লিখেছেন নাস্তিক দস্যু
বাঙালির বাংলা। আমাদের স্বাধীনতার কথা বলতে গেলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ৫২, ৭১, ভেসে উঠে ২১শে ফেব্রুয়ারি, ভেসে উঠে ২৫শে মার্চ। ৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে রাজাকারেরা মিলে আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ করেছিল "আল্লাহু আকবার" ধ্বনি তুলে, খুন করেছিল আমাদের দেশের স্বাধীনতাকামী লক্ষ মানুষসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে। তারা চেয়েছিল উর্দু এবং ইছলাম কায়েম করতে।
বাংলা ভাষার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন। ৫২-এর এ আন্দোলনে ভাষার জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন বাংলা মায়ের বাংলাপ্রেমী সন্তানেরা। রফিক, জব্বার, বরকতেরা ভাষার জন্য বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। এরকম নজির এ বিশ্বে আর কোথাও দেখা যায় না।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, কথিত পরকালীন জীবনে আমাদের কথা বলতে হবে আরবিতে। অটোমেটিকভাবে আমাদের মাতৃভাষা নাকি আরবি হয়ে যাবে! আমরা ওখানে মাকে আর "মা" বলে ডাকতে পারব না। ভাষার জন্য আমাদের এই ত্যাগের, এই রক্তের, এই সাহসিকতার কোনো মূল্যই ওখানে থাকবে না।
না না না, এ হতে পারে না। কব্বর ভাষা বাংলা চাই। আমাদের দাবি আল্লাকে মানতেই হবে। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, আল্লাকে কবরের ভাষা বাংলা করার আহ্বান করছি।
কীভাবে বুঝব, আল্লা আমাদের দাবি মেনেছেন, মানে রাজি হয়েছেন? এখন তো নবী-রাছুল নাই, ওহী আসবে কার কাছে? আমি আল্লাকে একটা বুদ্ধি দিচ্ছি। ইয়া আল্লাহ! তুমি আরশ হৈতে এই দুনিয়ায় এসে আমাদের বলে দিলেই হবে। লুঙ্গি না থাকলে (তুমি তো আবার কাপড়-চোপড় পরিধান করো না) আমাদের সকলের লুঙ্গি কেটে সেলাই করে তোমার জন্য একটা বিশাল লুঙ্গি বানিয়ে দিতে রাজি আছি। তাতেও যদি না হয়, তবে গিব্রাইলের পাখাগুলা ইউজ কৈরতে পারো।
আর যদি আমাদের দাবি না মানো, তবে আখিরাতে হরতাল-অবরোধ দেওয়া হবে। বাঙালি হরতাল-অবরোধ দিলে কিন্তু মহাবিপদ! পুলসিরাত ভেঙে দেওয়া হবে, তোমার আরশ ফুটু করে দেওয়া হবে, বেহেস্তে পেট্রোল বোমা মারা হবে, হুরদের জাহান্নামে ফেলে পোড়ানো হবে, আরো অনেক কিছু করা হবে, যা তুমি এবং তোমার রোবট থুক্কু ফেরেস্তারা সামাল দিতে পারবে না। তাই ভালোয় ভালোয় আমাদের দাবি মেনে নাও।
কব্বর ভাষা বাংলা চাই! জয় বাংলা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন