আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শনিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৫

নবীজির পিনিকবাজি

লিখেছেন শান্তনু আদিব

অনেকদিন আগে আমি আর আমার এক বন্ধু নর্থ লন্ডনের আলেকজান্দ্রা প্যালেস-এ গিয়েছিলাম। বেশ বড় পাহাড়, আসলে টিলা। আহামরি কিছু না। সাদা পুলাগো যে হিমু-রোগ থাকতে পারে, এই পুলাডারে না দেখলে বুঝতাম না। তার মাঝরাতে ঠাণ্ডায় পিনিক কইরা চাঁদ দেখার হবি আছে। যাই হোক, বন্ধু পিনিক-এর জন্য কই থেইকা যেন মাশরুম আর কিসের যেন বিচি নিয়া আইছিল।

মাইনসে পিনিক করে আরাম কইরা, আর আমার পিনিক করা লাগছে সেদিন রামছাগলের মতন। মাশরুম চাবাইতাছিলাম আর মনে হইতাছিল শুকনা ঘাস/কাঠ চাবাইতাছি। যদিও পিনিক হইছিল সেইরাম, পুরা সাইকাডেলিক। কত রং দেখলাম, কত শব্দ হুনলাম, তার ইয়ত্তা ছিল না। ঠাণ্ডায় যদিও জ্বর-সর্দি আইসা পরের দিন একাকার হইয়া গেছিল।

এইবার আসি আজকের কথায়, কিছুক্ষণ আগে কুন এক ইসলামিক পেজে দেখলাম মুহাম্মাদের প্রিয় খাদ্য তালিকায় ছিল মাশরুম। এমন কি হইতে পারে না, এডিবল মাশরুমের বদলে সাইকাডেলিক মাশরুম খাদ্য হিসাবে সেইদিন নিয়া গেছিল হেরা গুহায়। খাইয়া তো মামা পুরা পিঙ্ক ফ্লয়েড। কত শব্দ শুনল, জিবরাইল আসল, কত রং দেখিল, কত কথা শুনিল জিবরাইলের কাছে। পরিশেষে আমার মত জ্বর আসিল। তারপরের দিকে উনি মাশরুমে আসক্ত হইয়া গেলেন। রেগুলার মামা পিনিক নিলেন এবং অহি নাজিল করিতে থাকিলেন।

হেরা গুহা ছাড়া উনি আরেক জায়গায় পিনিক করিতেন, উনার এক কাজিনের বাসায়। যখন ঘরে সেই কাজিনের স্বামী অনুপস্থিত থাকিতেন। আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের কোনো স্বামীই কি পারবে মেনে নিতে বউ তাকে ফেলে তার কাজিনের সাথে মাশরুম সেবন করছে। ইসলামিক ঐতিহাসিকেরা মনে মনে ধারণা করেন, মুহাম্মাদ(সঃ) তার সেই কাজিনের সাথে ছুডু বেলা থেকে "প্লেয়িং ডক্টর" বা ডাক্তার-ডাক্তার খেলে বড় হয়েছেন। মুহাম্মাদ(সঃ) উম্মে হানিকে একটা পেট নেম (pet name)-ও দিয়েছিলেন, "বুরাক"; আমরা যেমন আমাদের প্রেমিক-প্রেমিকাদের সোহাগ করে সোনা, গুল্টু, জানু ইত্যাদি বলি। আমার এক প্রেমিকা আমাকে আদর করে "কদু" বলে ডাকত। 

নবীজির ছবি এঁকেছেন লেখক নিজেই

তারপরের কাহিনী নিশ্চয়ই জানেন। মক্কা থেইকা কুরাইশদের দাবড়ানি খাইয়া মদিনায় পলাইলেন, যেটাকে আমরা মুসলমানের আদর করিয়া বলি হিজরত। মদিনায় যাবার পরে মালে পরিল টান, ডিলার পাইতে লাগিল সময়। আপনারা সকলেই জানেন, যারা পিনিকখোর, তারা পিনিক না পাইলে কেমন বদমেজাজি হইয়া যাইতে পারে। পুরা এগ্রেসিভ হয়ে গেল মামা। নাযিল হওয়া শুরু করল জিহাদি সব আয়াত। আর তার উপরে তো আছেই মক্কা থেইকা বিতাড়নের ব্যথা।

মাশরুমের ডিলার পাইতে পাইতে জল গড়াইয়া অনেক গিয়াছে। আর ডিলার চেঞ্জ হইলে মাল চেঞ্জ হয়, ইহা আপনারা সকলেই জানেন। নতুন মালে পিনিক হয়, কিন্তু ট্রিপগুলা হইতে লাগিল ভিন্ন রকমের। আগ্রাসী, যৌনতা পরিপূর্ণ। এর মাঝে উনি পিনিক করা হারাম করিয়া দিলেন ভয়ে - কে জানে, কে কখন পিনিক করিয়া তাহার মত নবুওত পাইয়া যায়।

আর এভাবেই মাশরুম-এর মাধ্যমে সারা আরবে ছড়িয়ে যেতে লাগল ইসলামের বিজয় কেতন।

পাদটিকা: শুধু মুহাম্মাদই (সঃ) না, ৭০-এর দশকে বিটলস, পিঙ্ক ফ্লয়েড, ডিলান, হেন্ড্রিক্স, এলেন গিন্সবার্গসহ আরো অনেকেই মাশরুম সেবন করেছেন এবং মানব জাতির জন্য ভাল ফলাফল বয়ে এনেছেন। তবে সাইড এফেক্ট-ও আছে, যেমন সিড ব্যারেট পাগলা হয়ে গিয়েছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন