর সাইজ দেখে অনুমান করতে পারেন না বুঝি! (মাহমুদ রেজা)

১২২.
- আচ্ছা, চাঁদে মুসলিমরা গেলে কোন দিকে ফিরে নামাজ পড়বে? (মহাজাগতিক মন)
- তারা কখনই চাদে যেতে পারবে না। আল্লাহর অনুমতি নাই। (আবু হেনা)
#
- আল্লামা ছাইদি জানে। (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)
#
- মুসলমানরা কীভাবে চাঁদে যাবে? চাঁদে যেতে তো রকেট এবং উন্নত মহাকাশ ও যোগযোগ প্রযুক্তি প্রয়োজন। "আল্লাহর রহমত" দিয়ে তো আর চাঁদে যাওয়া যায় না! (বিজ্ঞানমনষ্ক অবিশ্বাসী)

১২৩.
- সূরা লাহাবে আল্লাহ পাক বলেছেন, "ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজে।" যে আল্লাহ "কুন" বললেই সবকিছু হয়ে যায়, সে আল্লাহ মিয়ার এত বড় অভিশাপেও লাহাব মিয়ার কিছু হইলো না কিল্লাই? (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)
- আল্যার হাত থিকা আবু লাহাবের হাত বড়, তাই... (বোকা কাক)

১২৪.
- কেয়ামতে বা শেষ বিচারের দিনে বিশ্বাস ইসলামের মূল বিশ্বাসগুলির একটি। ইসলাম ধর্মে কেয়ামত বা কিয়ামত হলো সেই দিন, যে দিন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আল্লাহ সৃষ্ট সকল জীবকে পুনরুত্থান করা হবে বিচারের জন্য। সকল জীবকে তার কৃতকর্মের হিসাব দেয়ার জন্যে এবং তার কৃতকর্মের ফলাফল শেষে পুরস্কার বা শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ শেষে জান্নাত/বেহেশত/স্বর্গ কিংবা জাহান্নাম/দোযখ/নরক-এ পাঠানো হবে। [উইকি]
অর্থাৎ কেয়ামতের আগ পর্যন্ত সবাই কব্বরে আজাব খেতে থাকবে। কেয়ামতের দিন সবাইরে কব্বর থেকে উঠিয়ে বিচার করে তারপর জান্নাত/জাহান্নাম পাঠাবে। অর্থাৎ কেয়ামতের আগে কারো পক্ষে জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে মহাম্মদ যে সাত আসমানে ৭ জনরে আর দোজখে গিয়া দুর্নীতিবাজ সুদখোর পরকিয়াকারী প্রভৃতি পাপীষ্ঠাদের দেখল, তারা কেয়ামতের আগেই ওখানে গেল কীভাবে? (দাঁড়িপাল্লা ধমাধম)
- এইটা আইনস্টাইনের টাইমস অফ রেলেটিভিটির বেফার সেফার মুনে হয়। (মোহাম্মদ ইসলাম)

১২৫.
- ঈশ্বরেরা সবাই লেখালেখি বন্ধ করে দিল কেন? (তামান্না ঝুমু)
- এখন কপিরাইট আইন আছে। ওসব কপি-পেষ্ট করা লেখা এখন ধরা পড়ে যাবে, তাই। (প্রবীর আচার্য)

১২৬.
- মুহাম্মদের যুগে ফেসবুক আবিষ্কৃত হৈলে কেমন হতো? (জল্লাদ মিয়া)
- ঘন্টায় ঘন্টায় ওহি নাজেল হইত; বেকার জিব্রাইল ডানা কেটে চাকরির সন্ধানে ঘুরে বেড়াত। (সেক্যুলার ফ্রাইডে)
#
- ভালোই হইতো ... আমরা একজন ফেসবুক ভেরিফায়েড নবী মুহাম্মদ পাইতাম। (আল্লামা শয়তান)

১২৭.
- নবী মুহাম্মদের সাথে জিব্রাইল ছাড়া সরাসরি কতবার আল্লাহর সাথে কথা হয়েছে এবং কোথায় কখন? (বাঙাল মূর্খ চাষা)
- ২ বার দেহা অইছিল! ১ম বার উম্মে হানির ঘরে হানি সিং এর "হানি অল নাইটস" গানটা গাওয়ার সময়, আর ২য় বার উমার এর মাইয়্যা হাফসার ঘরে মারিয়ার লগে পাং পাং করার সময়! (ইমরান হাসান নীহার)

১২৮.
- শূকদেরকে য়াল্ল্যাপাক অত্যন্ত ভালোবাসেন। তিনি বারেবারে কোরান পাকে শূকর হত্যা করতে মানা করেছেন। আর কোনো প্রাণীর প্রতি য়াল্ল্যাপাকের কোনো পিরীতি নেই। শূকদের প্রতি এত পিরীতি কেন? য়াল্ল্যাপাকের প্রাণপ্রিয় শূকরদের সহিত তাঁর বিবাহ দিয়ে দিলে কী হবে? (বিবি খাদিজা)
- শুকুরাল্লা তৈরি হবে। (শিজি সেঁজুতি) 

১২৯.
- খাদিজাতুল কোবরা ফোঁসফোঁস (রাঃ) বাঁইচ্চা থাকতে নবীজি কুনো বিবাহ করেন নাই কেনো? জাতি জানতে চায়! (ইমরান হাসান নীহার)
- ঘরজামাইরা বউয়ের উপ্রে সাধারণত কথা কয় না... (ঔপপত্তিক ঐকপত্য)

১৩০.
- যারা মন্দির ভাঙে তারা ধার্মিক, মসজিদ ভাঙে যারা তারাও ধার্মিক। যারা ভাঙাভাঙিতে নেই, তারা কী? (রাজিব বিশ্বাস রাজ)
- মানুষ। (মাহমুদ খন্দকার মাহমুদ)

আগের পর্বগুলো:

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন