যেহেতু ইছলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, তাই তা দুর্গন্ধ ছড়ায় প্রস্রাব ও বিষ্ঠাতেও। এক ইছলামি ছাইটে উল্লেখিত মানববর্জ্য নিষ্কাশন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর থেকে কিছু উদ্ধৃতি দেয়া যাক। মূত্র ও মল বিষয়ে নির্মল বিনোদন। ব্র্যাকেটবদ্ধ মন্তব্য ধর্মপচারকের।
১.
- পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করার গুরুত্ব কতটুকু ?
- পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য বিষয়। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে নবী কারীম সাঃ ইরশাদ করেছেন, তোমরা পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন কর। কেননা কবরের অধিকাংশ শাস্তি পেশাব থেকে পবিত্রতা অর্জন না করার কারণে হবে।
২.
- পেশাব করার সময় দোয়া কখন পড়বে ?
- পেশাব খানায় প্রবেশের পূর্বে বিসমিল্লাহসহ প্রবেশের দুআ পড়বে। খোলা স্থান হলে কাপড় উঁচু করার সময় দুআ পড়তে হয়। আর আবদ্ধ ঘর হলে দরজায় বাম পা রাখার সময় দোয়া পড়বে। মনে না থাকলে প্রবেশের পর বা কাপড় উঠানোর পর মনে মনে দুআ ()পড়া যায়। মুখে উচ্চারণ করে নয়। –ফাতওয়ায়ে শামী ও ফাতওয়ায়ে আলমগীরী।
৩.
- কি কি জিনিস নিয়ে পেশাব খানায় যাওয়া যায় না ?
- আল্লাহ তায়ালা, আল্লাহর রাসেূলের নাম, ফেরেশতার নাম বা কুরআনের কিছু লিখিত বস্তু নিয়ে ইস্তেনজায় যাওয়া মাকরূহে তাহরীমী। (মমিনীয় মোবাইলে তো কোরান থাকে এবং সেইটা নিয়াই তো তারা হাগা-মুতা করতে যায়!) অনুরূপ এগুলো উচ্চারণ করাও নিষিদ্ধ।
৪.
- বিসমিল্লাহসহ পেশাবের দোয়াটি কি ?
- বিসমিল্লাহ সহ ইস্তেঞ্জায় প্রবেশের দুআটি এই- بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ. উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসী ওয়াল খাবায়িস। অর্থ ঃ হে আল্লাহ! দুষ্ট পুরুষ জিন এবং দুষ্ট মহিলা জিনদের অত্যাচার থেকে তোমার পানাহ চাই। (দুষ্ট মহিলা জিনের সাথে ছহবত করতে মঞ্চায়!)
৫.
- পেশাবের পর ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারকালে পুরুষরা কী করবে ?
- পেশাবের পর ঢিলা/কুলুখ নিয়ে হাটা চলা করে, কিম্বা কাশি দিয়ে বা নড়াচড়া করে, কিম্বা অভ্যাস অনুযায়ী যে কোন ভাবে পেশাবের ফোঁটা বন্ধ হয়েছে এরূপ নিশ্চিত হতে হবে। মহিলাদের জন্য এর প্রয়োজন নেই। (মহিলারা নাপাক থাকলে ইছলামের কী!)
৬.
- পায়খানার পর ঢিলা-কুলুখের সাথে পানি ব্যবহার করা লাগবে কি না ?
- পায়খানার পর ঢিলা/কুলুখ ব্যবহার করে পানি ব্যবহার করা সুন্নাত। তবে যদি শুধু পানি ব্যবহার করা হয় তাহলেও পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে। আর যদি পায়খানা পায়ূপথ থেকে বাহিরে সরে গিয়ে থাকে অর্থাৎ- এক দেরহামের তথা- হাতের তালুর নীচ স্থান সমপরিমানের চেয়ে বেশী পরিমান স্থান ছড়িয়ে পড়ে (এইটা মাপে ক্যামনে?) তাহলে পানি ব্যবহার করা ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার না করলে পবিত্রতা অর্জন হবে না। সূত্র– ফাতওয়ায়ে শামী।
৭.
- পানি ব্যবহারের সময় কি নিয়মে আঙ্গুল ব্যবহার করবে ?
- পানি ব্যবহার করার সময় প্রথমে বাম হাতের মধ্যমা আঙ্গুল-এর পেট দ্বারা মর্দন করা, তারপর অনামিকাসহ প্রয়োজনে আরও দুই-এক আঙ্গুল ব্যবহার (কী ডিটেইলিং! মায়রে বাপ!) করা। মহিলাগণ প্রথমেই দুই আঙ্গুল (মধ্যমা ও অনামিকা) ব্যবহার করবে। সূত্র– আল মহীতুল বুরহানী, নুরুল ইযাহ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন