লিখেছেন ওয়াশিকুর বাবু
১০৬.
ইসলাম এখন আর কোনো ধর্ম নয়; পুরোদস্তর রাজনীতি। এর দুই পক্ষ - ইসলামী পক্ষ আর ইসলামবিরোধী পক্ষ। আর ইসলামী পক্ষের শক্তি হতে হলেই অবশ্যই রাজাকার, পাকি- ও আরব-প্রীতি থাকতে হবে; ব্যক্তিগত জীবনে ইসলাম পালন করা বা না করার সাথে ইসলামী পক্ষ হওয়ার সম্পর্ক নেই।
আওয়ামী লীগ দেশের একমাত্র ইসলামী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এ যাবত যত পদক্ষেপ নিয়েছে, সবই সুপার ফ্লপ হয়েছে এবং লীগের নামকাওয়াস্তে ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয়ই শুধু ক্ষুণ্ণ হয়েছে। হাসিনার নামাজ পড়া, কোরানের পাঠের বয়ান, মদিনা সনদে দেশ চালানোর ঘোষণা, নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার, শফি হুজুরকে জমি উপহার... কিছুতেই কিছু হয়নি। অপরদিক খালেদা জিয়া দুপুর বারোটায় ঘুম থেকে উঠুক, বড়ো গণতন্ত্র ধর্মীয় রাজনীতির বিপক্ষে বক্তব্য দিক, ফরহাদ মজহার খোদাকে ব্যঙ্গ করে কবিতা লিখুক, তুহিন মালিক ইজতেমাকে পিকনিক বলুক... তাদের ইসলামী ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।
জামাতকে ইসলামের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করে লাভ নেই। বরং ইসলামী শক্তি হতে হলে জামাতকে কোলে নিয়ে পাক-আরবের কোলে উঠে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ ইসলামী শক্তি হওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে গিয়ে কত দূর যেতে পারে, তা-ই দেখার বিষয়...
১০৭.
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে...
জিহাদী স্বর্গে গেলেও কি কতল, ধর্ষণ, বোমাবাজি ত্যাগ করবে? ওরা হয়তো একে অন্যের হুরকে ধর্ষণ করতে যাবে, নিরীহ স্বর্গবাসী মুমিনদের গৃহে বোমা মারবে, আর আল্যাপ্যাককে নাস্তিকতার জন্য কতল করে দেবে...
১০৮.
সোনালি ব্যাংকের ক্যালেন্ডারের পাতায় কান্তজির মন্দিরের ছবি থাকায় মুমিনদের ধর্মানুভূতি আহত হয়েছে। যার ফলে দু'কোটি টাকার ক্যালেন্ডার বাতিল করে নতুন করে ক্যালেন্ডার ছাপাতে হচ্ছে। আশা করি নতুন ক্যালেন্ডারে পাকিদের বর্বরতা, আইএসআইএস-এর কল্লা কাটা, বোকো হারামিদের ধর্ষণের ছবি থাকবে, যাতে মুমিনরা এসব দেখে ঈমানি জসবা পায়।
আসলে সব দোষ মন্দিরের। মন্দির থাকাতেই না ছবি তুলতে পেরেছে। আসুন, মন্দিরসহ অমুসলিম-কাফেরদের সব উপসনালয়-মূর্তি ভেঙে দিই। তারপর আয়েশ করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জিকির তুলি...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন