লিখেছেন শান্তনু আদিব
- ধর্ষণ কী?
- ইচ্ছার বিরুদ্ধে বা অনুমতি ব্যতিরেকে যৌনাঙ্গের মিলন ঘটিয়ে বা না ঘটিয়ে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়াকে ধর্ষণ বলা হয়।
- শিশুকামিতা কি ধর্ষণ?
- হ্যাঁ, কারণ একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুর মধ্যে আইনগতভাবে পারস্পরিক সম্মতিমূলক যৌনমিলন সম্ভব নয়।
- বৈবাহিক ধর্ষণ (স্ত্রীর অসম্মতি সত্ত্বেও বলপূর্বক যৌনমিলন) কি ধর্ষণ?
- হ্যাঁ, নামেই বলে এটা ধর্ষণ। ধর্ষণের সংজ্ঞা পড়লেই তা পরিষ্কার হয়ে যাওয়া উচিত। বিয়ে কখনওই যৌনসঙ্গমের লাইসেন্স নয়।
- মালাকাত আইমানুকুম বা গনিমতের মাল হিসাবে প্রাপ্ত নারীদের সাথে যৌনসঙ্গম করা কি ধর্ষণ?
- হ্যাঁ, কারণ সেখানে যুদ্ধবন্দীদের মতামতের কোনো মূল্য নেই। (যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সঙ্গম যদি ধর্ষণ না হয়, তাহলে ৭১ সালে পাকিস্তানি সেনা/রাজাকার/আল-বদরেরা কোনো ধর্ষণ করেনি।)
- যৌনদাসীদের সাথে সঙ্গম করা কি ধর্ষণ?
- হ্যাঁ, কারণ এখানেও যৌনদাসীদের মতামতের কোনো মূল্য নেই। সে চেয়ার-টেবিল-আসবাবপত্রের মত শুধু ব্যবহারের জন্য।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে:
- শান্তির ধর্ম ইসলাম কি শিশুকামিতা, বৈবাহিক ধর্ষণ এবং যুদ্ধবন্দিনীদের ও দাসীদের সাথে যৌনসঙ্গম সমর্থন করে?
- হ্যাঁ, করে।
যদি করেই থাকে তাহলে একজন মুসলিম হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে ভেবে বলুন তো, ইসলাম ধর্ষণকে সমর্থন করে কি করে না?
------
সূত্র:
শিশুকামিতা (সহীহ বুখারী ৭:৬২:৬৪)
বৈবাহিক ধর্ষণ (সহীহ বুখারি ৪:৫৪:৪৬০)
যুদ্ধবন্দিনী ও যৌনদাসী ধর্ষণ (কুরান ৪:২৪)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন