শুক্রবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বকরির ল্যাদানি

লিখেছেন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম

# আপনারা যারা দুর্গাপূজোর মণ্ডপে গিয়েছেন, বা টিভি-পত্রিকায় দেখেছেন, তাঁরা অবশ্যই জানেন যে, দুর্গামূর্তির একপাশে থাকে লক্ষী আর কার্তিকের মূর্তি এবং অন্যপাশে থাকে গণেশ আর স্বরস্বতীর মূর্তি… মাঝখানে দুর্গার মূর্তির আকার থাকে বড় এবং দুপাশে অন্য চারটি মুর্তির আকার থাকে ছোট। 

- শহীদ মিনারেও থাকে মোট ৫ টি মিনার, মাঝখানে একটি বড় মিনার ও দুপাশে দুটো করে মোট আরো চারটি ছোট মিনার, কেন?

# হিন্দুরা পূজো শুরু করে নির্দিষ্ট মুহুর্তে, যাকে বলা হয় লগ্ন… পুজোর লগ্ন বিলম্বিত হলে অমঙ্গল বয়ে আসে… 

- একুশে ফেব্রুয়ারিতেও বরাবর রাত ১২টায় শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হয়, যতোই কনকনে শীতের রাত হোক না কেন।

# প্রতিমা স্থাপন করা হয় যে উঁচু স্থানে, তার নামই বেদী… 'বেদী' শব্দের আভিধানিক অর্থই হলো ''যজ্ঞ বা পূজোর জন্য প্রস্তুতকৃত উচ্চভূমি''…

- অপরপক্ষে শহীদ মিনারের বেদীতে মাথা ঝুঁকিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়ে থাকে।

# পূজোর জন্য গাওয়া হয় নির্দিষ্ট স্তুতি বা পাঁচালী… 

- আমি আজ পর্যন্ত শনীদ মিনারে ফুল দেবার সময় ''আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো'' ছাড়া অন্য গান গাইতে শুনিনি।

# পূজোর বেদীতে অর্ঘ্য নিবেদন করার সময় জুতো খুলতে হয়...

- শহীদ মিনারে ফুল দেবার সময়েও খালি পায়ে যেতে হয়।

# আপনারা বিভিন্ন পূজো উপলক্ষে হিন্দুদেরকে ঘরের মেঝে ও দেয়ালে আল্পনা আঁকতে দেখে থাকবেন। এসব আল্পনা আঁকা হয় মঙ্গলসূচক চিহ্ন হিসেবে…

- একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষেও কয়েকদিন ধরে সময় নিয়ে পুরো বেদীতে আল্পনা আঁকা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন