লিখেছেন সৈকত চৌধুরী
খবরটি পড়তে গিয়ে চোখে জল চলে আসল। ধর্মান্ধ আবালরা মানুষের খাবার না খেয়ে ঘাস-লতা-পাতা খায় না কেন?
"নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী পুণ্যস্নানের সময় পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন"।
"হুড়োহুড়ির মধ্যে স্ত্রীকে ধরে রেখেও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন অষ্টমী পুণ্যস্নানে আসা নোয়াখালীর কবিরহাটের অনীল নাথ"।
এ ধরণের প্রাণক্ষয় ঘটার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। ধর্মাবালদের এমনিতেই কমন সেন্স থাকে না, তার ওপর আবার যখন ধর্মীয় উন্মাদনা চরমে ওঠে, তখন ছাগলগুলো পরিণত হয় পাগলে।
হায়রে পুণ্যস্নান! নদীর দূষিত ময়লা পানিতে স্নান করলে পাপ দূর হবে, পূণ্য লাভ হবে! আধুনিক যুগেও মানুষ এসব গাঁজাখুরিতে বিশ্বাস করে - এ দুঃখ রাখি কোথায়, বলুন?
এ তো গেল সনাতনী ছাগলদের কথা। আমাদের মুসলমান বলদরা হজ্বে যায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে নিয়ে আসা থেকে পুড়ে মরা, পদদলিত হয়ে মরা, হিটস্ট্রোকে মরা সবই আছে। ছোট্ট একটি হিসাব:
- ২০০৬ - ৩৬২ জন হুড়াহুড়ি করে পদদলিত হয়ে নিজেরাই মারা যায় শয়তানকে পাথর মারা নামক ছাগলামি করতে গিয়ে
- ২০০৪ - ২৫০ জন মারা যায় একই আবলামি করতে গিয়ে।
- ২০০১- ৩৫ জন মারা যায় আরাফাতে।
- ১৯৯৮ - মারা গেছে ১৮০ জন।
- ১৯৯৭- ৩৫০ পুড়ে মারা যায় (উহ! কী অবস্থা!)
- ১৯৯৪ - ২৭০ জন।
- ১৯৯০ - ১৪০০ (আবার বলছি ১৪০০) জন মারা যায় ইমানুনুভূতি চরমে উঠে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে। দুইন্নার এত ধর্মাবাল এক জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল!
- ১৯৮৭ - ৪০০ জন।
আল্যাফাক এরকমই উপযুক্ত আতিথেয়তা প্রদর্শন করেন তার ব্যান্দাদের। অবশ্য তিনি এমন অক্ষম যে, ১৯৪১ সালে কাবা পানিতে ডুবে গেলেও বাঁচাতে পারেন নি, অথচ এটা নাকি তার ঘর, বায়তুল্লাহ!
পৃথিবী ধর্মমুক্ত হোক। পৃথিবীটা আবার মানুষের হোক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন