লিখেছেন অর্ণব খান
নারীদের পর্দা নিয়ে ইসলাম বেশ কড়াকড়ি করে। কিন্তু তাই বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, ইসলামে নারীদের নগ্নতা বৈধ নয়। বরং ইসলামি আইনে নারীরা নিকটাত্মীয় পুরুষদের সামনে খুব বিচ্ছিরি রকম ভাবে অর্ধনগ্ন হয়ে, এমনকি স্তন উন্মুক্ত রেখে, থাকতে পারে। ইসলামে পরপুরুষদের সামনে নারীদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢেকে রাখতে হয়, কিন্তু মাহরাম পুরুষদের সামনে নারীদের শুধু নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত আর সাথে পেট ও পিঠ ঢেকে রাখলেই পর্দা হয়ে যায়।
প্রমাণস্বরুপ আমরা ইসলামি শরিয়ার হানাফি আইনের দিকে লক্ষ করতে পারি। বাংলাদেশের তো বটেই, এমনকি সারা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম হানাফি মাযহাবের অনুসারী। কিন্তু মডারেট মুসলিমগুলো ইসলামের অসভ্যতার ব্যাপারগুলো জানে না, শুধু চোখে ঠুলি পড়ে কয়েকটা ভাল কথা শুনেই 'ইসলাম মহান' এটা মেনে নেয়, কিন্তু প্রকৃত ইসলাম আর পালন করতে পারে না।
ইসলামি শরিয়ার হানাফি আইনের শ্রেষ্ঠ বই 'আল হিদায়া' থেকে কী পাওয়া যায়, দেখা যাক।
১. পুরুষরা তাদের মা, বোন, কন্যা, খালা, ফুফু, ভাগ্নি, ভাতিজি ইত্যাদি নারী আত্মীয়ের নগ্ন বুক দেখতে পারবে। উদ্ধৃতি দিচ্ছি আল হিদায়া থেকে:
পুরুষ তার মাহরাম মহিলাদের মুখমন্ডল, মাথা, বক্ষ, উভয় পায়ের নলা, এবং উভয় বাহুর প্রতি নযর করতে পারবে; কিন্তু তার পিঠ, পেট ও রানের প্রতি নযর করবে না।
(আল হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
২. শুধু দেখতে নয়, পুরুষরা তাদের আত্মীয়া নারীদের স্তন ছুঁতেও পারবে। উদ্ধৃতি দিচ্ছি আল হিদায়া থেকে:
মাহরাম মহিলার যে অঙ্গের প্রতি নযর করা জাইয, তা স্পর্শ করাতে কোন দোষ নেই।
(আল হিদায়া, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ)
এ তো গেল সাধারণ নারীদের কথা। দাসী নারীদের ক্ষেত্রে পরপুরুষের সামনেও পর্দার কোনো বালাই নেই ইসলামে। শুধু নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত আর পেট ও পিঠ ঢাকলেই চলে। দাসী বেচা-কেনার সময় মুমিন মুসলমানরা এক কালে দাসীদের স্পর্শকাতর অঙ্গও স্পর্শ করত।
এখনকার মুমিনরা যখন পশ্চিমা নগ্নতার কথা বলে, তখন কি তাদের নিজেদের শরিয়ার কথা ভেবে দেখা উচিত নয়?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন