আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৫

ইছলামের ইজ্জতরক্ষকের ব্যবচ্ছেদ (দুই অংকে সমাপ্য নাটিকা)

ভাবানুবাদ করেছেন হাই রেট মডারেট

(ফাকিস্তানী পত্রিকায় প্রকাশিত এই বিদ্রূপরচনার অনুবাদ করতে গিয়া অ্যাপলজিস্ট-এর জুতসই বাংলা পাইতেসিলাম না। অনেক অভিধানে বলতেসে - 'আত্মপক্ষসমর্থনকারী', 'কৈফিয়তদানকারী'; 'কোনোকিছুর পক্ষ সমর্থনকারী' ইত্যাদি। কিন্তু এই লেখার প্রেক্ষাপটে Islamic apologist-এর যথাযথ ও সুশ্রাব্য বাংলা মাথায় আসতেসিল না। ধর্মপচারকরে ধরলাম। তিনি কইলেন, বর্তমানে কোনও ধর্মের অ্যাপলজিস্ট যতোটা না সেই ধর্মের পক্ষ সমর্থনকারী, তারচেয়ে বেশি সেই ধর্মের খইসা পড়া ইজ্জত কোনওমতে ঢাকার কাজে ব্যস্ত। তিনি প্রস্তাব দিলেন, Islamic apologist-এর বাংলা হতে পারে - ইছলামের ইজ্জতরক্ষক। অনুবাদে আমি অবশ্য শুধু 'ইজ্জতরক্ষক' ব্যবহার করসি।)

প্রথম অংক

ইছলামী জঙ্গি:  আমগো উপ্রে আর্মি অ্যাটাকের শোধ নিতে আমরা বাজারের ভিত্রে বোম মারসি।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  তুমি পশুরও অধম!
ইজ্জতরক্ষক :  ভাইয়েরা, শুনো, প্লিজ। ব্যাপারটা কিন্তু সিরিয়াস।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  শালা জানোয়ার! তোমরা নিরীহ মানুষদের হত্যা করসো!
ইজ্জতরক্ষক :  না, ওরা করে নাই।
ইছলামী জঙ্গি:  করসি।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  শুনলেন তো? সে নিজেই কইলো, তারা হত্যা করসে।
ইজ্জতরক্ষক :  ইয়ে মানে... হ্যাঁ এবং না।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  তার মানে? আপনে কী মিন করতেসেন?
ইজ্জতরক্ষক :  মানে, বোমা হামলা, যেটা তারা করসে, অবশ্যই নিন্দনীয় কাজ, তবে সেটা তারা করে নাই।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কিন্তু সে তো নিজেই কইলো, তারা বোমা মারসে, এমনকি আপনিও কইলেন "বোমা হামলা, যেটা তারা করসে..."
ইজ্জতরক্ষক :  খাড়াও, বাক্যটারে একটু ভিন্নভাবে বলি। আমাদের ধর্ম ও দেশের শত্রুর ঘটানো বোমা হামলা ছিলো একটা নিন্দনীয় কাজ।
ইছলামী জঙ্গি:  তুমি আমারে ধর্মের শত্রু কইলা?
ইজ্জতরক্ষক :  না, তা কেন! আমি বলতেসিলাম তাগো কথা, যারা বোমাটা স্থাপন করসিল।
ইছলামী জঙ্গি:  কিন্তু বোমাটারে তো আমরাই স্থাপন করসিলাম, বোকচোদ।
ইজ্জতরক্ষক :  না, তোমরা করো নাই।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কিন্তু সে তো এইমাত্র কইলো, কামটা তারাই করসে।
ইজ্জতরক্ষক :  ইয়ে মানে... হ্যাঁ এবং না।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  আপনে কি ঠসা নাকি!
ইছলামী জঙ্গি:  ওরে ঠসা বলবা না, হালা কাফের!
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  তার মানে, তুমি তার সাথে একমত?
ইছলামী জঙ্গি:  একমত যে, সে ঠসা না।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কিন্তু সে তো কইতেসে, তোমরা বাজারে বোমা হামলা করো নাই।
ইছলামী জঙ্গি:  অবশ্যই করসি! এই টাইপ হামলা আমরা আরও চালাবো।
ইজ্জতরক্ষক :  আমাদের ভাইটা খুব মাথাগরম...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  সে আমার ভাই নয়। তুমি তারে ক্যামনে তোমার ভাই বলতে পারো?
ইজ্জতরক্ষক :  কারণ সে আমার ভাই। আমরা তারে বেহুদা ভুল বুজতেসি। আমাদের উচিত তারে বিপথ থেকে ফিরায়ে আনা...
ইছলামী জঙ্গি:  আবালের মতোন কথা কইয়ো না। তোমরা যেই পথে চলো, সেইটাই বরং ভুল পথ। ওই পথটারে বোমা মাইরা উড়াইয়া দিমু, বাজারটারে যেমন...
ইজ্জতরক্ষক :  না, তুমি বোমা মারো নাই।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কিন্তু সে তো এইমাত্র আবার কইলো, সে বোমা মারসে। ঠসা নাকি আপনি!
ইছলামী জঙ্গি:  ওরে ঠসা বলবা না! আর হ, আমি কইসি আমরা বোমা মারসি বাজারে।
ইজ্জতরক্ষক :  বুঝলা, ভাইয়েরা, তোমাদের দুইজনরেই আমাদের শত্রুরা ব্যবহার করতেসে।
ইছলামী জঙ্গি:  তুমি হইলা গিয়া আমাদের শত্রু।
ইজ্জতরক্ষক :  (সতর্কভাবে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তির দিকে দেখিয়ে ফিসফিস করে) না, না, সে... সে তোমাদের শত্রু।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  আমি শুইনা ফালাইসি! হালা ভণ্ড কুনহানকার!
ইছলামী জঙ্গি:  ও ভণ্ড কইস না, শালা ভণ্ড! খালি আমি তারে ভণ্ড কইতারি।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  তুমি হইলা গিয়া সবচেয়ে বড়ো ভণ্ড! সাপের মতোন...
ইজ্জতরক্ষক :  ভাইয়েরা, তোমরা দুইজন একত্রে বইসা সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের মতোন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবা, প্লিজ? শান্তি প্রতিষ্ঠার সুযোগ কইরা দিই আমরা, কী বলো।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  যারা সামনে যা পায়, সব ধ্বংস করার পণ করসে, তাগো লগে শান্তি নিয়া কথা বলা সম্ভব?
ইছলামী জঙ্গি:  হ, আমরা ধ্বংস করি, তবে সেইটা করি আমাদের ধর্মের বৃহত্তর স্বার্থে এবং...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  পিলিজ লাগে, তোমার ভুল তথ্যে ভরা অরুচিকর ননসেন্স শুনতে আমাদের বাধ্য কইরো না। শালা গোখরো সাপ!
ইছলামী জঙ্গি:  তোমরা কাফেররা হইলা গিয়া পশ্চিমের ভাঁড়!
ইজ্জতরক্ষক :  এইডা একখান কথার কথা কইসে সে।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কী কথা?
ইজ্জতরক্ষক :  আমরা যুদ্ধ করতেসি পশ্চিমাদের আদেশে, ঠিক না?
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  তার মানে, আপনে বলতে চাইতেসেন, আমাদের নিরীহ পাবলিক, পুলিশ, রাজনীতিবিদ বা সৈন্যগুলারে মাইরা ফেলাটা যায়েজ?
ইজ্জতরক্ষক :  না, না, আমি এইটা বলতেসি না, বলতেসি আমাদের দেশে সন্ত্রাসবাদ অনিবার্য কারণ আমরা এমন এক যুদ্ধে লিপ্ত, যেই যুদ্ধটা আমাদের না।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  অর্থাৎ এইভাবে নির্লজ্জের মতোন রক্তের নদীতে গোসল উপভোগ করাটা ঠিকাছে?
ইজ্জতরক্ষক :  আমাদের ভাইয়েরা এর জন্যে দায়ী না...
ইছলামী জঙ্গি:  না, আমরাই দায়ী!
ইজ্জতরক্ষক :  না, তোমরা দায়ী না।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  সে তো নিজেই কইলো, তারা দায়ী! তুমি তো, দেখি, পুরাই উটপাখি!
ইছলামী জঙ্গি:  ওরে উটপাখি বলবা না, কুত্তা!
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কুত্তাগো অন্তত আবেগ আছে, সাপের নাই।
ইছলামী জঙ্গি:  শালার সব কাফেরগুলারে বোম মাইরা উড়াইয়া দিমু!
ইজ্জতরক্ষক :  (সরাসরি বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ফিসফিস করে) ওরে, ওরে... শালা কুত্তা একটা...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  আমি দেখে ফেলসি। তোমরা দুইজনে একই গোয়ালের গরু।
ইজ্জতরক্ষক :  আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই peace, ঠিক না, বিপথগামী ভাইয়া?
ইছলামী জঙ্গি:  আমি চাই pieces, যারা দেশটারে ধার্মিক বানানোর পথে বাধার সৃষ্টি করতেসে, তাদের pieces...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  ওহ, তোমরা নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশুদের pieces দিয়া ধার্মিক দেশ বানাইতে চাও?
ইছলামী জঙ্গি:  ওরা নিরীহ না। তোমাদের কেউই নিরীহ না।
ইজ্জতরক্ষক :  ভাইয়েরা, শোনো, প্লিজ...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  চুপ করো, তুমি!
ইছলামী জঙ্গি:  ওরে চুপ করতে বলবা না!
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  আমি ওরে চুপ করতে কই নাই। আমি তোমারে চুপ করতে কইসি।
ইজ্জতরক্ষক :  ওরে চুপ করতে বইলো না।
ইছলামী জঙ্গি:  চুপ কর! আমি সুইসাইড-ভেস্ট পইরা আছি কিন্তু!
ইজ্জতরক্ষক :  না, তুমি ওইটা পইরা নাই।
ইছলামী জঙ্গি:  কইলেই হইলো? আমি পইরা আছি। বিশ্বাস না হয়, এই দ্যাখো।
ইজ্জতরক্ষক :  না, তুমি পইরা নাই।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কিন্তু সে তো নিজেই কইলো পইরা আছে। দেখতে পাও না? কানা নাকি?
ইছলামী জঙ্গি:  ওরে কানা বলিস না।
ইজ্জতরক্ষক :  তারে ওইটা জোর কইরা পরাইয়া দিসে।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  ওহ, তার মানে তুমি মানতেসো, সে সুইসাইড-ভেস্ট পইরা আছে...
ইজ্জতরক্ষক :  আমি বলসি, তারে জোর কইরা পরাইয়া দিসে।
ইছলামী জঙ্গি:  না, কেউ আমারে জোর করে নাই।
ইজ্জতরক্ষক :  না, তোমারে জোর করসে...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  for heaven’s sake...
ইছলামী জঙ্গি:  ঠিক এইটাই কারণ।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  মানে?
ইজ্জতরক্ষক :  ভাইয়েরা, শুনো...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  চুপ করো!
ইছলামী জঙ্গি:  তোমারে না মানা করসি, ওরে চুপ করতে বলবা না! (বুম! বোমা মেরে নিজেকে উড়িয়ে দিলো)
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  (কাশতে কাশতে) আমি... আমি... তোমারে বলসিলাম না... সে একটা সুইসাইড-ভেস্ট পইরা আছে...
ইজ্জতরক্ষক :  (কাশতে কাশতে) মনে হয়... আসলেই পইরা ছিলো... তবে... সে আমাদের দেশের না... আমার মনে হয়, সে বিদেশী...
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  কিন্তু তুমি তো তারে ভাই ডাকসো। তুমি কি পাগল নাকি!
ইছলামী জঙ্গি:  (কাশতে কাশতে) ওরে... ওরে... পাগল কইবা না! (শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো)

দ্বিতীয় অংক (এক সপ্তাহ পরে)

বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  এখন তুমি তারে 'শহীদ' বলতেসো, তাইলে যাদের সে মারসে, তারা কী?
ইজ্জতরক্ষক :  তারাও শহীদ। অন্তত তাদের কয়েক জন। 
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  সেইটা ক্যামনে সম্ভব?
ইজ্জতরক্ষক :  শুনো, ব্যাপারটা হইলো...
(সামরিক বাহিনীর সদস্যের প্রবেশ):  জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটা সামগ্রিক অপারেশন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। (প্রস্থান)
ইজ্জতরক্ষক :  তো যা বলতেসিলাম, জঙ্গিগুলান সব জন্তু, বর্বর। তাগোরে গুঁড়াইয়া দিক আর্মিরা। আমাদের উচিত আর্মিরে সাপোর্ট দেওয়া।
বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি:  জঙ্গিরা এখন জন্তু! বাহ! 
ইজ্জতরক্ষক :  অবশ্যই জন্তু... বিদেশ থিকা টাকা পায়... তুমি যেমন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন