রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

পুরস্কার-শাস্তি: জান্নাত-জাহান্নাম

লিখেছেন নাস্তিক দস্যু

ধর্মে মৃত্যুর পরে পুরস্কার বা শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কোনো ধর্মই ইহলোকেই  খারাপ কাজের শাস্তি কিংবা ভালো কাজের পুরস্কার দেওয়ার কথা বলে না। সব কিছুই বাকি রেখে দেয়! আজ আমরা দেখব, ইসলামে পরকালীন পুরস্কার ও শাস্তির পদ্ধতি কতটা সময়োপযোগী এবং তা ১৪০০ বছরের পুরনো যুগের মানুষের যুক্তি, সামাজিক অবস্থার সাথে মিলে কি না। এ থেকে আমরা সামান্য হলেও আন্দাজ করতে পারব, আসলে ইহলোকের কেচ্ছা কাহিনী রচনা করেছে কিছু মুর্খ, অসভ্য, ধুরন্ধর মানুষ।

জাহান্নাম:

১৪০০ বছর পূর্বে এ পৃথিবীতে বিজ্ঞানের কোনো উন্নতি ঘটেনি, তা বলাই যায়। বর্তমান কালের সভ্যতা তখনকার দিনে আশা করাটা বোকামি। তার ওপর, আরব সমাজের অবস্থা ছিলো তখন আরো করুণ। কেননা মরুভূমির প্রভাবে তাদের মেজাজ থাকত ডাকাত সর্দারদের মত। তাই তখনকার দিনে অপরাধের শাস্তিও (যদিও তখনকার দিনের বিবেচিত ভালো কাজও এখন অসভ্যতা হিসেবে বিবেচিত) ছিল তেমনি। এ যুগে যদি কারো শাস্তি হিসেবে তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়, তবে তার বিরুদ্ধে সমগ্র মানবসমাজই প্রতিবাদ করবে। কিন্তু ১৪০০ বছর আগে এটিই ছিল সমাজে ঘটিত অপরাধের শাস্তি। সেজন্য মহানবী জাহান্নামের আগুনের ফতোয়া দিয়ছিল। চতুর মুহাম্মদ যদি আজকের দিনে জন্ম নিত, তবে সে আগুনের কথা না বলে পরকালের শাস্তি হিসেবে হয়তো টিভি কার্টুনে দেখা এক কার্টুন-চরিত্র যেভাবে অন্য কার্টুন-চরিত্রকে পিষে দিয়ে পরোটা বানায়, পরকালে জিহাদ অস্বীকারকারীদের সেভাবে পরোটা বানানো হবে বলত। তেমনি অন্যান্য শাস্তি যেমন, সাপে কামড়ানো প্রসঙ্গেও আধুনিক কিছু বলত হয়তো। আদি মুহাম্মদের মগজে যা এসেছে, তা-ই বোকা বলেছে লোকদের।

বেহেশত:

বেহেশতের অন্যতম আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে ৭২ খানা হুরী! আমার মনে হয়, মুমিন বান্দা অন্য যে কোনোকিছুর  চেয়ে হুর পাওয়ার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, যে কারনে তাদের মাঝে জিহাদী মনোভাব লক্ষণীয়। মুহাম্মদ যে বেহেশতের পুরস্কার হিসেবে হুরীর কথা বলেছে, তারও কারণ আছে। তখনকার আরব সমাজে বহুবিবাহ একটা ঐতিহ্যের মত ছিল। যার সম্পদ বেশি থাকত, সে-ই ১৫-১৬টা করে বিয়ে করত। বুইড়া বয়সেও তাদের নারীর প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক কাজ করত। এমনকি মুহাম্মদের দাদা জনাব আব্দুল মুত্তালিব, মুহাম্মদের বাপের বিয়ে ঠিক করতে গিয়ে নিজেও একটা কনে ঠিক করে নেয়, এবং বাপে-পুতে মিলে একসাথে বিয়ে করে। মুহাম্মদ নিজেও ১৩টা বিয়ে করেছে।

মুহাম্মদ যদি এই আধুনিক যুগে আসত, তবে বলত, বেহেশতে নেটের এমন স্পিড থাকবে এবং কম্পিউটার টেকনোলজি এমন উন্নত হবে যে, পিসির ভেতর হাত ঢুকিয়ে টেনে যে কাউকে বের করে আনা যাবে!

এভাবে অনেক কিছুই চিন্তা করা যায়। জান্নাত-জাহান্নামের শাস্তি-পুরস্কার ১৪০০ বছরের প্রাচীন আরবের সাথে হুবহু মিলে যায়, যেখানে সভ্যতার, আধুনিকতার কোনো ছাপ নেই। মুহাম্মদ যেহেতু প্রাচীন, তাই ওসব কাহিনী প্রাচীন যুগের সাথে মিলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন