লিখেছেন বুদ্ধ মোহাম্মদ যীশু কৃষ্ণ
মুমিনেরা বিবর্তনবাদ ভুল প্রমান করতে সদাব্যস্ত। এইসব মুমিনের ধারণা, বিবর্তনববাদ ভুল হলেই যেন আদম-হাওয়ার প্রাচীন কিচ্ছা সত্য হয়ে যাবে।
তারা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে। যেমন:
মানুষের আদি পুরুষ বানর হলে এখনো বানর দেখা যায় কেন?
এককোষী অনণুজীব কীভাবে সৃষ্টি হল?
সেই এককোষী অণুজীব থেকে কেন, কখন, কোথায় ও কীভাবে নারী-পুরুষ জাতির সৃষ্টি হল?
ইত্যাদি...
মানব ইতিহাসের প্রথম ইনসেস্ট কাহিনী
কিন্তু তাদের মনে কখনোই প্রশ্ন জাগে না:
কীভাবে মাটিদে দেয়া ফুঁ থেকে আদম সৃষ্টি হলো?
কীভাবে আদমের পাঁজরের হাড় দিয়ে হাওয়ার সৃষ্টি?
কোটি কোটি বছর আগেকার ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রাণীর ফসিল পাওয়া গেলেও কয়েক হাজার বছর আগেকার নব্বই হাত লম্বা আদম আর তাদের সন্তানদের ফসিল কোথায়, কখন, কীভাবে ও কেন গায়েব হলো?
এছাড়াও আরো হাজার হাজার প্রশ্ন আছে, যা সব তাদের মাথার ওপরেই থেকে যায়। ধর্মের বাণীর বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্নই তাদের মগজে ঢোকে না। যদিও বা কোনো প্রশ্ন ব্রেইনের মধ্যে উঁকিঝুঁকি দেয়, তখন তা আল্লার কুদরত বলেই সেই প্রশ্ন বাইপাস করে দেয় এবং উল্টো প্রশ্ন করে প্রমাণিত বিবর্তন নিয়ে।
তাদের মনে বিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু প্রশ্ন করেই তারা ভাবে বিবর্তন ভুল প্রমাণ হয়েছে এবং আদমের পারিবারিক ইনসেরস্টের কিচ্ছা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অনলাইনে অনেক নাস্তিক বিবর্তন নিয়ে এইসব প্রশ্নের উত্তর দেয়, কিন্তু মুর্খবাদী থুক্কু ইনসেস্টবাদীরা কখনই সেইসব উত্তরে সন্তুষ্ট নয়।
তারা নিজেরা বিবর্তন নিয়ে কখনো কোনো বই পড়ে না।
তারা বিবর্তন নিয়ে পড়ে ইসলামিক ওয়েবসাইট ও ব্লগে যেখানে তারা বিবর্তন নিয়ে লেখা ডাঁহা ভুল তথ্য পড়ে বিভ্রান্ত এবং নিরুৎসাহিত হয়।
কিন্তু ভুলেও বিবর্তনের পক্ষের সাধারণ জ্ঞানটুকুও তারা নেয় না।
বিবর্তন নিয়ে খুঁটিনাটি প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেবার মত অনেক ব্লগ, ওয়েবসাইট ও বই আছে, কিন্তু তারা সেসব বই পড়ে না।
বিবর্তনের পক্ষে অগণ্য প্রমাণ আছে, যা ইনসেস্টবাদীদের ভুল ভেঙে দেবার জন্য যথেষ্ঠ।
কিন্তু ভুল ভেঙে গেলে তো ৭২ হুরি সহ ইসলাম জাহান তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়বে। সেটা কি মেনে নেয়া যায়!
কারণ বিবর্তনবাদ যে ধর্মের কফিনে প্রধানতম ও শেষ পেরেক। আর সেই পেরেক ঠেকাতেই তাদের যত ব্যর্থ চেষ্টা।
হা হা হা... আমার সুদু হাসি ফায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন