আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৫

ঈমানদীপ্ত কাহিনী - ১০ (যমযম কূপ)

লিখেছেন জল্লাদ মিয়া

আমরা হগলে যমযম কূপের সৃষ্টির কাহিনী জানি। তবে যে কাহিনী জানি, সেটা সত্য নয়। কোনো কারণ ছাড়া মাটি হৈতে পানি ফোয়ারার লাহান উঠিতে পারে না। আজ আমি আপনাদেরকে যম যম কূপের প্রকৃত সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে বর্ণনা করিব।

আমরা জানি, আল্লাফাক হযরতে মুহাম্মকে মুস্তাফা (খাঃ পুঃ)-কে সব কিছুর আগে সৃষ্টি করিয়াছেন, যাহা মুহাম্মকের কয়েকটি হাদিছ দ্বারাই প্রমাণিত। সুতরাং ইব্রাহীম, ইসলামাইলের আগেও মুহাম্মক সৃষ্টি হৈছে, তবে আকার আকৃতি ভিন্ন আছিল।

কাহিনী তাইলে শুরু করা যাক। হযরত ইব্রাহীম তার স্ত্রী এবং পুত্র বিশমাইল থুক্কু ইছমাইলকে মরুভূমিতে আল্লাফাকের নির্দেশে রাখিয়া আসিলেন। এ সময় মুহাম্মক পৃথিবীতে নামিয়া প্রকৃতি দর্শন করিতেছিলেন। মরুভূমিতে দেখার মত কিছু নাই, তবুও মুহাম্মক একখান জিনিস দেখিয়া চমকিয়া উঠিলেন। কী সুন্দর একটা বাচ্চা! ইসমাইলরে দেখিয়া মুহাম্মকের ইচ্ছা হইল একটু তার সাথে মেরাজ করে। কিন্তু ইসমাইলের পাশে বুড়ি একটা বসিয়া থাকায় মুহাম্মক সুবিধা করিতে ফারিতেছিলেন না। মুহাম্মক তবুও ধৈর্য ধরিয়া লুকায়া রহিলেন, কারণ তিনি জানতেন, সবুরে খেজুর ফলে।

এক সময় সুযোগ আসিল। শিশু ইসমাইল পানির জন্য কাঁদিয়া ওঠিলেন। এদিকে পানি শেষ! ইসমাইলের আম্মাজান চিন্তায় ফড়িলেন। এখন এই মরুভূমিতে তিনি পানি কোনহানে পাইবেন? তবুও পানি খুঁজিবার উদ্দেশ্যে তিনি একটু দূরে গেলেন।

মুহাম্মক এ সুযোগের অফেক্ষায় ছিলেন। তিনি আসিয়া ইসমাইলের সাথে মেরাজ করতে উদ্যত হইলেন। কিন্তু পুলাটা বড় বদমাইশ! মুহাম্মকের মুখে একটা খামছি দিয়াছে। মুহাম্মক রাগে যেই পুলাটারে মারিতে যাবেন, দেখেন - পুলাটার মা আসিতাছে। মুহাম্মক আবার লুকায়া পড়লেন। পুলাটার মা পুলাটারে দেখিয়া আবার চলিয়া গেল। মুহাম্মক আবার আসিয়া মেরাজের ট্রাই করিতে থাকিলেন। এইবার পুলাটা মুহাম্মকের চেহারা মোবারকে লাত্থি মারিয়াছে। এমুন টাইমে মুহাম্মক আবার দেখেন, পুলাটার মা আবার আসিতেছে। ধুরু! মহা ভেজাল! মুহাম্মক আবার লুকিয়া গেলেন। 

পুলাটার মা যখন পুলাটারে দেখিয়া আবার চলিয়া গেলেন, তখন মুহাম্মক ঈমান মজবুত করিয়া আবার আসিলেন। এইবারে কিন্তু মুহাম্মকের মাথায় রাগ। তিনি মেরাজ করার জইন্য ইসমাইলরে শক্ত করিয়া ধরিলেন। পুলাটা তবুও বিটলামি করিতাছে। মুহাম্মকের চোখে একটা মস্ত গুঁতা দিল। এইবার মুহাম্মকের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গিয়া গেল। তিনি শরীরের সমস্ত ঈমানী বল দিয়ে পিছমাইলের সাথে মেরাজ করতে তার উপর ঝাঁপাইয়া পড়লেন। কিন্তু একি! বিটলা পিছমাইল সরিয়া গেছে। কিন্তু তিরিশ পুরুষের ইয়ে-শক্তিসম্পন্ন মুহাম্মকের ঈমানদণ্ডের আঘাতে মাটির স্তর ফুটো হয়ে গিয়েছে। মুহাম্মক তার খুব আঘাত পাইলেন। এদিকে শিশুটার আম্মা আসিতেছে দেখিয়া ঈমানদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত মুহাম্মক কাটিয়া পড়িলেন।

ইব্রাহীমের বিবি পিছমাইলের কাছে আসিয়া দেখেন, মাটি হইতে পানি ফোয়ারার লাহান ওঠিতেছে! আল্লাফাকের কী মহিমা! তখন তিনি নিজে এবং পুত্রকে পানি পান করাইলেন। তারপর পানির চারদিকে ঘেরা দিয়া একটা কূপের মত তৈরি করে কূপটির নাম দিলেন যমযম।

ঐ দিকে মুহাম্মক তীব্র ব্যথায় আল্লার কাছে নালিশ করিয়া বসেন যে, পুলাডারে কতল করার ব্যবস্থা করতে হপে। মহান আল্লাফাক রাজি হয়ে ইছমাইলরে কুরবানীর ব্যবস্থা করেন। পরে গিব্রাঈলের নির্বুদ্ধিতায় পিছমাইল বেঁচে যায়। তবে সে এক ভিন্ন কাহিনী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন