আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

চলো যুক্তিপথে

লিখেছেন টোস্টার

১.
মানুষের তৈরি যে কোনো যন্ত্রের ম্যানুয়াল থাকে। সেই ম্যানুয়াল বিভিন্ন ভাষায় লেখা থাকে। যে যার প্রযোজ্যতা অনুযায়ী ব্যবহার করে। কিন্তু এমন তো কখনোই ঘটে না যে, একটা মোবাইলের ম্যানুয়াল বাংলায় একজন এক রকম বুঝলো, চীনা আরেকজন আরেক রকম বুঝলো। ভাষান্তরের সাথে অর্থের কোনোই পরিবর্তন ঘটে না। আর এখানে প্রেক্ষাপটও (শানে নজুল) বিবেচ্য হয় না।

কিন্তু মহাজ্ঞানী আল্যার রচিত কোরআনের এতো রকমের ব্যাখ্যা কেন? সর্বজনবোধ্য করে সহজ ভাষায় কেন সেটা রচনা করতে পারেনি সে?

আসলে যে কোনো ধর্মগ্রন্থই জটিল ভাষায় রচিত হয় প্রধানত মানুষকে দূরে রাখার জন্য আর ধর্মব্যবসা পোক্ত করার জন্য।

২.
আল্যার অনুসারী বলে নিজেদেরকে যারা দাবি করে, তাদের আচরণই প্রমাণ করে যে, "আল্যা সর্বশক্তিমান" কথাটা তারা মানে না। কথাটা তারা মানলে "আল্যার ইজ্জত গেলো" বলে আওয়াজ তুলে কাফের-মুরতাদ-নাস্তিক মারতে ছুটতো না। এই কাফের-মুরতাদ-নাস্তিকদের সোজা করার জন্য আল্যা নিজেই যথেষ্ট, এটাই তো তাদের আচরণ অস্বীকার করে।

৩.
অনেক লোকে বলে, "নামাজ পড়লে মনের মধ্যে এক ধরনের শান্তি পাই।" এই শান্তিটা আসলে কেমন?

সিনেমা দেখে পর্দার ঘটনার সাথে সাথে আবেগের ওঠানামা যেমন, এই নামাজ পড়ে শান্তির ব্যাপারটা তার চেয়েও মনগড়া। সিনেমা শেষ হয়ে যাবার পর খেয়াল হয়, আরে! এতোক্ষণ তো তাকিয়ে ছিলাম সাদা পর্দার দিকে। নামাজের শান্তিতে তো সেই সাদা পর্দাটাও থাকে না।

আসলে এই 'শান্তি' পুরোটাই কল্পিত এবং ধর্মীয়-সামাজিক-পারিবারিক সম্মোহনের ফল। নইলে নামাজি যাতে শান্তি পায়, পূজারি তাতে বিরক্ত হয় কেন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন