বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কুচ্চেন-কুণ্ঠিত কুরান

লিখেছেন Atsuko Ayame

আমি আমার ভাইয়ের পাশে গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে আছি।

- আমার কথা তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না?

- আমারে কি তোর বলদ মনে হয়?

- তোমারে আমার বলদ না, গাভী মনে হয়। সেটা কথা না। কথা হচ্ছে, তুমি কেন আমার কথা বিশ্বাস করতেস না?

পারলে দৃষ্টি দিয়ে আমাকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয়, সেই ভঙ্গিমায় ভাই আমার দিকে তাকাল।

- তোর মনে হয়, কোরান যে আল্লাহ লিখেছেন, সেটা ১০০% নিশ্চিত নয়?

- সেটাই তুমার মাথায় এতক্ষণ ঢুকানোর চেষ্টা করতেসি।

- থাপড়িয়ে কানাপট্টি লাল কইরা দিমু! যা ভাগ!

- শাট আপ! তোমার কেন মনে হয়, আমার কথা মিথ্যা?

- কারণ কোরান আল্লাহই লিখেছেন!

- তুমি কেম্নে জান?

ভাই প্রকাণ্ড এক দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

- আল্লাহ বলসে।

- তুমি বলতে শুনস?

- না।

- তাইলে?

- আমি পড়সি।

- কোথায়?

- কোরানে।

- কোরানে পড়লেই সব কথা সত্যি হয়ে যায়?

- অবশ্যই!

- কেন?

- কারণ আল্লাহ সেটা লিখসেন!

- তুমি লিখতে দেখস?

- না! তবে...

- তাইলে?

- আল্লাহ বলেছেন, তিনি কুরান লিখসেন!

- কোথায়?

- কুরানে।

- আচ্ছা… তিনিই লিখসেন, তার কোনো প্রমাণ আছে?

- তুই কী বলতে চাস!?

- উত্তর দাও আগে।

- কোরানে বলা আছে!

- আচ্ছা… তাইলে কোরান কি তিনি নিজ হাতে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন?

- না, মহাম্মদ (সঃ) এটা পৌঁছে দিয়েছেন!

- আচ্ছা, মহাম্মদ যে আল্লাহর কাছ থেকেই কুরান পাইসে, এইটা কেউ দেখসে? আল্লাহরে কেউ দেখসে? তার গলা শুনসে?

- না।

- তাইলে? প্রমাণ কী?

হঠাৎ আমার ডানপাশ থেকে কী যেন একটা উড়ে গেল। পরর্বতী ক্ষণেই কানে এল - ঠাস! আর অমনি আমার বাম গালটা চিড়বিড়িয়ে জ্বলে উঠল। আর এর পরে শোনা গেল আরেকটি ঠাস! কিন্তু সেটি আর আমার শোনার সৌভাগ্য হয়নি, কারণ আমিই তখন ‘ঠাস’- অর্থাৎ মাটিতে।

- কোরানকে কোশ্চেন করার কোনো সুযোগ নেই, বুজেছিস, বেজন্মা?


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন