একটি খবর: স্বামীই স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছেন।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বলাকাপাড়ায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ডলি আক্তার (২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর স্বামী এমদাদুল হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি।
এতে ডলি আক্তারের স্বামী এমদাদুল হক ছাড়াও তাঁর বাড়ির ভাড়াটে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রনি ও বন্ধু আমির হোসেনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, এমদাদুল হক ডলি আক্তারকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। রড দিয়ে তাঁর শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করার কারণে মৃত্যু হয়েছে গর্ভের সন্তানের। অন্য দুজন হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন।
ঘটনাক্রমে এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক মুছলিম বলেই কি এই ঘটনার জন্য ইছলামকে দায়ী করা যায়? যায় না।
কিন্তু কোনও স্বামী যখন স্ত্রী-প্রহার অনুমোদনের সুরা আওড়াতে আওড়াকে স্ত্রীকে পেটায়, সেই ঘটনায় ইছলাম অনিবার্যভাবে জড়িত।
আরেকটি খবর: তিন মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করেছে এক ব্যক্তি।
ঘটনাক্রমে এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক এক নাস্তিক। নাস্তিকদের মধ্যেও খুনী, ধর্ষকসহ যাবতীয় সব অপরাধের মানুষই আছে, কিন্তু আলোচ্য হত্যাকাণ্ডটি কি নাস্তিক্যবাদের নামে ঘটানো হয়েছে? না। নাস্তিক্যবিরোধী অসংখ্য সংবাদমাধ্যমও এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে নাস্তিক্যবাদের কোনও যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হয়নি এখনও পর্যন্ত। সর্বত্রই বলা হচ্ছে - গাড়ি পার্কিং বিষয়ক বচসাই এই বীভৎস হত্যাকাণ্ডের কারণ।
এই ঘটনা নিয়ে কিছু ধর্মবিশ্বাসী তাদের স্বভাবসুলভ যুক্তিহীন অপপ্রচারে মেতে উঠবে, সেটা পূর্বানুমেয়ই ছিলো। কিন্তু গুটিকয়েক জ্ঞানপাপী বিপ্লবীও এতে অংশ নিচ্ছে সোৎসাহে। মজার কথা হচ্ছে এই যে, এরা মুছলিমদের ঘটানো লাগাতার হত্যাতাণ্ডবে খুঁজে পায় আমেরিকার ষড়যন্ত্র, পুঁজিবাদের কুপ্রভাবের ফল, ঔপনিবেশিকতার জের, সামাজিক বৈষম্য ও ইত্যাকার গ্যানের হ্যানোত্যানো...
তবে নাস্তিকের ঘটানো এই হত্যকাণ্ডের জন্য তারা কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ ও যোগসূত্র ছাড়াই দায়ী করছে নাস্তিক্যবাদকে। একজন লিখেছে, নাস্তিক ব্যাটা তিন জনকে হত্যা করেছে 'স্রেফ মুসলিম হবার কারণে' (নিশ্চিতভাবেই তত্ত্বে ঠাসা মস্তিষ্কের গর্ভস্রাব), আরেকজন লিখেছে, বিশ্বে সালাফি-নাস্তিকদের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে!
তো এদের অসংলগ্ন আচরণ ও বক্তব্য নিয়ে একটি পোস্টার বানিয়েছেন দাঁড়িপাল্লা ধমাধম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন